কলকাতা, ০১ মে- মুখ বড় করে তৃণমূলের সাংসদ অনুপম হাজরাকে ভাঙিয়ে বিজেপিতে নিয়ে এসেছিলেন তিনি। দলবদলু নেতা হিসেবে বিজেপি শিবিরে মুকুলের পয়েণ্ট বেড়েছিল তাতে। কিন্তু চতুর্থ দফার ভোটে বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতির বাড়িতে গিয়ে অনুপম যে এই কাণ্ড ঘটাবেন সেটা মুকুলের পক্ষে আঁচ করা সম্ভব হয়নি। যাকে বলে একেবারে হাত ফস্কে যেতে বসেছিলেন অনুপম। সাংবাদিকদের সামনে যেভাবে অনুব্রতকে জড়িয়ে ধরেছিলেন অনুপম তা দেখে মুকুলের হৃৎপিণ্ড একেবারে হাতে এসে পড়েছিল বলা যায়। সৌজন্যের রাজনীতির নাম করে অনুব্রতর সঙ্গে দেখা শুধু করেননি অনুপম, তৃণমূল পার্টি অফিসে অন্য কর্মীদের সঙ্গে বসে কবজি ডুবিয়ে খেয়েছেন পর্যন্ত। এই ভিডিও ভাইরাল হতে মুহূর্ত সময় লাগেনি। গোড়ায় গলদ বুঝতে পেরে পরেরদিন সাত সকালে অনুপমকে দিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করান মুকুল। দলবদলুদের ভাবমূর্তি বাঁচাতে এক প্রকার অনুপমকে বলতে বাধ্য করানো হয় যে, তিনি অনুব্রতর বাড়িতে গিয়ে চক্রান্তের শিকার হয়েছিলেন। সাংবাদিকদের আগে থেকেই পরিকল্পনা করে ডেকে রেখেছিলেন বীরভূম তৃণমূল জেলা সভাপতি। অনুপমের এই দাবি যে কতটা ভ্রান্ত সেটা বুঝতে বাকি নেই কারও। কারণ, অনুব্রতর বাড়িতে ভোটের দিন যে মিডিয়া থাকবেই সেটা অজানা ছিল না অনুপমের। তাহলে কেন চক্রান্তের অভিযোগ করছেন? আর চক্রান্ত হচ্ছে যদি বুঝতেই পেরেছিলেন তাহলে অনুব্রতর কথা শুনে তৃণমূল পার্টি অফিসে খেতে বসেছিলেন কেন? যদিও অনুপমের দাবি পার্টি অফিসে একটি কালি মন্দির আছে। তিনি সেই মন্দিরের প্রসাদ খেতে গিয়েছিলেন। অনেকেই প্রশ্ন তুলতে পারেন সে প্রসাদ মন্দিরের না অনুব্রতর সেটা কী অনুপম জানতেন না? নাকি জেনেও না জানার ভান করেছিলেন। নাকি আবারও তৃণমূলে ফেরার রাস্তা তৈরি করাই ছিল লক্ষ্য? সাংবাদিক বৈঠক করে মঙ্গলবার অনুপম যা বললেন, যার মর্মার্থ হয় তিনি অনুব্রতর চক্রান্তের শিকার। সাংবাদিক বৈঠকের মাঝেই মুকুলের হঠাৎ আগমণ বুঝিয়ে দিল শাক দিয়ে মাছ ঢাকতেই অনুপমকে সাফাই গাইতে বাধ্য করেছেন মুকুল। নইলে যে কজনকে তৃণমূল থেকে ভাঙিয়ে এনেছিলেন তাদেরও আর আটকে রাখতে পারবেন না বিজেপিতে। মোদির দাবির উল্টো ফল হবে না তো? এমএ/ ০০:০৫/ ০১ মে
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://bit.ly/2J2g2HI
May 01, 2019 at 06:19AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন