কলকাতা, ০৬ এপ্রিল- ভূত ছাড়া ভোটার সকলেই ! সারা বছর খোঁজ না নিলেও ভোটের দিন অসুস্থ ভোটারকেও বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ভোটের লাইনে দাঁড় করিয়ে দেওয়ার খবরও খুব একটা আশ্চর্যের নয়। কিন্তু যারা জাগতিক এই বিষয়গুলো থেকে অনেক দূরে নিজেদের অবস্থান রাখেন, সেই বৌদ্ধ সাধু-সন্তরা কি ভোট দেন? ভোটার কার্ড আধার কার্ড হাতে হাজির হন ভোট গ্রহণ কেন্দ্রে! প্রশ্ন তো জাগেই। কারণ, আর যাই হোক তাঁরা তো আর ভোট ব্যাংক থেকে ব্রাত্য নন। এই রাজ্যে বসবাস করেন বহু সংখ্যক বৌদ্ধ সন্ন্যাসী। এই কারণেই রাজ্যে বেশকিছু বৌদ্ধ মঠ রয়েছে। কলকাতার টালিগঞ্জ অঞ্চলেও রয়েছে তেমনই একটি মঠ- ভারতীয় সঙ্ঘরাজ ভিক্ষু মহাসভা। কিছুদিন আগেই পরলোকে যাত্রা করেছেন সঙ্ঘের অধ্যক্ষ সম্বধি মহাস্থবির মহারাজ। তাঁর শেষকৃত্যও সম্পন্ন হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই বারাকপুরের বোধি বিহার মঠে। বৌদ্ধ সাধুরা চিরকালই শান্তি অহিংসার বাণীর জন্য পরিচিত। লোকসভার নির্বাচনের সময় বিভিন্ন ক্ষেত্রেই অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে থাকে। অশান্তি ছড়িয়ে থাকে। সেই নিয়েই সাধারণ মানুষের উদ্দেশ্যে অহিংসার বাণী দিলেন ভারতীয় সঙ্ঘরাজ ভিক্ষু মহাসভার সহ সাধারণ সম্পাদক ড. অরুনজ্যোতি ভিক্ষু। জানালেন তাঁরাও অন্যান্যদের মতো ভোট দেন। আর এবার তাঁরা রাজ্য সরকারের কাজে আপ্লুত। সেই সঙ্গে খুশি বৌদ্ধ পূর্ণিমার দিন রাজ্য সরকার ছুটি ঘোষণা করায়। অরুনজ্যোতি ভিক্ষু বলেন, তথাগত গৌতম বুদ্ধ শিক্ষা দিয়েছেন, অহিংসা পরম ধর্ম। গুরু শ্রী সম্বধি মহাস্থবির মহারাজ শিক্ষা দিয়েছেন মানুষে মানুষে ভালবাসার৷ প্রেম, হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ-জৈন-শিখ সকল ধর্ম নির্বিশেষে একটা ভ্রাতৃত্ব বোধ গড়ে তোলার। তিনি জানিয়েছেন, সামনে ভোট রয়েছে। যেটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তাই তারা চান পার্টিগতভাবে কোন দলাদলির মধ্যে না গিয়ে মানুষকে স্বাধীনতা দেওয়া হোক। এতে জনগণ তাদের সরকার বেছে নেবেন। যেহেতু পশ্চিমবঙ্গ সরকার তাদের বৌদ্ধ পূর্ণিমার ছুটি তাদেরকে প্রদান করেছেন দুবছর আগে। তাই তারা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কাছে কৃতজ্ঞ। কৃতজ্ঞতা কি ইঙ্গিত পূর্ণ ? উত্তর মেলেনি৷ এমএ/ ১১:০০/ ০৬ এপ্রিল
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://bit.ly/2D0jZZC
April 07, 2019 at 05:03AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন