নুসরাত ফারিয়া মাজহার। বাংলাদেশ থেকে ভারত কাঁপিয়ে বেড়াচ্ছেন তিনি। ২০১৫ সালে বাংলাদেশ-ভারত যৌথ প্রযোজনার আশিকী চলচ্চিত্র দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক বাংলাদেশি এই মডেলের। সম্প্রতি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন তিনি। সাক্ষাৎকারে খোলামেলা আলোচনা করেছেন এই নায়িকা। সাক্ষাৎকারের চুম্বকাংশ তুলে ধরা হলো: আপনার সম্পর্কে অভিযোগ আছে। পাঁচতারা হোটেলের মালিকরা আপনাকে ভয় পান! (প্রচণ্ড হাসি) আমি বুঝেছি আপনি এ রকম কেন বললেন। এত অল্প বয়সে শো হোস্ট করা, আর জে, আবার অভিনেত্রী। সামলাচ্ছেন কী করে? আমি চব্বিশ ঘণ্টা কাজ করি। দেখুন, এত কিছু করতে করতে পড়াটাও চালিয়ে যাচ্ছি। এভাবেই চলতে চাই। প্রথমে তো ভাবিনি অভিনেত্রী হব। স্টেজ শো করতাম। উপস্থাপিকা ছিলাম। সেখান থেকে আর জে। তার পর প্রথম ছবির প্রস্তাব এল। আজিজ ভাই বললেন ছবি করার কথা। সেখান থেকে কলকাতায় আজিজ ভাই আর এসকে মুভিজের কর্ণধার আসেন। আশিকী তৈরি হয়। অঙ্কুশ আমার হিরো ছিল। প্রথম বার খুব টেনশন ছিল ছবিটা কেমন হবে। কারণ, ২০১৫-য় কুরবানি ঈদে ছবি মুক্তি পায়। সে সময় সঙ্গে আরও বিখ্যাত ছবি ছিল। কিন্তু ছবিটা ভালো চলেছিল। এক রাত্রে আশিকীর সাফল্য আমায় অভিনেত্রী করেছিল। বাংলাদেশে হিউজ রেসপন্স ছিল। আমি ডিবেট দিয়ে শুরু করে ছবিতে এলাম। আমি এই সময়টার জন্য অপেক্ষা করছিলাম। মাঝে অন্য কিছু করিনি। আশিকী-র পরে নিজেকে সংশোধন করতে শুরু করলাম। সেটা কী রকম? দেখুন লোকে ভাবে বাংলাদেশের নায়িকা মোটা হবে। এটা আমি ভেঙে দিতে চেয়েছিলাম। ভেবেছিলাম নিজের মধ্যে এমন কিছু আনতে হবে যার জন্য মানুষ আমার কাছে আসবে। আগেই বললাম না, আমি একদিন টেলিভিশন না দেখে থাকতে পারব, কিন্তু জিমে না গিয়ে বাঁচতে পারব না। জিমে কোন দিন কী কাপড় পরব-সেটাও আমার ঠিক করা থাকে। খাওয়া-দাওয়ার ব্যাপারেও তাই। আমি হোটেলে থাকলে শেফের সঙ্গে বন্ধুত্ব করে নিই। বলি, ভালবেসে আমাকে বেশি বেশি দিয়ে দেন না যেন। কম কমে আমি খুশি। লোকে বলে, আপনার কম পোশাক পরার প্রবণতা আছে। দেখুন বিতর্ক, সমালোচনা আমায় রোজ শুনতে হয়। আমি যে কাপড়ে কমফর্টেবল দেখি, আমায় সুন্দর লাগে, আমি পরি। আমি লোকের কথা ভেবে চললে এই জায়গায় আসতে পারতাম না। মানুষ যক্ষের মতো বসে থাকে আমি কী কী করছি, পরছি। বিতর্ক আপনার পিছু ছাড়ে না। আল্লাহ মেহেরবান গান নিয়ে তো সমালোচনার ঝড় উঠেছিল... আমি জানি, অনেকে আমাকে এই গান নিয়ে যা নয় তাই বলেছিলেন। আমার মনে হয়, সবার এতটুকু বিবেকবোধ ও বিবেচনা থাকা উচিত যে এটা অভিনয়। কোনো কিছুকে আঘাত করার জন্য নয়। কখনোই শিল্পীর তার নিজের পছন্দমতো গানের সঙ্গে পোশাক পরে নাচ শুরু করে দিতে পারে না। এটা কিন্তু পুরো টিমের সিদ্ধান্ত। গানটির জন্য প্রায় তিন মাস পরিশ্রম করেছি। নাচের দিকে মনোযোগ দিয়েছি। এটুকুই বলার। এ বছরের কাজ কেমন চলছে? এ বছরে আমি শাহেনশাহ করলাম শাকিব খানের সঙ্গে। দুয়া করি এটা ভালো হবে। অঙ্কুশের সঙ্গে বিবাহ অভিযান-এর কাজ শেষ হলো। আপনার দশটা ছবির সাতটাই তো কলকাতার! কলকাতা আমার আর একটা বাড়ি। এখানকার মানুষ, ফিল্ম ইউনিট, স্পট-সবই আমার চেনা। অসংখ্য প্রেমের প্রস্তাব কেমন করে সামলান? সামলানোর কিছু নেই। আমি মনে করি প্রেম, ভালোবাসার প্রস্তাব আসলে ব্লেসিংস (আশীর্বাদ)। আমি প্রপোজাল হিসেবে নিই না। মানুষ আমায় নিয়ে ভাবছে। আর প্রেম? আমার কোনো প্রেম তিন মাসের বেশি টেকে না। আবার ব্রেক আপ জোনে যাই। আবার প্রেম। অভিনেত্রীর জন্য এটা খুব হেলদি। সে কী! আরে ব্রেকআপ হয়েছিল বলে পটাকা-র মতো গান করতে পেরেছি। যা সুপারহিট। পশ্চিমবঙ্গের নুসরাতকে চেনেন? খুব ভালো করে। উনি তো নির্বাচনে দাঁড়িয়েছেন। ওর জয় হোক। আর এস/ ১৪ মে
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://bit.ly/2vZ9kuk
May 14, 2019 at 09:34AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন