ঢাকা, ১০ মার্চ- নিজ জন্মস্থান ময়মনসিংহে বেশ কিছু দিন সময় নিয়ে ঘুরে গেলেন উপমহাদেশের প্রখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী ও ভারতের গজল সম্রাজ্ঞী মিতালী মুখার্জি। দীর্ঘ ২৮ বছর পর নিজ জন্মস্থান ময়মনসিংহে এলেন মিতালী মুখার্জি। গত রোববার তিনি তার বড় ভাই দীলিপকে সঙ্গে নিয়ে বেশ কয়েক দিনের জন্য ঘুরতে ময়মনসিংহ এসেছেন। কিছুদিন আগে পুলিশ সপ্তাহের একটি শোতে অংশ নিতে ঢাকায় আসেন মিতালী মুখার্জি। সে অনুষ্ঠানে মিতালী মুখার্জি প্রথমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করার সুযোগ পান। প্রধানমন্ত্রী তার মাথায় হাত বুলিয়ে তাকে আশীবার্দ করেন। আর সেই আশীর্বাদকে সঙ্গে নিয়েই মিতালী মুখার্জি ফিরে গেলেন তার বর্তমান আবাসস্থল ভারতে। সেখানে ফিরে গেলেও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সেই মুহুর্তের স্মৃতি আজীবনের জন্য নিজের মনের মধ্যে গেঁথে রেখে দিয়েছেন মিতালী মুখার্জি। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বিশেষ সেই মুহুর্ত প্রসঙ্গে মোবাইলে ভারত থেকে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে মিতালী মুখার্জি বলেন,মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে এতো মায়া, এতো মমতা, এতো ভালোবাসা বিদ্যমান তা আমি নিজেও সেদিন উপলদ্ধি করেছি। শিল্প, সাহিত্য তথা সংস্কৃতি অঙ্গনের মানুষের প্রতি তার যে অপরিসীম ভালোবাসা সে দৃষ্টান্ততো নানান সময়ে পেয়েছে দেশবাসী, আমিও দেখেছি। তারসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে যখন তিনি আমার মাথায় হাত রাখলেন আমার কাছে তা যেন পুষ্পাঞ্জলির মতো মনে হল। সেই সময়ে তিনি আমার দিকে তাকিয়ে যে মায়া দিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে হাসলেন, কথা বললেন সেই ভালোবাসা আমি যতোদিন বেঁচে থাকবো কোন ভাবেই তা ভুলবো না। মানুষের প্রতি ভালোবাসা দিয়ে, মায়া দিয়ে তিনি সারা বিশ্বে একজন অবিশ্বাস্য রকমের উদাহরণ হয়ে উঠেছেন। মিতালী মুখার্জি ফিরে যাবার আগে এবার বেশকিছদিন নিজের জন্মস্থান ময়মনসিংহে কাটিয়ে গেলেন। তার বাবা যে পুলিশ স্টেশনে চাকরীর সময়কালটাতে ছিলেন সেখানে গিয়ে অনেক আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েছিলেন। ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসক, পুলিশ কশিনার তাকে সংবর্ধনাও জানান। তার বড় ভাই দীলিপও এই সময় দেশের বাইরে থেকে ঢাকায় আসেন। তাই দুই ভাই বোন মিলে পরিকল্পনা করেই ময়মনসিংহে গেলেন মিতালী মুখার্জি। সবের্শষ ১৯৯১ সালে মিতালী মুখার্জি ময়মনসিংহ গিয়েছিলেন। মিতালী মুখার্জির বাবা অমূল্য মুখার্জি ১৯৭৭ সালে ডিআইজি হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন। ১৯৯৫ সালে তার বাবা ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। মারা যাবার আগে ক্যান্সারের শেষ পযোর্য় যখন ছিলেন তখন মুম্বাইতে মিতালী মুখার্জির কাছে ছিলেন। সেই সময়ে মিতালীর বাবার শেষ ইচ্ছে ছিল ময়মনসিংহে একবার হলেও ঘুরে যাবার। কিন্তু মিতালী দুঃখ প্রকাশ করে জানান, বাবার শেষ ইচ্ছেটা তিনি পূরণ করতে পারেননি। তার আগেই তার বাবা মারা যান। বাবার সেই শেষ ইচ্ছেটার কথা মিতালী মুখার্জি ভীষণ তাড়িয়ে বেড়ায়। মুঠোফোনে মিতালী মুখার্জি বলেন, আমার বড় ভাই দীলিপ দার সঙ্গে ময়মনসিংহে ঘুরতে আসতে পারব, এটা আমি কল্পনাও করতে পারিনি। ঈশ্বরের অনেক কৃপা ছিল বলেই এটা সম্ভব হয়েছে। দীঘির্দন পর ময়মনসিংহে এসে কী যে ভালো লাগছে, তা সত্যিই একবাক্যে বোঝানো সম্ভব নয়। মুখার্জি বলেন,আজ আমার বাবা মা নেই এটা সত্যি। কিন্তু এবার বহুকাল পর ময়মনসিংহে গিয়ে আমার মনে হল রক্তের সম্পর্কই সব নয়। এর বাইরেও কিছু সম্পর্ক থেকে যায়। যে সম্পর্কগুলো আত্নার সম্পর্ক। সেই আত্নার সম্পর্কের মানষগুলোর সঙ্গে সময় কাটিয়ে আমি দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে বর্তমান আবাস্থলে ফিরে এসেছি। আমি বিশ্বাস করি আবার ময়মনসিংহে গেলে আমি বেশ ভালোভাবেই সময় কাটাতে পারবো। তার বড় ভাই দীলিপও এই সময় দেশের বাইরে থেকে ঢাকায় আসেন। তাই দুই ভাই বোন মিলে পরিকল্পনা করেই ময়মনসিংহে গেলেন মিতালী মুখার্জি। সবের্শষ ১৯৯১ সালে মিতালী মুখার্জি ময়মনসিংহ গিয়েছিলেন। মিতালী মুখার্জির বাবা অমূল্য মুখার্জি ১৯৭৭ সালে ডিআইজি হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন। ১৯৯৫ সালে তার বাবা ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। মারা যাবার আগে ক্যান্সারের শেষ পযোর্য় যখন ছিলেন তখন মুম্বাইতে মিতালী মুখার্জির কাছে ছিলেন। সেই সময়ে মিতালীর বাবার শেষ ইচ্ছে ছিল ময়মনসিংহে একবার হলেও ঘুরে যাবার। কিন্তু মিতালী দুঃখ প্রকাশ করে জানান, বাবার শেষ ইচ্ছেটা তিনি পূরণ করতে পারেননি। তার আগেই তার বাবা মারা যান। বাবার সেই শেষ ইচ্ছেটার কথা মিতালী মুখার্জি ভীষণ তাড়িয়ে বেড়ায়। মিতালী মুখার্জি সর্বশেষ চ্যানেল আইয়ের সেরা কন্ঠের বিচারক হিসেবে কাজ করেন বাংলাদেশে। ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে পুলিশ সপ্তাহ আয়োজিত অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশনও করেন তিনি। এন এ / ১০ মার্চ
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2J1yP7W
March 10, 2019 at 05:43PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন