বিরোধের জেরে ইস্তফা মাথাভাঙ্গা কলেজের টিআইসি-র

মাথাভাঙ্গা, ৫ মার্চঃ মাত্র আড়াই মাস আগে মাথাভাঙ্গা কলেজের টিচার-ইন-চার্জ (টিআইসি) পদে বসেছিলেন কলেজের প্রবীণ অধ্যাপক ডঃ গুরুচরণ দাস। তিনি দায়িত্ব গ্রহণের পর মাথাভাঙ্গা কলেজের পঠনপাঠন, প্রশাসনিক ও উন্নয়নের কাজে গতিও এসেছিল। তবে কলেজে নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতির সঙ্গে মতানৈক্যের জেরে টিআইসি পদে ইস্তফা দিয়ে তিন মাসের ছুটিতে গেলেন গুরুচরণবাবু। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মাথাভাঙ্গা কলেজের অধ্যাপক-অধ্যাপিকা ও ছাত্রছাত্রী মহলে। মাথাভাঙ্গা কলেজের অধ্যাপক-অধ্যাপিকাদের পাশাপাশি ছাত্রছাত্রীদের একটি বড়ো অংশ চাইছেন ইস্তফাপত্র প্রত্যাহার করে ফের টিআইসি পদে ফিরে আসুন গুরুচরণবাবু। বর্তমানে মাথাভাঙ্গা কলেজের টিআইসি ডঃ শ্যামকুমার ঝা।

মাথাভাঙ্গা কলেজের অধ্যক্ষ ডঃ সমীর দাসের অবসরের পর টিআইসির দাযিত্ব দেওয়া হয় কলেজের অধ্যাপক রেবতীমোহন রায়কে। যদিও কোচবিহার পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্ট্যাটিউট অনুযাযী টিআইসি পদের জন্য পিএইচডি ডিগ্রি থাকা বাধ্যতামূলক। তা না থাকা সত্ত্বেও রেবতীমোহন রায়কে টিআইসি পদে রেখে দেওযায় মাথাভাঙ্গা কলেজের পরিচালন কমিটির ভূমিকা নিযে প্রশ্ন উঠছিল। অবশেষে তাঁকে সরিয়ে কলেজের প্রবীণ অধ্যাপক ডঃ গুরুচরণ দাসকে টিআইসি করা হয়। গতবছর ১৭ ডিসেম্বর দাযিত্বভার গ্রহণ করেন ডঃ দাস। অভিযোগ, গত শুক্রবার মাথাভাঙ্গা কলেজের নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলার সময় মেজাজ হারান কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি বিমলচন্দ্র বর্মন। আর তাতেই অসন্তুষ্ট হয়ে তৎক্ষণাৎ ইস্তফাপত্র লিখে তিন মাসের মেডিকেল লিভে চলে যান ডঃ দাস।

প্রথমে শারীরিক অসুস্থতার কথা জানিয়ে বিষযটি এড়িযে গেলেও পরে ডঃ দাস বলেন, মাথাভাঙ্গা কলেজের নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে মিটিং ডাকতে বলেন গভর্নিং বডির সভাপতি। এলাকার বিধায়ক তথা বনমন্ত্রীর পরামর্শের কথা এবং তাঁর বক্তব্য গভর্নিং বডির সভাপতিকে বলতেই তিনি রীতিমতো উত্তেজিত হয়ে বলেন, মন্ত্রী গভর্নিং বডির সভাপতি না আমি গভর্নিং বডির সভাপতি। ডঃ দাস বলেন, এ ধরনের কথা শুনতে আমি অভ্যস্ত নই এবং অসম্মানিত হতে চাই না। তাই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

যদিও তিনি টিআইসি-কে অসম্মান করেননি বলে জানান গভর্নিং বডির সভাপতি বিমলচন্দ্র বর্মন। তবে তিনি বলেন, টিআইসি-কে মিটিং ডাকতে বলায় তিনি অস্বীকার করায় একটু জোরে কথা বলেছি। কিন্তু  কোনোভাবেই তাঁকে অসম্মান করিনি। তিনি বলেন, আমার অভ্যাস জোরে কথা বলা। তবে আমি কোনো অশালীন কথা বলিনি। মন্ত্রী গভর্নিং বডির সভাপতি না আমি সভাপতি, এ ধরনের কোনো কথা বলিনি। বিমলবাবু বলেন, ডঃ গুরুচরণ দাসই মাথাভাঙ্গা কলেজের টিআইসি থাকুন, এটাই আমি চাই। শীঘ্রই মাথাভাঙ্গা কলেজে গভর্নিং বডির মিটিং ডাকা হবে এবং সেখানে তাঁর ইস্তফাপত্র গ্রহণ না করে তাঁকে ফের টিআইসি পদে ফেরার জন্য অনুরোধ জানানো হবে।

মাথাভাঙ্গার বিধায়ক তথা রাজ্যের বনমন্ত্রী বিনযকৃষ্ণ বর্মন বলেন, ডঃ গুরুচরণ দাস অত্যন্ত দাযিত্বশীল অধ্যাপক। অল্প কয়েদিনেই প্রশাসক হিসাবে তিনি দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। যাতে তাঁর ইস্তফাপত্র প্রত্যাহার করে নেন সেজন্য আমি ডঃ দাসের সঙ্গে কথা বলব।



from Uttarbanga Sambad | Largest Selling Bengali News paper in North Bengal https://ift.tt/2H0LRAM

March 05, 2019 at 03:19PM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top