ঢাকা, ০১ মে- বিশ্বকাপগামী বাংলাদেশ দলের অফিসিয়াল ফটোসেশনে উপস্থিত ছিলেন না সাকিব আল হাসান। আইপিএল খেলে আগের দিন রাতেই ঢাকায় এসেছিলেন সাকিব আল হাসান। ফলে পরেরদিন বিসিবিতে এসেও অফিসিয়াল ফটোসেশনে যোগ না দিয়ে চলে যাওয়ার কারণে মিডিয়ায় সাকিবকে নিয়ে নানা রিপোর্ট প্রকাশিত হয়। সাংবাদিকদের অনেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও কঠোর সমালোচনা করেছেন সাকিবের। তার ওপর সাকিবের এই আচরণ নিয়ে কথা বলেছেন খোদ বিসিবি সভাপতি নিজেও। এ নিয়ে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বলেছেন, দুঃখজনক। এটা সাকিবেরই দুর্ভাগ্য। সাংবাদিকদের এই সমালোচনায় ক্ষেপেছেন সাকিবপত্নী উম্মে আহমেদ শিশির। তার মোটেও পছন্দ হয়নি নিজের স্বামীকে নিয়ে এসব সমালোচনা। এ কারণে আজ বিকালের দিকে নিজের ফেসবুক আইডিতে সাংবাদিকদের সমালোচনায় মেতে ওঠেন শিশির। বলতে গেলে সমালোচক সাংবাদিকদের একহাত নিয়েছেন তিনি। উম্মে আহমেদ শিশির তার ক্ষোভের কথাগুলো লেখেন ইংরেজিতেই। শিশির বলেন, সাংবাদিকদের নিয়ে আসলেই আমার বলার কিছু নেই, কেন তারা সাকিব আল হাসানকে এত ঘৃণা করে! আমার ধারণা, এটা আমাদেরই দোষ যে, আমরা তাদেরকে ডিনার বা লাঞ্চে দাওয়াত দিইনি কেন? কিংবা তাদের সঙ্গে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কথা বলে তোষামোদ করিনি, অথবা তাদের দলের ভেতরের খবর বলে দিইনি কেন (এ কারণে)? সাকিব জীবনের এ পর্যায়ে এসেছে কঠোর পরিশ্রম করে। ছোটবেলা থেকে সে বিকেএসপিতে পরিশ্রম করেছে, শুধু ক্রিকেটই ছিল তার ধ্যান-জ্ঞান। ক্রিকেটেই মনোযোগ দিয়েছে। সে অভিনয় শেখেনি কিংবা মানুষের সহানুভূতি নিয়ে খেলা করাও শেখেনি। এখন মনে হচ্ছে সেটা শিখলেই ভালো করত। হয়তো এ কারণেই সে খুব একটা ইতিবাচক মানুষ নয়। যাই হোক সে নিজের ভালো কাজগুলো ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে দেখিয়ে মানুষকে খুশি করতে চায় না এবং মানুষের আগ্রহের কেন্দ্রে থাকতে চায় না। সাংবাদিকদের সমালোচনা শেষ করেই মূল প্রসঙ্গে আসেন শিশির। তিনি বলেন, এখন আলোচনার বিষয় হলো, সে কেন বিশ্বকাপের ফটোসেশনে ছিল না। প্রথমত সে এখানে যেতে পারেনি কিন্তু সেটা ইচ্ছে করে নয়। কারণ, তাকে যে মেসেজ পাঠানো হয়েছিল সেটা ভুল বুঝেছে সে। এর পর সে দায়িত্বপ্রাপ্তদের কাছে ক্ষমা চেয়েছে। আমরা দুঃখিত যে এ বিষয়টা প্রমাণ করার জন্য কোনো কিছু ভিডিও করে রাখিনি। এরপর একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের আলোচনা অনুষ্ঠানের সমালোচনা করেন শিশির। শিশির লিখেন, দ্বিতীয়ত, চ্যানেল২৪ তাদের বিয়ন্ড দ্য গ্যালারি অনুষ্ঠানে দুজন সাংবাদিক সাকিবকে নিয়ে অনেক আজেবাজে কথা বলেছেন। এর মাঝে একটি হলো, সে বিখ্যাত হওয়ার জন্য এসব করছে। আমি যদি ভুল না করি, এটাই ওর সবচেয়ে কম দরকার। এটা আসলে উল্টো, আপনারা (সাংবাদিক) ওকে নিয়ে নেতিবাচক কথা বলে বিখ্যাত হতে চাইছেন। কারণ এটাই ব্যবসা, এ ব্যবসায় এটাই সবচেয়ে লাভজনক এবং আপনাদের প্রোফাইলও ভারী হবে! যদি তার আচরণ নিয়ে প্রশ্ন থাকে তবে যে কোনো খেলোয়াড়কে ব্যক্তিগতভাবে জিজ্ঞেস করুন। মাঠ ও মাঠের বাইরে ভেতরের খবর নিন। বিশ্বকাপ এগিয়ে আসছে। তাকে তার মতো থাকতে দিন। আমার মনে হয় আরও অনেক জিনিস আছে কথা বলার জন্য। শিশিরের ওই স্ট্যাটাসে ভক্তরাও নানা রকম মন্তব্য করে। কেউ সাকিবের পক্ষে মন্তব্য করে। আবার কেউ সমালোচনাও করে। কেউ আবার শিশিরকে ভাবি সাহেবা সম্বোধন করে আশ্বস্ত করেন কেউ সাকিবের কিছু করতে পারবে না। এখানে ভক্তদের কিছু মন্তব্য তুলে ধরা হলো... Musafir Afzal Chy- দেশের ক্রিকেটকে সামনে থেকে নেতৃত্বের ব্যাপারে সাকিবের অবদান কম নয় কখনোই। জার্সি ফটোসেশনে তার আসাটা উচিত ছিল। কিন্তু না আসায় সেটা নিয়ে এত বাড়াবাড়ি মিডিয়ার না করা উত্তম। বাংলাদেশ ক্রিকেটের এত খারাপ অবস্থা না যে ফটোসেশনে না আসলে দলের ঐক্য নষ্ট হয়ে যাবে। বাড়াবাড়ির সীমা থাকাটা ভাল। সেটার সবটুকুই মিডিয়ার কারণে বাড়াবাড়ি রকম হয়ে গেছে। একজন খেলোয়াড় টিম ফটোসেশনে না আসায় বেমানান লেগেছে সেটা বুঝা যায়। কিন্তু তাকে যে পন্থায় বিশ্লেষন করা হচ্ছে মনে হচ্ছে দেশের বিশাল জাতীয় সংকট দেখা দিয়েছে! সাকিব নিয়ে, জার্সির রং নিয়ে যা শুরু হয়েছে মনে হচ্ছে দেশ এক বিশাল জাতীয় সংকটে ভুগছে। সাংবাদিকতা মহান পেশা। আবার কিছু গর্দভ যখন এ পেশায় আসে তারা সেটা মনেও করেনা আইপিএল ক্রিকেটে সাকিবই বাংলাদেশকে একটা মর্যাদা দিয়েছে। কারণ সে ক্রিকেটকে গুরুত্ব দেয়। তার আশপাশের এসব অবাস্তব জিনিসকে নয়। সাকিব পত্নীর জন্য সমবেদনা,তাকে ধন্যবাদ সাকিবের পাশে থেকে এসব উদ্ভট সাংবাদিকতা নিয়ে যথাযথ উত্তর দেবার জন্য। Mahmudul Hasan Shakib- ভাবি সাহেবা, এসব মিডিয়া আর হের্টাস সাকিব ভাইয়ার কিছুই করতে পারবে না। যতদিন,আমরা ভক্তরা আছি, এসব দুইটাকার মিডিয়া কি বলে এসব নিয়ে, মাথা না ঘামানোই ভালো। Md Tanjil Hossain Shams Sumon- ফটোসেশানে যোগ না দেওয়া সাকিবের ভুল ছিল। কিন্তু আজকের স্ট্যাটাসটা দিয়ে অন্যরকম হয়ে গেছে ব্যাপারটা। ব্যাপারটা নিয়ে তো কেউ এতো মাতামাতি করে নাই। সবাই-ই জার্সি নিয়ে ব্যস্ত ছিল। এখন এটা নিয়ে আরো আলোচনা হবে। Mustakim Mahmud Ripon- আমরা বাঙালিরা ভীষণ খারাপ। আমরা এই ছোটো-খাটো বিষয় নিয়ে না ভেবে, তাদের উৎসাহ দেয়া উচিত, যাতে ভাল পারফরম্যান্স করে। জার্সি বা ফটো সেশন কোনো ভাবেই মুখ্য বিষয় হতে পারে না। সাকিব ভাই এগিয়ে যান, আমরা আছি এবং থাকব। Abdur Rahman- আপু বাংলা লিখবেন আমি ইংলিশ বুঝিনা পরবর্তী যে কোন পোস্টে। Mahmodul Hasan- আইপিএলে এবার সাকিবের পারফর্মেন্স বলার মতো কিছুই নাই। একাদশে ও সুযোগ পাচ্ছে না তবে কেনো পড়ে আছে। বাংলাদেশ টিমের সাথে জয়েন করছে না কেনো..? বিসিবি এমন উল্টা পাল্টা কথা অনেকই বলে। সত্যিই কি তাকে চলে আসতে বলছে কি না তার প্রমাণ আমাদের কাছে নাই আর থাকারও কথা নয়। কারণ ম্যাসেজটা সাকিবকে করেছে। আর সাংবাদিক বা দর্শকরা বোর্ডের কাছে বলতেও পারবে না যে প্রমাণ দেখান ম্যাসেজের। সাংবাদিকদের দোষ কেন দিচ্ছেন বোর্ড থেকে যা বলা হয়ছে তার উপর ভিত্তি করেই সাংবাদিকরা বলছে বা লিখেছে। Mahmodul Hasan- আসলটা কার কাছে জানবো? বিসিবিই যখন বলছে আমরা তাকে চলে আসতে বলছি,,, কোচ বলছে তাকে ম্যাসেজ করছি,,,পাপন বলছে না আসাটা দুঃখজনক,,, তখন সত্য মিথ্যা যাচাই করার কি আছে,,,আর করলেও কার কাছে করবো,,,,? সাকিবকে ম্যাসেজ করে বলবো ভাই সত্যি নাকি নাকি তার স্ত্রীকে ম্যাসেজকে বলবো ভাবি ঘটনা সত্যি নাকি...? S-hoBuz S-azian Zenis- সাকিবের জার্সি পছন্দ হয় নাই || সারা বাংলার জনতার পক্ষে সে প্রতিবাদ করেছেন || এভাবে বিষয়টা দেখলেই হয়😃 Mahmodul Hasan- তিনি সাকিব বলেই তাকে নিয়ে সমালোচনা বেশি,,, তার উপর বোর্ড, সাংবাদিক, দর্শক সবারই expectations একটু বেশি,,,আর যখন তার ঘটতি হয় তখনই সমালোচনা হয়,,,, আজ যদি আইপিএলে সে ভালো কিছু করতো তবে সে না আসাতে কেউ কিছু বলতো না,,,, সরাসরি আইল্যান্ডে গিয়েও যদি দলের সাথে যোগ দিত কেউ প্রশ্ন তুলতো না,,,, problem টা হয়ে গেছে তার বাজে খেলার কারণে আর হায়দ্রাবাদের তাকে অবজ্ঞা করার কারণে। Aminul Islam- উচিত কাজ করেছেন ভাবি... প্রত্যেকটা বিষয় নিয়ে মাথা ব্যাথা, অতিরিক্ত মাথা ব্যাথা.. যেগুলো আমাদের ভেতর বিভেদ তৈরি করছে। একজনের পার্সোনাল প্রবলেম থাকতেই পারে তার জন্য সে আসেনি ফটোসেশনে এটা নিয়ে এত বাল ফালানোর কি আছে..?? মনে রাখবেন, সাকিব একটা নাম নয় সাকিব একটা ইতিহাস... Tony Stark- আমার কথা হইলো কেন ফটোগ্রাফার সাকিব এর বাসায় গিয়ে আলাদা করে ফটো তুলে তা ফটোশপ করে বাকি ১৪ জনের সাথে লাগিয়ে নিলো না? তাহলে এতো কিছু হয় না। Farjana Rayhan- এটাতো সামান্য ফটো! যেটাতে জায়গা হয়নি। তুমি তো পুরো বাংলাদেশের প্রতিটা মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছো। এত চিন্তার কিছু নেই। লিজেন্ডদের হেটার্স বেশি। ওয়েল সেইড শিশির আপু। এমএ/ ০০:২২/ ০১ মে
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://bit.ly/2V6jloE
May 01, 2019 at 06:30AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন