আলিপুরদুয়ার, ১ মার্চঃ পর্যাপ্ত জায়গার অভাবে নবজাতকদের রেখে চিকিত্সার ক্ষেত্রে আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে সমস্যা দেখা দিয়েছে। নবজাতকদের রেখে চিকিত্সার জন্য এই হাসপাতালে সিক নিওনাটাল কেয়ার ইউনিট (এসএনসিইউ)-এ ২০টি শিশুকে রাখার পরিকাঠামো রয়েছে। সূত্রের খবর, প্রতিদিনই এই ইউনিটে ৭০-৮০টি শিশুকে রাখতে হচ্ছে। কোনো কোনো দিন তো এই সংখ্যা ১০০-ও ছাড়িয়ে যাচ্ছে। কর্তপক্ষ অবশ্য পুরোদমে সমস্যা মেটানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। সুপার চিন্ময বর্মন বলেন, এসএনসিইউ-তে প্রচণ্ড চাপ থাকলেও আমাদের পরিসেবায় কোনো ঘাটতি নেই। এসএনসিইউ-র চিকিত্সক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীর সংখ্যা বৃদ্ধির প্রস্তাব পাঠিয়েছি।হাসপাতালের নতুন ভবন হলে এসএনসিইউ-র পরিসরও বাড়বে বলে সুপার জানান। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক পূরণ শর্মা বলেন, জেলা হাসপাতালের এসএনসিইউ-তে চাপ অনেকটাই বেড়েছে। গ্রামীণ হাসপাতালগুলিতেও এসএনসিইউ রয়েছে। কিন্তু অনেকেই তাঁদের সন্তানদের সেখানে না রেখে জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসছেন। গ্রামীণ হাসপাতালগুলির এসএনসিইউ-র উন্নযনে সেখানকার চিকিত্সকদের নিযমিতভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়ার চেষ্টা চলছে বলে মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জানান। পূরণবাবু বলেন, রেফার সংক্রান্ত সমস্যা মেটানোর চেষ্টা চলছে। তাহলে জেলা হাসপাতালের এসএনসিইউ-র উপর থেকে চাপ অনেকটাই কমবে।
আলিপুরদুযার জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, আলিপুরদুযারে জেলা হাসপাতাল ও বীরপাড়া রাজ্য সাধারণ হাসপাতালের পাশাপাশি প্রতিটি গ্রামীণ হাসপাতালে এসএনসিইউ রয়েছে। জেলা হাসপাতালে রোজই জেলার নানা প্রান্ত থেকে রোগীরা আসেন। পাশাপাশি, কোচবিহার জেলার একাংশ ও প্রতিবেশী রাজ্য অসমের একাংশ রোগীও এই হাসপাতালের উপর নির্ভর করেন। এই জেরে জেলা হাসপাতালে অন্যান্য বিভাগের মতো এসএনসিইউ-তেও চাপ লেগেই থাকে। তার উপর জেলার বিভিন্ন গ্রামীণ হাসপাতাল থেকে নবজাতকদের যথেচ্ছভাবে এই হাসপাতালে রেফার করায় সমস্যা বেড়েই চলেছে। আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে এসএনসিইউ ইউনিটটি প্রায দুই বছর আগে চালু হয। চালুর পর থেকে অসুস্থ অনেক শিশুকেই এখানে রেখে সুস্থ করে তোলা হয়েছে। কিন্তু ইদানীং অন্যান্য হাসপাতাল থেকে প্রচুর সংখ্যায় নবজাতককে এই হাসপাতালে রেফার করায় বর্তমানে এই ইউনিটটির উপর চাপ অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। এমনিতে এই ইউনিটে গড়ে রোজই ১২-১৩টি নবজাতক ভরতি হয়। কিন্তু হঠাত্ করেই কয়েকদিন ধরে এই ইউনিটে ভরতি নবজাতকের সংখ্যা ১০০-ও ছাড়িযে যাচ্ছে। এই ইউনিটে ২০টি ওয়ার্মার আছে। পর্যাপ্ত জাযগার অভাবে এই ওয়ার্মারগুলির এক-একটিতে চার-পাঁচটি সদ্যোজাতকে রাখতে হচ্ছে। কিন্তু এভাবে এক-একটি ওয়ার্মারে এতগুলি নবজাতককে রাখলে সমস্যা অনেকটাই বেড়ে যাচ্ছে বলে স্বাস্থ্যকর্মীরা জানিয়েছেন। সার্বিকভাবে জেলা হাসপাতালগুলিতে যেখানে রেফারের পরিমাণ ১৫ শতাংশ সেখানে আলিপুরদুযার জেলা হাসপাতাল এই পরিমাণ পাঁচ-ছয় শতাংশে নামিযে এসেছে। এর পিছনে এই হাসপাতালের সবারই আন্তরিক প্রচেষ্টা রয়েছে। আলিপুরদুযারের অন্যান্য হাসপাতালও যাতে রেফারের সংখ্যা কমায় সেজন্য স্বাস্থ্য আধিকারিকরা চেষ্টা চালাচ্ছেন।
from Uttarbanga Sambad | Largest Selling Bengali News paper in North Bengal https://ift.tt/2IFXOgz
March 01, 2019 at 01:24PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন