ঢাকা, ২৪ মার্চ- দীর্ঘ ৫০ বছর গান গেয়েছেন। বিবিসির জরিপে সর্বকালের সেরা ২০টি বাংলা গানের তালিকায় তার গাওয়া গানই চারটি। সেই কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী শাহনাজ রহমত উল্লাহ আর নেই। তবে রয়ে গেছে তার মধুঝরা কণ্ঠের কালজয়ী গানগুলো। এই গানগুলোই তাকে চিরদিন শ্রোতাদের মনে বাঁচিয়ে রাখবে। এগুলো হলো- আবার তোরা মানুষ হ ছবিতে খান আতাউর রহমানের কথা ও সুরে এক নদী রক্ত পেরিয়ে, গাজী মাজহারুল আনোয়ারের কথা ও আনোয়ার পারভেজের সুরে জয় বাংলা বাংলার জয়, একবার যেতে দে না আমার ছোট্ট সোনার গাঁয় ও একতারা তুই দেশের কথা বলরে এবার বল। দেশাত্মবোধক গান গেয়ে জনপ্রিয়তা অর্জন করেন শাহনাজ রহমত উল্লাহ। এ তালিকায় উল্লেখযোগ্য- প্রথম বাংলাদেশ আমার শেষ বাংলাদেশ, আমার দেশের মাটির গন্ধে, আমায় যদি প্রশ্ন করে, একবার যেতে দে না আমার ছোট্ট সোনার গাঁয়, এক নদী রক্ত পেরিয়ে, একতারা তুই দেশের কথা বল রে আমায় বল প্রভৃতি। দেশীয় চলচ্চিত্রের স্বর্ণযুগে প্লেব্যাকে অপরিহার্য ছিলেন শাহনাজ রহমত উল্লাহ। অধিকার ছবিতে সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হকের কথা ও আলী হোসেনের সুরে তিনি গেয়েছিলেন কোন লজ্জায় ফুল সুন্দর হলো। ১৯৯০ সালে ছুটির ফাঁদে ছবির সাগরের সৈকতে কে যেন ডাকে আয় গানটির জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে সেরা গায়িকার সম্মান ওঠে তার হাতে। শাহনাজ রহমতুল্লাহর গাওয়া কালজয়ী গানের তালিকায় রয়েছে- যে ছিল দৃষ্টির সীমানায়, ফুলের কানে ভ্রমর এসে (পিচ ঢালা পথ), ওই ঝিনুক ফোঁটা সাগর বেলায়, পারি না ভুলে যেতে (সাক্ষী), যেভাবে বাঁচি বেঁচে তো আছি, আমি সাত সাগরের ওপার হতে (কত যে মিনতি), শুনেন শুনেন জাঁহাপনা (সাত ভাই চম্পা), কে যেন সোনার কাঠি ছোঁয়ায় প্রাণে, আমি যে কেবল বলে তুমি (আগন্তুক), একটু সময় দিলে না হয় (সূর্য উঠার আগে), স্বপ্নের চেয়ে সুন্দর কিছু নেই, আবার কখন কবে দেখা হবে, যদি চোখের দৃষ্টি দিয়ে চোখ বাঁধা যায়, তোমার আগুনে পোড়ানো এ দুটি চোখে, তুমি কি সেই তুমি, ও যার চোখ নাই (তাসের ঘর), ঘুম ঘুম ঘুম চোখে (ঘুড্ডি), আমি তো আমার গল্প বলেছি, বন্ধুরে তোর মন পাইলাম না, খোলা জানালায় চেয়ে দেখি তুমি আসছো, একটি কুসুম তুলে নিয়েছি, আমায় তুমি ডাক দিলে কে, ওই আকাশ ঘিরে সন্ধ্যা নামে, আমার ছোট্ট ভাইটি মায়ায় ভরা মুখটি, আষাঢ় শ্রাবণ এলে নেই তো সংশয়, বারোটি বছর পরে, আরও কিছু দাও না দুঃখ আমায়, আমি ওই মনে মন দিয়েছি যখন, আমার সাজানো বাগানের আঙিনায়, দিগন্ত জোড়া মাঠ, তোমার আলোর বৃন্তে, এই জীবনের মঞ্চে মোরা প্রভৃতি। ১৯৫৩ সালে জন্মগ্রহণ করা এ শিল্পী ১০ বছর বয়স থেকেই গান শুরু করেন। প্রায় সেই বয়সেই গান করেন চলচ্চিত্র, টেলিভিশন আর বেতারে। এ শিল্পীর কণ্ঠ শুরু থেকেই ছিল বেশ পরিণত। গজল সম্রাট মেহেদী হাসানের শিষ্য হয়েছিলেন তিনি। সংগীতে অবদানের জন্য একুশে পদক, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমী পুরস্কার, বাচসাস পুরস্কারসহ বহু সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন শাহনাজ রহমত উল্লাহ। সূত্র: আরটিভি আর এস/ ২৪ মার্চ



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2FwvwBG
March 24, 2019 at 07:05PM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top