লন্ডন, ১৪ মার্চ- বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত জুনাইনা আহমেদ এখন বাংলাদেশের সাঁতার অঙ্গনের তারকা। তার জন্মস্থান ইংল্যান্ডের লন্ডনে। সেখান থেকে মাত্র দুবার এসেছেন বাংলাদেশে, দুবারই ফিরেছেন স্বর্ণ নিয়ে। বুধবার শেষ হয়েছে বাংলাদেশের জাতীয় সাঁতার প্রতিযোগিতা, যেখানে জুনাইনা এককভাবে ৯টি স্বর্ণ জিতেছেন। যার মধ্যে ৮টিই রেকর্ড গড়ে। এর আগে বাংলাদেশে ২০১৭ সালে বয়সভিত্তিক সাঁতার প্রতিযোগিতায় ১০টি স্বর্ণ জেতেন তিনি। মেয়েদের ১০০ মিটার ফ্রিস্টাইলে ১ মিনিট ০৩.৯০ সেকেন্ড সময় নিয়ে রেকর্ড গড়েছেন জুনাইনা আহমেদ। ২০১৬ সালে নাজমা খাতুন এই রেকর্ড গড়েছিলেন ১ মিনিট ০৫.২৮ সেকেন্ডে। ৮০০ মিটার ফ্রিস্টাইলের ক্ষেত্রে আগের রেকর্ডের চেয়ে ৩২ সেকেন্ড সময় কম লাগে জুনাইনার। এছাড়া ৪০০ মিটার মিডলে, ২০০ মিটার ফ্রিস্টাইল, ৪০০ মিটার ব্যাকস্ট্রোক আর ২০০ মিটার বাটারফ্রাইয়েও রেকর্ড গড়েন তিনি। ৬ বছর বয়স থেকে চাচার প্রেরণায় সাঁতার শেখেন জুনাইনা। তবে মূলধারার সাঁতারে আসতে তাকে বেশি অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন মাইকেল ফেলপস। সেই লন্ডন অলিম্পিক থেকে ফেলপসের ভক্ত সে। গণমাধ্যমকে জুনাইনা বলেন, আমি তো ছোটবেলা থেকে সাঁতার ভালোবাসি, ইংল্যান্ডে অনেক সুবিধা আছে, সেখানে প্রস্ততি নেয়াও সহজ।আমার পড়ালেখা থাকে, পরীক্ষা থাকে, সেখানে একটা ভারসাম্য আনতে হয়। তবে বাংলাদেশে এসে সাঁতারে মানিয়ে নিতে সময় নিতে হয় বলে জানিয়েছেন জুনাইনা। আর এবার মাত্র একদিনে প্রস্তুতি নিয়েছেন বাংলাদেশের আবহাওয়ায়। ইংল্যান্ড ছেড়ে বাংলাদেশের প্রতিযোগিতায় কেনো আসা? জানা গেল, মূলত জুনাইনার বাবার ইচ্ছাতেই বাংলাদেশে নিয়মিত জাতীয় সাঁতারে অংশ নিচ্ছেন তিনি। দেশসেরা এই সাঁতারুর জুবায়ের আহমেদ ২০০১ সালে লন্ডনে যান। জুনাইনার জন্মও হয় সেখানেই। জুবায়ের আহমেদ বলেন, ইংল্যান্ডেও সে কম্পিটিশন করে, কিন্তু আমি খেলা-ধুলার খুব পাগল ছিলাম, আমার সবসময় একটা ইচ্ছা ছিল যে দেশের হয়ে খেলব। কিন্তু আমি পারিনি, তাই জুনাইনাকে দিয়ে চেষ্টা করি যাতে সে দেশের হয়ে খেলে। বাংলাদেশে সামান্য সাফল্য পেলেও সবাই অনেক সমর্থন দেয়। এটা আমি বারবার আমার মেয়েকে বলি, এটা অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করে তার জন্য। জুনাইনা আহমেদের মা রোজিনা আহমেদও মেয়ের অর্জনে খুবই খুশি, আমার মেয়ে খুবই অধ্যাবসায়ী ও পরিশ্রমী। আমি গর্ববোধ করি ওর খেলা দেখতে। আমি সবসময় ইংল্যান্ডেও ওর ইভেন্ট দেখতে যাই, সমর্থন দেই। বাংলাদেশ এখন অনেক বদলে গেছে। অনেক মেয়েরা খেলায় আসছে, লন্ডনে থেকে বোঝা যায়না বাংলাদেশ কতটা উন্নতি করেছে মেয়েদের খেলায়। সূত্র: বিবিসি এমএ/ ১০:৪৪/ ১৪ মার্চ
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2u7s8Xp
March 15, 2019 at 04:53AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন