বনিবনা হচ্ছেনা, কিন্তু মানিয়ে থাকতে হবে। জোর করে থাকতে হবে। সমাজ একজন স্বামী চায়, সেটা পরতে পরতে বুঝতে পারে নারীরা। স্বামী মন্দ হলেও অসুবিধা নেই। এই সমাজে স্বামী থাকতেই হবে। স্বামী না থাকা মানেই মহিলার হয়তো কোনো ত্রুটি আছে। সমাজ যা ভালো করেই বুঝায় একজন সিঙ্গেল নারীকে। যখন তার সন্তান থাকে, তাকে নিয়ে চলাতে হয় সংগ্রাম। সেই সংগ্রামে জয়ী হতে পারেন অনেকেই। কিন্তু প্রশ্ন হলো, আমরা এই সমাজের একজন ডিভোর্সী নারীকে কিভাবে দেখি? অনেকেই দেখে করুণার চোখে। আহা! ডিভোর্স হয়েছে স্বামী নেই সন্তান নিয়ে কেমন চলছে তার দিন। তবে কারও চোখে ধরা পরে ভিন্ন চিত্রও। এই নারীরা ভাবুন কত শক্ত! পারছেন তো নিজের জীবনটা শক্ত হাতে চালিয়ে যেতে। অভিনেত্রী মিথিলার মতে, নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নে আমরা অনেকটা এগিয়েছি। আমাদের দেশের নারীরা কর্মক্ষেত্রে সমানতালে পুরুষদের সঙ্গে কাজ করতে পারছে। আমাদের অর্থনীতিতে নারীরা এখন প্রচুর অবদান রাখছে, যা আমাদের দেশকে সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। তবে প্রতিবন্ধকতা তো আছেই। এর প্রধান কারণ এখানে নারীদের সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা একেবারেই নড়বড়ে। আমাদের সিদ্ধান্তগুলো নেয় বাবা-মা, বড় ভাই বা স্বামী। যার কারণে আমরা আত্মবিশ্বাসি হতে পারি না। আমি নিজেও এসবের সম্মুখীন হয়েছি। সেগুলো নিয়ে আমার অনেক স্ট্রাগল করতে হয়েছে। আমাকে বারবার ভাবতে হয়েছে কোন সিদ্ধান্ত নেব, কখন নেব। মোট কথা আমাকে প্রতিনিয়ত মানসিক চাপ নিতে হয়েছে, মানসিক প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করতে হয়েছে। যেখান থেকে আমি বের হওয়ার চেষ্টা করি। স্বাধীন হওয়ার চেষ্টা করি। তিনি বলেন, আমি এনজিওতে চাকরি করি। সেজন্য আমাকে বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে গিয়ে গবেষণার কাজ করতে হয়েছে। শুধু দেশে নয়, আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও যেতে হয় আমার। নিজের সঙ্গে যুদ্ধ করে আজকের অবস্থানে আসতে পেরেছি। নিজেকে নিজের কাউন্সিলিং করতে হবে। একা হয়েছি তো কি হয়েছে। আমার নিজের কাজ নিজেকে করতে হয়েছে। আমাকে সংসার সামলাতে হয়েছে, আমাকে সন্তান পালন করতে হয়েছে। মেয়েদের এ কাজগুলো নিজেদের করতে হয়। কেউ ভাগ নিতে চায় না। আমি বলবো নিজের কাজটা করে যাও। নিজের সামর্থ্যের মধ্যে নিজেকে কখনো বেধে রেখো না। আমাদের তারকা জগতে এমন অনেক তারকা আছেন যাদের ডিভোর্স হয়ে গেছে। সন্তান থাকছে তার সঙ্গে। তাতে কোন বাধা হচ্ছে না। আপনমনে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারছেন। বাধন তার স্বামীর সঙ্গে যুদ্ধ করে সন্তানকে জয় করেছেন। সোহানা সাবা, সারিকাদেরও পথ চলতে সমস্যা হয় না একা। নোভা অভিনয় কমিয়ে চাকরি করছেন সন্তানের জন্য। বরং স্বামীর সঙ্গে থাকতে, নানা বিড়ম্বনায় পড়েছেন অর্থনৈতিকভাবে। তিনি নিজেই বলেছেন, অনেকেই তার কাছে স্বামীর পাওনা টাকা চাইতো। যেটা একটা পর্যায়ে অসহ্য হয়ে গেছে। অপু বিশ্বাসও একমাত্র ছেলেকে নিয়ে সুখেই আছেন। তারা এখন একা। তবে সেটা ভয়ের কোন কারণ নয়। নিজেকে মুক্ত বিহঙ্গের মত ছড়িয়ে দিচ্ছেন। এই সমাজে একজন ডিভোর্সী নারী মানেই যে অসহায় তা নয়। আর/০৮:১৪/০৮ মার্চ
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2TAmxaE
March 09, 2019 at 03:46AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন