মাস্কাট, ১১ মে- মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম শান্তিপ্রিয় দেশ ওমান। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রবাসীদের মধ্যে বাংলাদেশিদের সুখ্যাতি একটু আলাদা এই দেশে। সততা, কর্মদক্ষতা আর উদ্যোক্তায় সফল হওয়ায় বাংলাদেশিদের প্রতি অন্যরকম এক ভালো লাগা রয়েছে ওমানিদের। দীর্ঘ দিনের শ্রম সাধনায় গড়ে ওঠা সেই সুখ্যাতিতে এখন কালো দাগ লাগাতে শুরু করেছে এক শ্রেণির প্রতারকচক্র। যারা বাংলাদেশ থেকে ওমানে এসে বিভিন্ন ধরনের অবৈধ ব্যবসায় লিপ্ত হয়ে বাংলাদেশিদের সম্পর্কে বিরূপ ধারণা তৈরি করছেন। ওই বাংলাদেশিদের একজন আহসান হাফেজ সাঈদ ওরফে আবু সাঈদ। যিনি ওমানে হাফেজ সাঈদ হিসেবে সবচেয়ে পরিচিত। একজন শ্রমিক হিসেবে ওমানে আসলেও পরবর্তীতে অবৈধ ভিসা ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। শুধু তাই নয়, ভিসা ব্যবসার মাধ্যমে বাংলাদেশের বহু মানুষের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা নেওয়ারও অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে। হাফেজ সাঈদের বিরুদ্ধে ওমানে বাংলাদেশিদের পুলিশে ধরিয়ে দেওয়ার মতো গুরুতর অভিযোগও রয়েছে। হাফেজ সাঈদের বিরুদ্ধে যত অভিযোগ কুমিল্লার সোহাগ রহমান নামে ওমানপ্রবাসী এক ব্যক্তি অভিযোগ করে বলেন, সাঈদ এর মাধ্যমে আমার এলাকার পাঁচজন লোক ওমানে নিয়ে এসেছি। ভিসা বিক্রির আগে ৪০ হাজার টাকা বেতনে সুপার শপে চাকরি দেওয়ার কথা বলেছিল সে। কিন্তু ওমানে ওইসব ব্যক্তিদের নিয়ে আসার পর তাদের কোনো কাজই দেয়নি। এর আগে সাঈদের প্রলোভনে পড়ে সোহাগ ফরিদপুর থেকে তার স্ত্রীর মামাতো ভাইকে (ইয়াসিন) কাজ দেওয়ার কথা বলে ওমানে নিয়ে যান। ওমান আনার পর একটা মোটর গ্যারেজে কাজ দেন তিনি। কিন্তু ওই গ্যারেজে কাজ করে কোনো বেতন না পাওয়ায় অবশেষে পুলিশ দিয়ে ধরিয়ে দেন এই হাফেজ সাঈদ। ভিসা দেওয়ার কথা বলে নিজ জেলা ফরিদপুরের লক্ষিপুর গ্রামে রুবেল নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে সাড়ে ৪ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন সাঈদ। ভিসার আড়ালে জিম্মি করে টাকা আদায়েরও অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে। এ ছাড়া ভিসা নিয়ে হাফেজ সাঈদের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ তুলেছেন মাগুরা জেলার ওমান প্রবাসী জামির হোসেন। তিনি বলেন, ২০টি ভিসা দেওয়ার কথা বলে সাঈদ টাকা নিয়ে দীর্ঘ এক বছর ঘুরিয়েছে আমাকে। এখন টাকা দেওয়ার ভয়ে পলাতক রয়েছে সে। কে এই হাফেজ সাঈদ? আবু সাঈদ ওরফে হাফেজ সাঈদের বাড়ি ফরিদপুরের সদরপুর থানার কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের নিজগ্রামে। ২০০৭ সালে নিজ এলাকা নতুন বাজারের এক মসজিদে ইমামতি করতেন তিনি। এরপর সেখানে থাকা অবস্থায় এক মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক করে বিয়ে করেন। পরে কিছুদিন কাপড়ের ব্যবসা করেছেন। ২০১১ সালে পারিবারিক কলহে এক প্রতিবেশীতে হত্যার অভিযোগ উঠে তার বিরুদ্ধে।সেই হত্যা মামলায় আসামি হওয়ার পর ওমানে আসেন। শুরুতেই ওমানে শ্রমিক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করলেও পরবর্তীতে অবৈধ ভিসা ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েন হাফেজ সাঈদ। বর্তমানে ওমানের সালালাহ থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত তামরিদ নামক এলাকার একটি মসজিদে ইমামতি করছেন বলে জানা গেছে। ফরিদপুর জেলা জজ আদালতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হাফেজ সাঈদের বিরুদ্ধে বর্তমানে ফরিদপুর জেলা জজ আদালতে একটি খুনের মামলা চলমান রয়েছে। হাফেজ সাঈদের অভিযোগ নিয়ে বক্তব্য হাফেজ সাঈদের বিষয়ে জানতে চাইলে তার চাচা কাশেম মাতুব্বর সত্যতা স্বীকার করেন। তিনি বলেন, ইতিমধ্যেই দেশে মামলা মীমাংসার জন্য সাঈদ নয় লাখ টাকা দিয়েছে, আরও কিছু টাকা বাকি আছে। সেই টাকা দিলে বাদীপক্ষ মামলা তুলে নেবে বলে রাজিও হয়েছে। এসব অভিযোগের সত্যতা জানতে চেয়ে হাফেজ সাঈদকে ফোন দেওয়া হলে তা অস্বীকার করেন তিনি। একপর্যায়ে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে এ প্রতিবেদককে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন তিনি। এসব বিষয়ে ওমানে বাংলাদেশ দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত মো. গোলাম সারোয়ার বলেন, ভুক্তভোগীরা প্রমাণসহ দূতাবাসে অভিযোগ করলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এমএ/ ১১:৩৩/ ১১ মে
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://bit.ly/2LCVtot
May 12, 2019 at 05:34AM
এই সম্পর্কিত আরও সংবাদ...
ফিলাডেলফিয়ার রাজনীতিতে বাংলাদেশি অভিবাসীদের জয়জয়কার
07 Oct 20200টিপেনসিলভানিয়া, ৭ অক্টোবর- যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার সনদ যে নগরীতে গৃহীত হয়েছিল, সেই ফিলাডেলফিয়ার রাজন...আরও পড়ুন »
দক্ষিণ আফ্রিকায় সন্ত্রাসী হামলার গোলাপগঞ্জের যুবক নিহত
05 Oct 20200টিকেপটাউন, ০৫ অক্টোবর- দক্ষিণ আফ্রিকায় সন্ত্রাসীদের হামলায় সিলেটের গোলাপগঞ্জের যুবক জাকির হোসেন (৩৫) ন...আরও পড়ুন »
নিউইয়র্কে আওয়ামী লীগের সমাবেশে হট্টগোল
03 Oct 20200টিনিউইয়র্ক, ০৩ অক্টোবর- যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে আওয়ামী লীগের সমাবেশে আবারও হট্টগোলের ঘটনা ঘটেছে। বাংল...আরও পড়ুন »
নিউইয়র্কে গাড়ির ধাক্কায় বাংলাদেশি যুবকের মৃত্যু
03 Oct 20200টিনিউইয়র্ক, ০৩ অক্টোবর-যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের জেরিকোর লং আইল্যান্ড এক্সপ্রেসওয়েতে হেঁটে যাওয়ার সম...আরও পড়ুন »
জার্মানিতে বাংলাদেশি প্রবাসীর শতাধিক বাড়ি
02 Oct 20200টিবার্লিন, ০২ অক্টোবর- নিজের জমানো টাকায় কিশোর বয়স থেকে ব্যবসা শুরু করে জার্মানিতে এখন শতাধিক বাড়ির ম...আরও পড়ুন »
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Click to see the code!
To insert emoticon you must added at least one space before the code.