ঢাকা, ২৯ এপ্রিল- ইউটিউবের ভিউ বিচারে এখন দেশের নারী কণ্ঠশিল্পীদের মধ্যে সবচেয়ে এগিয়ে আছেন জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী দিলশাদ নাহার কনা। অডিও এবং চলচ্চিত্রের গানেও তিনি সমান সফল।গত প্রায় দেড় যুগ ধরে গান করছেন জনপ্রিয় এই সংগীতশিল্পী। তবে শুরুর পথটা এত মসৃণ ছিল না তার। বেশ কাঠখড় পুড়িয়ে নিজেকে এ পর্যন্ত এনেছেন কনা। এর জন্য মেধা, গায়কি, যোগ্যতার পাশাপাশি অনেক সংগ্রামের গল্পও রয়েছে। সংগীতবোদ্ধারা বলেন, যত তাড়াতাড়ি কেউ তারকাখ্যাতি পায়, তত তাড়াতাড়ি সেই খ্যাতি হারিয়ে যাওয়ারও সম্ভাবনা থাকে। সেদিক থেকে কনা হেঁটেছেন উল্টো পথে। তারকাখ্যাতির পেছনে ছুটেননি তিনি, গান করেছেন ভালোবাসা থেকে। আর তাইতো ধীরে ধীরে নিজেকে পরিণত করেছেন এই জায়গাটিতে। পায়ের নিচের মাটি শক্ত করেছেন। আর এই দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে কনা এখন প্লেব্যাক ও অডিওর শীর্ষ একজন সংগীতশিল্পী। ধারাবাহিকভাবে এই দুই মাধ্যমে শ্রোতাপ্রিয় গান উপহার দিয়ে যাচ্ছেন তিনি। আর দেশ-বিদেশের স্টেজ শো তো প্রায়ই মাতাচ্ছেন। গত বছর পোড়ামন-২ ছবিতে ও হ্যাঁ শ্যাম গানটি গেয়ে ব্যাপক সফলতা অর্জন করেন তিনি। এ গানটি ছড়িয়ে পড়ে সারা দেশে। আর তার স্বীকৃতি স্বরুপ সম্প্রতি মেরিল-প্রথম আলো অ্যাওয়ার্ডে সেরা নারী কণ্ঠশিল্পীর পুরস্কার পেয়েছেন কনা। এই স্বীকৃতি নিয়েই তিনি সামনের পথে এগিয়ে যেতে চান। সব মিলিয়ে কনার এখন সুসময়। এদিকে বরাবরের মতো চলতি বছরও অন্যরকম পরিকল্পনা রয়েছে তার গান নিয়ে। তিনি বেশ কিছু নতুন গান নিয়ে হাজির হবেন। এরমধ্যে ইমরানের সঙ্গে তার দুটি গান করা রয়েছে। এগুলো ভিডিওসহ প্রকাশ হবে। তাছাড়া প্রকাশের লক্ষ্যে বেশ কয়েকটি একক গানের কাজও শেষ করেছেন। বিভিন্ন প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান থেকে সেগুলো প্রকাশ হবে। অন্যদিকে, নিজ উদ্যোগে খুব শিগগিরই একটি মিউজিক ভিডিও প্রকাশ করবেন বলেও জানালেন এ শিল্পী। সেখানেও অন্যরকম কনাকে আবিষ্কার করা যাবে। নিজের বর্তমান ব্যস্ততা প্রসঙ্গে কনা বলেন, আসলে কাজের প্রধান স্বীকৃতি হলো দর্শকদের ভালোবাসা। তার সঙ্গে যদি পুরস্কার মেলে তাহলে তো সোনায় সোহাগা! সবার প্রতি তাই কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। আর এ বছর বেশ কিছু গান প্রকাশ হবে। সিনেমায় ও অডিওতে নতুন কাজ করা হয়েছে কিছু। এগুলো বছরের নির্দিষ্ট সময় পর পর প্রকাশ হবে। আমার বিশ্বাস ভালো লাগবে সবার। আমরা সবাই রাজা আমাদের এই রাজার রাজত্বে গানটি শেখার মধ্য দিয়েই কনার গানের ভুবনে পা রাখা। আনুষ্ঠানিকভাবে তার কণ্ঠে গাওয়া প্রথম গানটি ছিল গ্রামছাড়া ওই রাঙা মাটির পথ। জীবনের প্রথম কোনো গানের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে এ শিল্পী দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেন, আর তাও মাত্র পাঁচ বছর বয়সে। ছোটবেলায় স্থির করা জীবনের লক্ষ্যটা বড় হতে হতে অনেকের ক্ষেত্রেই পরিবর্তিত হয়ে যায়, কিন্তু কনা একটু ব্যতিক্রম। তাঁর আজীবনের স্বপ্ন একজন রুনা লায়লা হওয়ার। এমএ/ ০২:২২/ ২৯ এপ্রিল
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://bit.ly/2Weh47s
April 29, 2019 at 08:40PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন