২০০৭ সালের তামিম ইকবাল এবং ২০১৯ সালের তামিম ইকবাল - ব্যাটিংয়ে বড় ধরনের পার্থক্য লক্ষ্যণীয় তার। ২০০৭ সালের তামিম ইকবালের কথা বললে অনায়াসে দৃশ্যপটে আসে পোর্ট অফ স্পেনে জহির খানের বল উড়িয়ে মারা। ভারতের বিপক্ষে সেই অর্ধশতক তামিম ইকবালের ক্যারিয়ারের অন্যতম হাইলাইটস। কিন্তু সেই তামিম ইকবালের সঙ্গে বর্তমান তামিম ইকবালের মূল পার্থক্য আগ্রাসী মনোভাবে। তামিমের তৎকালীন ওপেনিং পার্টনার শাহরিয়ার নাফিস। বাংলাদেশ দলের খেলা এই ক্রিকেটার বলেন, তামিম এখন যে ব্যাটিং করছেন সেটা অবশ্যই ইতিবাচক, সে তার স্বাভাবিক ব্যাটিং দিয়ে ৮০ থেকে ৯০ স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করছে। এখানে বুঝতে হবে কার ভূমিকা কী। আমি যখন তামিমের সিনিয়র পার্টনার হিসেবে মাঠে নামতাম, আমার রোল ছিল একটু ধরে খেলা, তামিম তখন এগ্রেসিভ ছিল। সৌম্য এখন যেভাবে ব্যাট করছে, সেটা তামিমকে ইনিংস গঠনে সহায়ক ভূমিকা পালন করে, এটা ইনিংসে একটা ভিত গড়ে দেয় বলে মনে করেন শাহরিয়ার নাফিস। কীভাবে বদলেছে তামিম ইকবালের ব্যাটিং? ২০০৭ সালের তামিম ইকবালের রানের গড় ছিল ২১.৫৭। আর গেল বছর ২০১৮ সালে তামিমের গড় ১২ ম্যাচে ৮৫.৫০ রান। ২০১০ সালে তামিম ইকবালের স্ট্রাইক রেট ছিল ৯৬.১৬। ২০১৫, ২০১৬, ২০১৭ ও ২০১৮ এই চার বছরের মধ্যে তামিম ইকবালের সর্বোচ্চ স্ট্রাইক রেট ৮৩.১৪। কিন্তু এই চার বছরে তামিম ইকবালের ব্যাটিং গড় ৪০ এর নিচে নামেনি, সর্বনিম্ন ছিল ৪৫.২২, সর্বোচ্চ ৮৫.৫০ রান। ব্যাটিংয়ের মারকুটে ভাব আগের মতো না থাকলেও তামিম ইকবাল গড়ের দিক থেকে এখন বিশ্বের অন্যতম সেরা ওপেনিং ব্যাটসম্যান। তামিমের শৈশবের গুরু কী বলছেন? বয়সভিত্তিক দলগুলোতে তামিম ইকবালের গুরু ছিলেন নাজমুল আবেদীন ফাহিম। এখনো ব্যাটিং টেকনিক সংক্রান্ত কোন সমস্যায় তামিম ফাহিম স্যারের দ্বারস্থ হন বলে শোনা যায়। ফাহিম তামিম ইকবালের ব্যাটিং নিয়ে বলেন, এখনকার কথা বলতে গেলে তামিমের ব্যাটিংয়ের ধরণ ইতিবাচক। টপ অর্ডারে যারা আছেন তাদের সঙ্গে তামিম যখন খেলে তখন এটা ঠিকই আছে। সৌম্য, লিটন, মুশফিক, সাকিব এরা সবাই বেশ দ্রুত গতিতে রান করেন। এটা ট্যাকটিকালি বেশ ভালো, সেটাই এখন তামিম করছেন যেটা দলের জন্যও উপকারে আসছে, বলছিলেন নাজমুল আবেদীন ফাহিম। তামিম ইকবালের উত্থান তামিম ইকবাল ২০০৫ সালে বাংলাদেশের অনুর্ধ্ব ১৯ দলের হয়ে খেলেন। সেই বার ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৭১ বলে ১১২ রানের একটি ইনিংস খেলেন। বাংলাদেশ ক্রিকেটে সজোরে ব্যাট করার ক্ষেত্রে তামিম ইকবালকে তখন থেকেই দক্ষ মনে করা হতো। বিশেষত অফ-সাইডে তামিম ইকবালের ব্যাটিং ক্রিকেটভক্তদের মুগ্ধ করেছে। ২০০৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে অভিষেক হয় তামিম ইকবালের। টেস্ট অভিষেকে নিউজিল্যান্ডের ডানেডিনে তামিম ৮৪ রানের একটি ইনিংস খেলেন। তামিম ইকবাল ওয়ানডে ক্রিকেটে বাংলাদেশের হয়ে এক ইনিংসে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ১৫৪ রানের মালিক। ২০১৫ বিশ্বকাপ পর্যন্ত ধারাবাহিক না হওয়ার কারণে দলে তামিম ইকবালের অন্তর্ভূক্তি নিয়ে নানা কথা উঠলেও তামিম ইকবাল বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের ব্যাটিং স্তম্ভ হিসেবে সুপরিচিত এখন। সূত্র: কালের কণ্ঠ আর এস/ ২৯ মে
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://bit.ly/2Xdx75U
May 29, 2019 at 01:38PM
এই সম্পর্কিত আরও সংবাদ...
তিন দলের ওয়ানডে টুর্নামেন্টের সূচি প্রকাশ
07 Oct 20200টিঢাকা, ০৭ অক্টোবর- শ্রীলংকা সফর না হওয়ায় ঘরোয়া ক্রিকেট শুরু করছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। দেশের মূল ক্...আরও পড়ুন »
বার্তামেউয়ের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোট!
07 Oct 20200টিবার্সেলোনার বোর্ড নির্বাচন আগামী মার্চে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। ওই সময়ই ঠিক হওয়ার কথা জোসেপ মারিও বার্তা...আরও পড়ুন »
বেতন কাটা নিয়ে বার্সার আলোচনা শুরু
07 Oct 20200টিকরোনার কারণে গত মার্চ থেকে কমাস ফুটবল বন্ধ ছিল। এ সময় বড় ক্লাবসহ বিশ্বের অধিকাংশ ক্লাবই ফুটবলারদের ব...আরও পড়ুন »
অস্ট্রেলিয়া-ভারত গোলাপি বলের টেস্ট চূড়ান্ত
07 Oct 20200টিক্যানবেরা, ০৭ অক্টোবর- এ বছরের শেষ দিকে অস্ট্রেলিয়া ও ভারতের চার টেস্টের সিরিজ দিবারাত্রির ম্যাচ দিয়...আরও পড়ুন »
নারীর প্রতি মনোভাব বদলের ডাক মাশরাফীর
07 Oct 20200টিঢাকা, ৭ অক্টোবর- উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে নারীর প্রতি সহিংসতার হার। সিলেটে এমসি কলেজসহ নোয়াখালীর বেগমগঞ্...আরও পড়ুন »
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Click to see the code!
To insert emoticon you must added at least one space before the code.