কলকাতা, ২৬ মে- মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দিতে চেয়েছিলাম। দল মানতে রাজি হয়নি। রাজ্যে তৃণমূলের বিপর্যয়ের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে একথাই বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর মমতার সেই প্রতিক্রিয়াকে আদতে নাটক বলে মনে করছে বিজেপি নেতৃত্ব। শনিবার মমতার সংবাদিক বৈঠকের পর বিজেপির কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কৈলাশ বিজয়বর্গী বলেন, এটাই ভাল যে তিনি অন্তত হার স্বীকার করেছেন। কিন্তু পদত্যাগের ইচ্ছেটা শুধুই নাটক আর সহানুভূতি কুড়নোর চেষ্টা ছাড়া কিছুই নয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, তৃণমূল সরকার ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করে বিজেপি ভুল করছে। এই প্রসঙ্গে বিজয়বর্গী বলেন, তৃণমূলের নিজের দোষেই খারাপ ফল হয়েছে। তিনি আরও বলেন, আমরা সরকার ফেলার চেষ্টা করব না। সরকার নিজের থেকেই পড়ে যাবে। বিজয়বর্গীর মতে, তৃণমূল নেতারা মমতার উপর আস্থা হারাচ্ছেন। তাঁরা হতাশ। তিনি বলেন, তৃণমূল নেতারা যদি আমাদের কাছে এসে মমতার অপশাসন নিয়ে অভিযোগ করেন, তাহলে আমরা কী করতে পারি? লোকসভায় একেবারেই আশানুরূপ ফল হয়নি তৃণমূলের। যেখানে ৪২টি আসনের আশা ছিল, সেখানে মিলেছে মাত্র ২২টি। ১৮টি গেরুয়া শিবিরের দখলে। আর তাতেই মাথায় হাত পড়েছে মমতার। ফলাফলের ৪৮ ঘণ্টা বাদে প্রথম সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন তিনি। রবিবার সেই সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, নির্বাচন কমিশনে অনেক অভিযোগ জানানো হয়েছে, কোনও লাভ হয়নি। সবকিছুই বিজেপির নিয়ন্ত্রণে ছিল বলে অভিযোগ মমতার। বিজেপিকে অভিনন্দন জানিয়েও মমতা বলেন, কিন্তু উগ্র হিন্দুত্ববাদ আমি মানি না। বলেন, সহনশীলতা থাকা উচিৎ। রাজনীতির সঙ্গে ধর্ম মিলবে না। আরও বলেন, হিন্দু, মুসলিম, শিখদের মধ্যে ভোট ভাগাভাগি মানব না, তাতে এক থাকতে হলেও থাকব। মমতার অভিযোগ, পাঁচ মাস ধরে কোনও কাজ করতে দেওয়া হয়নি। রাজ্যে এমার্জেন্সির মত পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছিল। সাম্প্রদায়িকতার বিষ ছড়িয়ে বিজেপি জিতেছে বলে দাবি মমতার। তাঁর আরও অভিযোগ পুলিশ অফিসারদের পদ থেকে সরিয়ে রাজ্যে টাকা ঢোকানোর ব্যবস্থা করেছিল বিজেপি। এমএ/ ০৫:২২/ ২৬ মে
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://bit.ly/2Xd4ZA0
May 26, 2019 at 01:19PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন