ডাবলিন, ১০ মে- বাংলাদেশ দলের উদ্বোধনী জুটি নিয়ে সমস্যার শেষ নেই। বিশ্বকাপে তামিমের সঙ্গী কে হবেন, এখনও সেটা পরিষ্কার না। গত এক বছরের মতো লিটন কুমার দাস ছিলেন তামিমের নিয়মিত সঙ্গী। কিন্তু সৌম্য যেন এলোমেলো করে দিচ্ছেন সব। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) এবারের মৌসুমে নিজের শেষ দুই ম্যাচে একটি শতক ও একটি দ্বিশতকের ইনিংস খেলে আবারও সামনে চলে আসে সৌম্য সরকারের নাম। অথচ এই সৌম্যই ছিলেন এক সময় তামিমের নিয়মিত সঙ্গী। সেই সৌম্য আবারও সুযোগ পেয়েছেন তামিমের সঙ্গে ওপেন করার। ডিপিএলে শতক আর দ্বিশতকের ইনিংস খেলার পর আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজে প্রথম ম্যাচেই সুযোগ পেয়েছেন ওপেনিংয়ে ব্যাট করার। গত বৃহস্পতিবার নিজেদের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ প্রতিপক্ষ ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এদিন ২৬২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৪৫ ওভারেই ম্যাচ শেষ করে আসে বাংলাদেশ। যেখানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল তামিম-সৌম্যর উদ্বোধনী জুটি। এই জুটি থেকে আসে ২৬ ওভারে ১৪৪ রান। যদিও শুরুটা ছিল মন্থর। তামিম এদিন প্রথম ৩০ বলে করেছিলেন মাত্র ৫ রান! আরেক প্রান্তে সৌম্য খেলছিলেন তার স্বাভাবিক খেলাটাই। শেষ পর্যন্ত সৌম্য করেন ৬৮ বলে ৭৩ রান। তামিমও খেলেন ১১৬ বলে ৮০ রানের ইনিংস। শুরুতে তামিম ধীরগতিতে ব্যাটিং করলেও সৌম্যর উপর আস্থা রেখেছিলেন তামিম ইকবাল। আজ ডাবলিনের স্যান্ডিমাউন্ট মাঠে গণমাধ্যমকে এসবই শোনালেন তামিম। একটা সময় ৫ রানের জন্য ৫-১০ বল আটকে গিয়েছিলাম। সুন্দর শট খেলছি ফিল্ডারের হাতে বল চলে যাচ্ছে। কেন যেন সব ঠিকঠাক হচ্ছিল না। তখন যদি সৌম্যরও একই অবস্থা হতো, তাহলে আমাদের একজনকে উইকেট দিয়ে আসতে হতো। সৌম্য যে ধরনের ব্যাটিং করেছে, তাতে আমার ওপর থেকে অনেক চাপ কমে গিয়েছিল। যখন আপনি এভাবে ভুগবেন উইকেট ছুড়ে বলতে হবে, আজ হচ্ছিল না! এটা খুব কঠিন, উইকেটে এভাবে থেকে গেলে দশটা কথা শুনবেন। সম্প্রতি বাংলাদেশ দলে এমন একটা রীতি শুরু হয়েছে যেটা ডানহাতি ও বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের কম্বিনেশন। যে কারণে তামিমের সঙ্গে বেশ কিছুদিন ওপেন করেন লিটন দাস। এর কারণ হিসেবে বলা যায়, প্রতিপক্ষের বোলিং আর ফিল্ডিং পজিশন বারবার এলোমেলো করে দেয়া। কিন্তু এই ম্যাচে তামিম-সৌম্য মিলে যেভাবে ব্যাটিং করেছেন তাতে তামিমের কাছে মনে হয়নি ডান-বাঁহাতির কম্বিনেশন খুব একটা জরুরি। আমি মনে করি না এটা কোনও ব্যাপার। আধুনিক ক্রিকেটে এটা যদি এতই বড় ব্যাপার হতো তাহলে সর্বকালের অন্যতম সেরা জুটি হতো না দুই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান হেইডেন-ল্যাঙ্গারের। অনেক দলের কৌশল থাকতে পারে, আমার কাছে এটা কোনও ব্যাপার না। আগামী ১৩ মে ডাবলিনের মালাহাইড ক্রিকেট মাঠেই অনুষ্ঠিত হবে বাংলাদেশ ওয়েস্ট ইন্ডিজের ম্যাচটি। তার আগে লম্বা বিরতিটাও খেলোয়াড়দের চনমনে রাখবে বলে মনে করেন তামিম ইকবাল। সূত্র: আরটিভি আর/০৮:১৪/১০ মে
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://bit.ly/2E0M3gi
May 11, 2019 at 05:38AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন