কলকাতা, ১৬ মে- বিদ্যাসাগর কলেজে বিজেপি-তৃণমূল খণ্ডযুদ্ধের পর ঘটনাস্থলে পৌঁছেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তখন হাতে ব্যান্ডেজ লাগানো অবস্থায় তাঁর পাশে দেখা গিয়েছিল তৃণমূলের ছাত্র নেতা তীর্থপ্রতীম সাহাকে। বিজেপি অভিযোগ করেছে, ৪ দিন আগে চোট লেগেছিল ওই ছাত্র নেতার। তীর্থপ্রতীম স্বীকার করে নিলেন, আগে থেকে হাতে চিড় ছিল। অমিত শাহের রোড শো ঘিরে মঙ্গলবার উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বিধানসরণী। বিদ্যাসাগর কলেজের ভিতর থেকে বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে ইট-পাটকেল ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। তার পাল্টা গেরুয়া বাহিনীর বিরুদ্ধে বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙার অভিযোগ উঠেছে। প্রত্যাশিতভাবে অভিযোগ অস্বীকার করেছে গেরুয়া শিবির। ঘটনার পর বিদ্যাসাগর কলেজে পৌঁছন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তখন তাঁর পাশে হাতে ব্যান্ডেজ লাগানো অবস্থায় দেখা গিয়েছিল তীর্থপ্রতীম সাহাকে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ অভিযোগ করেছেন, চার দিন আগে চোট দেখিয়ে নাটক করছেন তৃণমূল নেত্রী। ক্যামেরার সামনে তীর্থপ্রতীম স্বীকার করে নিয়েছেন, তাঁর আগে থেকে চিড় ছিল। তাহলে বিজেপিকে কেন কাঠগড়ায় তুললেন? তীর্থপ্রতীমের দাবি, গন্ডগোলের খবর পেয়ে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে চলে আসি। তখনই আমাকে দেখে লাঠি ছুড়েছিল বিজেপির লোকজনেরা। পুলিসের গার্ডরেলে লেগে সেটি আমার হাতে লাগে। মেডিক্যাল কলেজ থেকে চিকিত্সা করিয়ে বিদ্যাসাগর কলেজে যাই। হাতে চোট দেখেও ওরা হামলা করেছে এতটাই বর্বর। তৃণমূল নেত্রীর পাশে দাঁড়ালেন কেন? তীর্থপ্রতীমের ব্যাখ্যা, ভিড়ের মাঝে হাত বাঁচাতে তৃণমূল নেত্রীর পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। এদিন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের আজ সত্যাগ্রহে উপস্থিত ছিলেন তীর্থপ্রতীম। আপনি কি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র? তাঁর দাবি, ভাষা বিভাগের সার্টিফিকেট কোর্সে পড়াশুনো করেন। সপ্তাহে ৩-৪ দিন ক্লাস থাকে। মঙ্গলবার ক্লাস ছিল? হ্যাঁ স্পেশাল ক্লাসে ডেকেছিলেন ম্যাডাম, জবাব তৃণমূল ছাত্র নেতার। প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলায় তীর্থপ্রতীম যুক্ত ছিলেন বলে অভিযোগ করেছে বিজেপি। তীর্থপ্রতীমের বক্তব্য, আমি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ইউনিট প্রেসিডেন্ট ছিলাম। প্রেসিডেন্সির ঘটনায় ছিলাম না। এমএ/ ০০:১১/ ১৬ মে
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://bit.ly/2LIFKnG
May 16, 2019 at 08:14AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন