কলকাতা, ২৯ মে- কলকাতার প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারের রিলিজ চাইল রাজ্য সরকার। তাঁকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়থেকে রিলিজ করে দেওয়া হোক, এমনটাই চায় রাজ্য। সেই কারণেই কেন্দ্রীয় সরকারকে চিঠি লেখা হল রাজ্য সরকারের তরফে। প্রশাসন সূত্রে এমন খবর মিলেছে। গত ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝি রাজীব কুমারকে কলকাতা পুলিশের কমিশনার পদ থেকে সরিয়ে দেয় রাজ্য। তাঁকে এডিজি সিআইডি পদে নিয়োগ করা হয়। কিন্তু গত ১৯ মে লোকসভা নির্বাচনের শেষ দফার ভোট গ্রহণের আগে রাজীব কুমারকে সরিয়ে দেয় নির্বাচন কমিশন। রাজীব কুমারকে পাঠিয়ে দেওয়া স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে। এর পর থেকে সেখানেই দায়িত্বে রয়েছেন রাজীব কুমার। তবে রবিবার নির্বাচন কমিশনের আদর্শ আচরণবিধি উঠে যাওয়ার পর রাজ্য সরকার রাজীব কুমারকে সিআইডির পুরনো পদে ফিরিয়ে আনে। কিন্তু রাজীব কুমার এখনও সেই পদে যোগ দেননি বলে প্রশাসনের একটি সূত্র থেকে জানা গিয়েছে। তার কারণ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক থেকে সরাসরি এভাবে কোনও অফিসারকে নিয়ে আসার এক্তিয়ার নেই রাজ্যের। এর জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের রিলিজ অর্ডার লাগবে। ওই রিলিজ অর্ডারের জন্যই কেন্দ্রীয় সরকারকে চিঠি লিখেছে রাজ্য সরকার। কলকাতার প্রাক্তন পুলিশ কমিশনারকে নিয়ে যখন এই রাজনৈতিক দড়ি টানাটানি চলছে, তখন রাজীব কুমারকে জেরা করতে মরিয়া প্রচেষ্টা চালাচ্ছে সিবিআই। রাজীব কুমারের বিরুদ্ধে সারদা মামলার তথ্যপ্রমাণ নষ্টের অভিযোগ রয়েছে। চলতি বছরের শুরু থেকেই রাজীব কুমারকে জিজ্ঞাসাবাদ করার চেষ্টা করছিল সিবিআই। একাধিকবার ডাকার পরও রাজীব কুমার না আসায় তাঁর বাসভবনে ফেব্রুয়ারি মাসের গোড়ায় হাজির হয় সিবিআইয়ের একটি দল। তখন রাজীব কুমার কলকাতার পুলিশ কমিশনার। সেদিন কলকাতার রাস্তায় সিবিআই ও কলকাতা পুলিসের মধ্যে কার্যত খণ্ডযুদ্ধ বেঁধে গিয়েছিল। এর পর সুপ্রিম কোর্টে যায় সিবিআই। শীর্ষ আদালত রাজীব কুমারকে জেরার অনুমতি দেয়। কিন্তু রাজীবকে রক্ষাকবচ দেয়। আদালত জানায়, সিবিআই এখনই রাজীবের বিরুদ্ধে কোনও কড়া ব্যবস্থা নিতে পারবে না। শিলংয়ে সিবিআইয়ের জেরার মুখোমুখি হন রাজীব কুমার। কিন্তু সেই জেরার পর্বে রাজীব কুমার সহযোগিতা করেনি বলে সুপ্রিম কোর্টে অভিযোগ তোলে সিবিআই। এর পর রাজীব কুমারের রক্ষাকবচ সরিয়ে নেয় সুপ্রিম কোর্ট। রাজীবকে সাতদিনের সময়সীমা দেওয়া হয় আইনি সহায়তা নেওয়ার জন্য। কিন্তু রাজ্যে আইনজীবীদের ধর্মঘট চলছে, তাই আইনি সহায়তা নিতে পারেননি রাজীব কুমার। এর পরই রাজীবের বিরুদ্ধে লুক আউট সার্কুরাল জারি করে সিবিআই। তার পরই রবিবার সন্ধ্যায় তাঁকে নোটিস দেওয়া হয়। কিন্তু সেই নোটিসেও সিবিআইয়ের সামনে হাজির হননি রাজীব কুমার। বদলে তিনি ৭-১০ দিন সময় চেয়েছেন সিবিআইয়ের কাছে। এমএ/ ০০:১১/ ২৯ মে
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://bit.ly/2I3ZIUT
May 28, 2019 at 08:14PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন