বিশ্বনাথ (সিলেট) প্রতিনিধি :: বিশ্বনাথে স্ত্রী-কন্যাকে জিম্মি করে এক পরিবারকে হয়রানির অভিযোগ সত্য নয় বলে দাবি করে স্থানীয় ইউপি সদস্য ইরন মিয়ার বিরুদ্ধে পাশবিক নির্যাতনের অভিযোগ করেছেন এক তরুণি। রোববার সিলেট প্রেসক্লাবে পাল্টা সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেছেন উপজেলার নোয়াগাঁও পূর্বপাড়া গ্রামের বাসিন্দা এই তরুণি।
লিখিত বক্তব্যে ওই তরুণি বলেন, আপন চাচাতো ভাই দৌলতপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ইরন মিয়া আমার বাবাকে জিম্মি করে গত ৪ এপ্রিল সংবাদ সম্মেলন করে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্য উপস্থান করায়। যা দেখে আমি বিচলিত ও হতবাক হই। তিনি বলেন, মেম্বার ইরন মিয়া ২০০৯ সাল থেকে আমার সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে। সে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্কও গড়ে। অপ্রাপ্ত বয়স্ক থাকায় তেমন কিছু বুঝে উঠতে পারিনি।
তার কথা সরল মনে বিশ্বাস করে সম্পর্ক চালিয়ে যাই। শারীরিক সম্পর্কের কারণে একাধিকবার গর্ভবর্তী হই। প্রতিবারই সুকৌশলে চতুর ইরন গর্ভপাত ঘটায়। একপর্যায়ে বিয়ের জন্য চাপ সৃষ্টি করলে সে তালবাহানা শুরু করে এবং সময় ক্ষেপন করতে থাকে। তার চলচাতুরির কারণে বাধ্য হয়ে ২০১৭ সালের ২০ সেপ্টেম্বর বিশ্বনাথ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করি। মামলা দায়েরের কারণে ইরন ও তার সহযোগীরা আমার উপর একাধিকবার আক্রমণ করে। আক্রমণের ঘটনায় বিশ্বনাথ থানায় সাধারণ ডায়েরি করি। নারী ও শিশু নির্যাতন মামলায় পুলিশ সত্যতা পেয়ে চার্জশীট দাখিল করে।
ইরন মিয়া দোষী সাব্যস্ত হবে বুঝতে পেরে মামলা তুলে নিতে আমার ওপর চাপ সৃষ্টি করে। এতে রাজি না হওয়ায় ইরন ও তার ভাইয়েরা আমি ও আমার মায়ের ওপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায়। মারাত্মক রক্তাক্ত জখম অবস্থায় আমি ও আমার যখন ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি চতুর ইরন তখন ভূমিসংক্রান্ত বিরোধের অভিযোগ এনে বিশ্বনাথ থানায় মিথ্যা মামলা দায়ের করে। এ মামলায় তাদের প্রতিপক্ষ ফখরুল, ফাহিমসহ আমাকে ও আমার মাকেও আসামি করে।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আমার দায়েরকৃত মামলা-মোকদ্দমা ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে ইরন আমার বৃদ্ধ বাবাকে দিয়ে সংবাদ সম্মেলন করিয়ে ফায়দা হাসিল করতে চাচ্ছে। প্রভাবশালী ইরন ও তার সহযোগীদের হুমকিতে আমি ও আমার মা বাড়িঘর ছাড়া। তিনি বলেন, আমাদেরকে কেউ জিম্মি করে রাখে নাই। আমি আশা করি আদালতে আমি ন্যায় বিচার পাব।
from সিলেট – দ্যা গ্লোবাল নিউজ ২৪ http://bit.ly/2U2A7PW
April 07, 2019 at 08:28PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন