কুয়ালালামপুর, ২৬ মার্চ- বিশ্বজুড়ে অনলাইনে ঝড় তুলেছে বাংলাদেশি এক প্রবাসী নির্মাণ শ্রমিক। সোশাল মিডিয়ায় শেয়ারের পর শেয়ার হচ্ছে নূরুল আলম নামের ও্ই মেহনতি যুককের ছবি। বিস্ময়কর তার চাহনি। যুবকের জ্যোতির্ময় চোখ দেখেই প্রেমে পড়ে গেছেন বিশ্বের নানা দেশের শত শত তরুণী। বাংলাদেশের এই যুবককে নিয়ে একটি সচিত্র রিপোর্ট প্রকাশ করেছে মালয়েশিয়ার স্টার অনলাইন। সেখানে তাকে ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদে ব্যবহৃত ছবিগুলোর সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে। বলা হয়েছে, তার চাহনির মধ্যে রয়েছে এক দৃঢ়চেতা মনোবল। যুবকের চোখ রূপালি, যা দুর্লভ। যদিও ওই রিপোর্টে বাংলাদেশী ওই প্রবাসী শ্রমিকের নাম বলা হয়নি। তবে তার প্রবাসী বাঙালি কমিউনিটির একটি সূত্র জানিয়েছে , তার নাম নূরুল আলম। বাড়ি বিক্রমপুর। বয়স ২৫। দশ বছর ধরে সে মালয়েশিয়ায় আছে। গত বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ এই ছবিটি প্রথম পোস্ট করেন আবেদেন মুং। এরপরই তা ভাইরাল হয়ে যায়। তা রিটুইট হয়েছে ২৪ হাজার ৫০০ বার। লাইক করেছেন ৬৮ হাজার ৭০০ মানুষ। আবেদেন মুং এই ছবিটি জালান আইপোর কাছে এমআরটি নির্মাণ প্রতিষ্ঠান থেকে ধারণ করেছিলেন বলে তার টুইট বার্তায় জানিয়েছেন। এ বিষয়ে আবেদেন মুং বলেছেন, আমি একটি ভ্লগে কাজ করছিলাম। ঠিক তখনই ওই তাকে দেখতে পাই। কিন্তু ওই সময় আমি অন্য একটি বিষয় ক্যামেরাবন্দি করছিলাম বলে তার ছবি নেয়ার সুযোগ পাইনি। তবে আজ (বৃহস্পতিবার) সকালে তাকে সেই একই স্থানে পেয়ে গেলাম। ফলে দ্রুততার সঙ্গে আমার আইফোন এক্সএস ম্যাক্স থাকা সত্ত্বেও দ্রুততার সঙ্গে প্রস্তুত করে নিলাম পিক্সেল ২ এক্সএল। কারণ, ওই ফোনে আমি তখন টেক্সট ম্যাসেজ লিখছিলাম। ঐ ফটোগ্রাফার জানতেন যে এটা খুবই ভালো একটা শর্ট হতে যাচ্ছে। সেখানকার আলো ছবিটি তোলার জন্য খুবই চমৎকার ছিল। আর তার পোশাকও ভাল ছিল। মোট কথা, তার তার চোখ ছিল ফটোগ্রাফির জন্য সেরা চোখ। বাংলাদেশী ওই প্রবাসী সম্পর্কে তিনি টুইটে আরো লিখেছেন, তিনি ছিলেন অত্যন্ত লাজুক। বাস্তবেই তিনি জানেন না কোনদিকে তাকাতে হবে। এটা এ জন্য হতে পারে যে, আমি ফোনে তার ছবি তুলছিলাম। আমি অনেকবার তাকে ক্যামেরার দিকে আনার চেষ্টা করলাম এবং বেশ কিছু ছবি তুললাম। কিন্তু সেগুলো যথেষ্ট ভাল ছিল না। এমনটা ততক্ষণই চলতেই থাকে, যতক্ষণ পর্যন্ত তিনি সত্যিকার অর্থে মোবাইলের ক্যামেরার দিকে না তাকিয়েছেন। তারপরই চূড়ান্তভাবে আমি তার ছবি তোলতে পেরেছি। এটা কি চমৎকার নয়? আবেদেন মুং-এর এমন টুইটের জবাবে অনেকে বলেছেন, প্রবাসী নির্মাণ শ্রমিক ওই যুবকের নজরকাড়া চাহনি। দৃঢ়চেতা মুখমণ্ডল তার। চিমপেং নামে একজন টুইটের জবাবে লিখেছেন, তার চোখ বিস্ময়কর। মিসি জোর-এল নামে একজন লিখেছেন, ওর মুখটা খুবই সুন্দর। তার বোন স্ট্রাকচার বা মুখের গড়ন বিস্ময়কর। ড্রিউওয়েহ বলেছেন, এই ছটিটি ১৯৮৪ সালে ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক ম্যাগাজিনের একটি প্রচ্ছদে ব্যবহৃত শরবত গুলার কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। ওই ছবিটি ধারণ করেছিলেন সাংবাদিক স্টিভ ম্যাকারি। উল্লেখ্য, শরবত গুলা একজন আফগান মেয়ে। তার চোখ সবুজ। মাথায় ছিল লাল স্কার্ফ। তাকিয়ে ছিলেন ক্যামেরার দিকে। এমএ/ ১০:০০/ ২৬ মার্চ
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2V3NvEM
March 27, 2019 at 04:03AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন