কলকাতা, ১৯ মে- ভারতের ১৭তম লোকসভা নির্বাচনের শেষ পর্বে ৭ রাজ্যের ৫৯টি সংসদীয় আসনে ভোট চলছে। রোববার ৭ রাজ্যের মতো পশ্চিমবঙ্গেও চলছে ভোটগ্রহণ। তবে ভোট শুরুর পর থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। জানা যায়, এদিকে সকালে ভোট শুরুর পর থেকেই পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন ভোটকেন্দ্র থেকে বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবর আসতে থাকে। খোদ কলকাতার মুদিয়ালি দেশপ্রান বীরেন্দ্রনাথ ইনস্টিটিউশনে ভোট দিতে এসে কেন্দ্রীয় বাহিনীর বাধার মুখে পড়েন ওই কেন্দ্রের তৃনমূল প্রার্থী মালা রায়। দমদমে প্রিসাইডিং অফিসারকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে স্থানীয় এক তৃনমূল কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে। ক্যামেরার সামনেই কেঁদে ফেলেন প্রিসাইডিং অফিসার। এছাড়া কলকাতার বেলগাছিয়ার গুরুদাসপল্লীর বুথে সিপিএম এজেন্টকে বুথে বসতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তৃনমূলের বিরুদ্ধে। যার প্রতিবাদে রাস্তায় বসে পড়ে বিক্ষোভ দেখান সিপিএম প্রার্থী কণনীকা ঘোষ। বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের মিনাখায় বুথ জ্যামের অভিযোগ ওঠে পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃনমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। প্রতিবাদে স্থানীয় বিজেপির কর্মীরা রাস্তা অবরোধ শুরু করেন। কলকাতার তিলজলায় বিজেপি প্রার্থী রাহুল সিনহাকে ঘিরে বিক্ষোভ ও ইটবৃষ্টি। ইটের ঘায়ে আহত হন ২ বিজেপি কর্মী। অভিযোগ তৃনমূলের বিরুদ্ধে। ওই কেন্দ্রে ছাপ্পা ভোট দানের অভযোগ পেয়ে যান রাহুল সিনহা। জয়নগর কেন্দ্রে ভোটারদের মুড়ি বাতাসা ও ছোলা দিয়ে প্রভাবিত করার অভিযোগ ওঠে শাসক দল তৃনমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। বারাসত কেন্দ্রের দেগঙ্গার পিলাবাড়িয়ায় তৃনমূল বিজেপি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। চলে বোমাবাজিও। মারধোর করা হয় বিজেপি কর্মীদের। উত্তর কলকাতার রবীন্দ্রসরণীতেও বাইকে করে দুস্কৃতীরা এসে বোমাবাজি করে পালিয়ে যায়। ভোটের সময় যতো গড়াচ্ছে, পশ্চিমবঙ্গ ততোই উত্তাল হয়ে উঠছে। এছাড়া সকাল থেকেই ইভিএম বিভ্রাটে রীতিমতো নাকাল হয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন কেন্দ্রের ভোটাররা। রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় ইভিএম খারাপ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। সিপিএম নেতাদের অভিযোগ, আগে থেকে ইভিএম মেশিন খারাপ করে রাখা হয়েছে। তৃণমূলের অভিযোগ, বিজেপি সম্পূর্ণ পরিকল্পনা করে এই কাজ করেছে। নির্বাচন কমিশন বিজেপিকে সাহায্য করছে। সব থেকে বড় কথা, কোনও ক্ষেত্রেই এই ইভিএম দ্রুত বদল করার প্রক্রিয়া হয়নি। সবটাই হয়েছে দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর। সেখানেই কপালে ভাঁজ পড়েছে সিপিএম কংগ্রেস ও তৃণমূল নেতাদের। ইভিএমে কারচুপি করার অভিযোগও উঠেছে। এদিকে ভারতের নির্বাচন কমিশন গত ১০ মার্চ বিশ্বের বৃহৎ এই গণতান্ত্রিক রাষ্টের ৫৪৩ টি আসনে লোক সভা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন। ১১ এপ্রিল প্রথম পর্ব নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এরপর ১৮ এপ্রিল দ্বিতীয় পর্ব, ২৩ এপ্রিল তৃতীয় পর্ব, ২৯ এপ্রিল চতুর্থ পর্ব , ৬ মে পঞ্চম পর্ব, ১২ মে ৬ষ্ঠ পর্ব ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ি আগামী ২৩ মে নির্বাচনী ফলাফল ঘোষণা করা হবে। বর্তমান পার্লামেন্টের মেয়াদ ৩ জুন শেষ হবে। এমএ/ ০২:২২/ ১৯ মে
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://bit.ly/2WdVB1y
May 19, 2019 at 10:32AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন