কলকাতা, ১৫ এপ্রিল- ফেসবুকে দ্য এন্ড লিখে আত্মহত্যা করলেন এক শিক্ষিকা। শুক্রবার (১২ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৭ টা ৩৪ মিনিটে ফেসবুকে লিখেছিলেন The end। এরপর আর কোনো পোস্ট করেননি তিনি। রোববার (১৪ এপ্রিল) ভোরে নিজ ঘর থেকে মিলল তার ঝুলন্ত দেহ। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বেলদা থানার দেউলী মধ্যপাড়া এলাকার। তৃপ্তি চট্টোপাধ্যায় (৩৯) নামের ওই আত্মহননকারী বেলদা হিমাংশু প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করতেন। তার স্বামী সুমিত চট্টোপাধ্যায় বেলদা ২ অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের বরাত দিয়ে বিভিন্ন ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন তৃপ্তি। নিঃসন্তান ছিলেন ওই দম্পতি। স্থানীয়দের বক্তব্যের সঙ্গে মিল খুঁজে পেয়েছেন বেদলা থানা পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে মানসিক সমস্যাজনিত কারণেই তৃপ্তি আত্মহত্যা করেছেন বলে অনুমান করছেন তারা। এ বিষয় তৃপ্তির স্বামী তৃণমূল নেতা সুমিত চট্টেপাধ্যায় জানান, আত্মহত্যার রাতে তেমন কোনো সমস্যা চোখে পড়েনি আমার। প্রতিদিনের মতো খাবার খেয়ে শুয়ে পড়ি। ভোরে উঠে দেখি স্ত্রীর দেহ ঝুলছে। স্ত্রীর মানসিক অবস্থার বিষয়ে তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে তৃপ্তি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিল। বিনা কারণে কখনও রেগে যেত, আবার কাঁদত। গত ১২ এপ্রিল তৃপ্তি স্কুলে যায়নি। সারাদিন বাসায় ফেসবুকিংয়ে ব্যস্ত ছিল। আমি তার জন্য রান্না করেছিলাম, তা খেয়ে আমার প্রশংসাও করেছিল। তৃপ্তির ফেসবুক ওয়ালে গিয়ে দেখা গেছে, স্বামীর রান্নার প্রশংসার একটি পোস্ট দেয়া রয়েছে। এছাড়াও ১২ এপ্রিল আরও কয়েকটি স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন তৃপ্তি। তার কানের সমস্যার কথা লিখেছেন। একটি পোস্টে লেখা রয়েছে, আমাকে শান্তি দেয়ার কেউ নেই। তবে আমার স্বামীকে আমি ভালোবাসি। পুলিশ ইতিমধ্যে তৃপ্তির মৃতদেহ ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। মানসিক অসুস্থতা ছাড়াও তৃপ্তির মৃত্যুর নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কি না, তদন্তকারীরা তা খতিয়ে দেখছেন। এমএ/ ০৪:৩৩/ ১৫ এপ্রিল
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://bit.ly/2VJnsTO
April 15, 2019 at 10:31PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন