ঢাকা, ১৭ মার্চ- দুঃস্মৃতির নিউজিল্যান্ড সফর শেষে নিরাপদে দেশে ফিরেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেটাররা। শনিবার রাতে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পা রাখেন তারা। মৃত্যুর মুখ থেকে ফেরা ক্রিকেটারদের বুকে টেনে নিতে সেখানে হাজির ছিলেন স্বজনেরা। ছেলে মুশফিকুর রহিমকে বুকে জড়িয়ে যেন হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন বাবা মাহবুব হাবিব। পরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন তিনি। জানান, ঘটনার পর ভেঙে পড়েন মুশি। ফোন করে তার সঙ্গে কথা বলার সময় হাউ মাউ করে কাঁদেন। শুধু মুশফিক নন, উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় ছিলেন তার পরিবারের প্রতিটি সদস্য। ক্রিকেটারদের মতো নির্ঘুম রাত কাটিয়েছেন তারাও। মাহবুব হাবিব বলেন, হামলার পর থেকে প্রতিটি মুহূর্ত অস্বস্তিতে কাটিয়েছি। আমরাও রাতে ঘুমাতে পারিনি। নারকীয় ধ্বংযজ্ঞের পর সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায় ক্রিকেটারদের ছবি। ছড়িয়ে পড়া ছবি দেখেই টের পাওয়া যায়- ঘটনায় কতটা হতবিহ্বল ছিলেন মুশফিক। মাহবুব হাবিব বলেন, ফোন করেই কান্নাকাটি করে আমার ছেলে। সে খুবই নরম মনের মানুষ। সাধারণ ঘটনাতেই ভেঙে পড়ে। তবে এখানে দেখে তাকে একটু স্বাভাবিক মনে হয়েছে। ছেলেদের কাছে পেয়ে যেন আনন্দে আটখানা মাহবুব হাবিব। নিজেকে পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী মানুষই মনে হচ্ছে তার। তিনি বলেন, ছেলেদের কারও মনের অবস্থা ভালো নয়। সবাইকে কাছে পেয়ে বুকে টেনে নিয়েছি। এ মুহূর্তে আমার চেয়ে সুখী কেউ নেই। গেল শুক্রবার ক্রাইস্টচার্চের হ্যাগলি ওভালের আল নূর মসজিদে ন্যাক্কারজনক সশস্ত্র হামলায় অন্তত ৪১ জন নিহত হন। আরও বহু মানুষ আহত হন। বর্বর সেই হামলার শিকার হতে পারতেন টাইগাররা। তারা কিছুক্ষণ আগেই জুমার নামাজ পড়তে গেলে ঘটতে পারত কল্পনাতীত কিছু। আল্লাহর অশেষ কৃপায় ভাগ্যক্রমে প্রাণে বেঁচে যান তামিম-মিরাজরা। সূত্র: যুগান্তর আর/০৮:১৪/১৭ মার্চ
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2FkVaJP
March 17, 2019 at 04:48PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন