কলকাতা, ৩০ মার্চ- বউমার চাকরি করা পছন্দ ছিল না পরিবারের। দেরিতে ঘুম থেকে ওঠা নিয়েও ছিল আপত্তি। আর সে কারণে প্রতিদিন শুনতে হতো কটূক্তি। করা হতো মানসিক নির্যাতন। শুক্রবার সকালে উদ্ধার করা হয় ব্যাংক কর্মী ওই বধূর ঝুলন্ত মরদেহ। শ্বশুর ও শাশুড়িই রোমিতাকে খুন করেছে বলে অভিযোগ পরিবারের লোকজনের। তাদের বিরুদ্ধে পশ্চিমবঙ্গের পাটুলি থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ২০১৭ সালে ভারতের মধ্যমগ্রামের বাসিন্দা রোমিতা চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিয়ে হয় পাটুলির শুভ্রজ্যোতি চট্টোপাধ্যায়ের। শুভ্রজ্যোতি ব্যাংকে কর্মরত। সম্প্রতি ব্যাংকে চাকরি পান রোমিতাও। তারপর থেকে শুরু হয় অশান্তি। তার দেরিতে ঘুম থেকে ওঠা নিয়েও আপত্তি করেছিলেন শ্বশুরবাড়ির লোকজনরা। রোমিতার বাপের বাড়ির দাবি, বিয়ের পর থেকে মেয়ের উপরে চলতো নির্যাতন। সম্প্রতি রোমিতা চাকরি পাওয়ার পর অত্যাচার আরও বেড়ে গিয়েছিল। শুক্রবার সকালে রোমিতার বাপের বাড়িয়ে খবর যায়, মেয়ে অসুস্থ। তাকে পিয়ারলেস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাড়ির লোকজন হাসপাতালে এসে জানতে পারেন, মারা গিয়েছেন রোমিতা। রোমিতার পরিবারের অভিযোগ, নানা অছিলায় নমিতার উপরে অত্যাচার করতে তার শ্বশুর দেবুল চট্টোপাধ্যায় ও শাশুড়ি শিবানি চট্টোপাধ্যায়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। শনিবার বধূর দেহের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পরেই তার মৃত্যুুর কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে। এমএ/ ০৬:০০/ ৩০ মার্চ
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2FNxL3J
March 31, 2019 at 12:18AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন