ঢাকা, ২০ মে- গত শুক্রবার টরন্টোতে বসবাসরত বাংলাদেশের অন্যতম ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঢাকা কলেজের প্রাক্তন ছাত্রদের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হলো এক ইফতার পার্টি। নগরীর মদীনা গ্রিলে সমবেত হয়েছিলেন সদ্য গঠিত ঢাকা কলেজ গ্রাজুয়েটস ইন কানাডার (ডিসিজিসি) জনা ত্রিশেক সদস্য। ইফতারের পর প্রাক্তন ছাত্ররা পার্শ্ববর্তী জামে আবু বকর সিদ্দিকী মসজিদে একসাথে নামাজ আদায় করেন। এরপর সংগঠনের বিভিন্ন কর্মসূচী নিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করেন সদস্যরা। আগামী ১৩ জুলাই সংগঠনের সদস্যদের পরিবার-পরিজনের অংশগ্রহণে বাৎসরিক বনভোজন অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়াও আগামী ডিসেম্বরে ঢাকা কলেজ সন্ধ্যা উদযাপনের প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সংগঠনের পরিচালক শহীদ খন্দকার টুকু সংশ্লিষ্ট সবাইকে বাৎসরিক বনভোজন সফল করার আহবান জানিয়েছেন। এসব কর্মসূচী নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করতে সংগঠনের সদস্যরা আগামী ১৬ জুন এক সভায় মিলিত হবেন। ইফতার পার্টিতে বিভিন্ন ব্যাচের প্রাক্তন ছাত্রদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের পরিচালক আসাদুল হাকিম (১৯৬০ ব্যাচ), পরিচালক শহীদ খন্দকার টুকু (১৯৭৫ ব্যাচ), মনির ইসলাম, তৌহিদ শামস, ফিরোজ আহমেদ খোকন, আনোয়ার হোসেন, সাজ্জাদুর রহমান, সৈয়দ তানজিন হক, হাসান রহমান, ওমর আল সাজিদ, মোহাম্মদ দোজা, জাহিদুল ইসলাম মোল্লা, রেজাউল হক, কাজী তৌহিদুল ইসলাম, সাকিব আলম, খোন্দকার কায়েস হাসান, মফিজুল ইসলাম হিরু, নজরুল ইসলাম, জিয়া আহমেদ, ইসরাত চৌধুরী, নাহিদুল হাসান, মনজুর মাহমুদ, বিপ্লব চৌধুরী। উল্লেখ্য, টরেন্টো এবং আশেপাশের শহরে বসবাসরত কলেজের প্রাক্তন ছাত্ররা গত ফেব্রুয়ারিতে প্রথমবারের মতো কেনেডি কনভেনশন সেন্টারে আনুষ্ঠানিকভাবে একত্রিত হন ঢাকা কলেজ সন্ধ্যা ২০১৯ উদযাপনের মধ্য দিয়ে। এর আগে, গত ডিসেম্বরে শহীদ খন্দকার টুকু-কে আহ্বায়ক এবং মনির ইসলাম-কে সর্বসম্মতিক্রমে সদস্য সচিব করে ঢাকা কলেজ এলামনাই এসোসিয়েশন, কানাডার আহ্বায়ক কমিটি গঠিত হয়। এ কমিটি ছয় মাসের মধ্যে সংগঠনের নির্বাচিত পরিচালনা কমিটি গঠনের অঙ্গীকার করে। কিন্তু ঢাকা কলেজ এলামনাই এসোসিয়েশন, কানাডার নিবন্ধিত থাকার কারণে সংগঠনের সদস্যরা গত ১৯ এপ্রিল এক সভায় সর্বসম্মতভাবে ঢাকা কলেজ গ্রাজুয়েটস ইন কানাডা নামে নিবন্ধন করার সিদ্ধান্ত নেন। ঢাকা কলেজের প্রাক্তন ছাত্রদের যাবতীয় কর্মকাণ্ড এখন থেকে এ নামেই পরিচালিত হবে। সংগঠনের কর্মকাণ্ডের তথ্য সবাইকে অবহিত করতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে (ফেসবুক) ঢাকা কলেজ গ্রাজুয়েটস ইন কানাডা নামে একটি গ্রুপ সক্রিয় রয়েছে। বর্তমানে এ গ্রুপের সদস্য সংখ্যা প্রায় ৫০ জন। বাংলাদেশের অন্যতম পুরনো এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি ১৮৪১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে এ প্রতিষ্ঠানের ছাত্ররা। -প্রেস বিজ্ঞপ্তি



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://bit.ly/2QgvDFh
May 20, 2019 at 09:58PM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top