বিশ্ব ক্রিকেটের বেশ পরিচিত ও চেনামুখ এখন রশিদ খান। বিশ্বজুড়ে নামিদামি সব ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলে ইতোমধ্যেই বেশ সুনাম কুড়িয়েছে ২০ বছর বয়সী এই তরুণ। শুধু ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক ক্রিকেটে নয়, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও রশিদের কদর এখন বেশ। আইসিসির আয়োজিত ক্যাপ্টেন্স ডে অনুষ্ঠানে তা যেন আরও একবার প্রমাণিত হলো। গতকাল (বৃহস্পতিবার) বিশ্বকাপে নিতে যাওয়া ১০ দলের অধিনায়কদের নিয়ে ক্যাপ্টেন্স ডে আয়োজন করা হয়। যেখানে প্রত্যেকটি দলের অধিনায়করা পরস্পরের সঙ্গে আড্ডা দেয়ার পাশাপাশি এক ঘণ্টার প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশ নেন। সেই প্রশ্নোত্তর পর্বেই দর্শকসারিতে থাকা এক আফগান সাংবাদিক প্রথা ভঙ্গ করে নিজ দেশের অধিনায়ক গুলবাদীন নাইবের উদ্দেশে প্রশ্ন করার আগে ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলির কাছে প্রশ্ন ছুঁড়েন। তিনি কোহলির কাছে জানতে চান, আফগানিস্তানের সেরা অস্ত্র রশিদ খানকে কেমন লাগে? আইপিএলে শেষ তিন বছর ধরে নিয়মিত খেলছেনে রশিদ। সেখানে তো এখনো রশিদ-রহস্য উন্মোচন করা যাচ্ছে না। প্রতিপক্ষি হিসেবে তাই নিশ্চয়ই রশিদকে পছন্দ হওয়ার কথা নয়। সেই কথা ঝরল কোহলির কণ্ঠেও, ওকে আমি তিন বছর ধরে আইপিএলে বল করতে দেখছি। এবারই প্রথম আমি ওর বিপক্ষে খেলিনি। এটা দুর্ভাগ্যজনক! কারণ রশিদও বলেছে, ও আমার বিপক্ষে বল করার অপেক্ষায় ছিল। আমি ওর বিপক্ষে ব্যাট করতে মুখিয়ে ছিলাম। তিন বছরে এই প্রথম আমি বাইরে বসে ওর কোন বল কেমন হবে সেটা বলার চেষ্টা করেছি। দশবারের মধ্যে নয়বার সঠিক বলতে পেরেছি। তিন বছরে এই প্রথম! সে এতটাই ভালো। এরপর লেগ স্পিনার রশিদ কেন অন্য সবার চেয়ে আলাদা তার ব্যাখ্যা দেন ভারত অধিনায়ক। রশিদে মুগ্ধ কোহলি বলে যেতে থাকেন, সে অসাধারণ। তার বোলিং দক্ষতা দারুণ। ওর গতিটাই আলাদা করে দেয় সবকিছু । ওর বোলিং গতির তারতম্য সূক্ষ্ম। বল বোঝার কোনো সুযোগই সে দেয় না। ফ্লাইটের বলও ব্যাটে এত দ্রুত আসে! কিছু বুঝে ওঠার আগেই প্যাডের ফাঁক দিয়ে যায়, এলবিডব্লু বা বোল্ড হয়ে যায় ব্যাটসম্যান। রশিদ খান দুর্দান্ত বোলিংয়ের পাশাপাশি মাঠে খুব আগ্রাসী। মাঠে আগ্রাসী আচরণ করার জন্য কোহলিরও নামডাক আছে বেশ। রশিদের খেলার প্রতি এই নিবেদন তাই বেশ ভালো লাগে ভারতীয় কাপ্তানের। কোহলি বলেন, রশিদের মধ্যে ফাস্ট বোলারের সেই আগ্রাসী মনোভাবটা আছে। একজন স্পিনারের মধ্যে এটা দেখা খুবই বিরল। আমি প্রতিদ্বন্দ্বী মনোভাবের লোক পছন্দ করি এবং ওর আচরণ আমার দারুণ লাগে। ওর জন্য শুভকামনা। কারণ ও যখন ভালো বল করে তখন আপনাকে সেটা স্থির হয়ে বসে দেখতেই হবে। আফগানিস্তানের জন্য বিশ্বকাপে খুবই গুরুত্বপূর্ণ হবে সে। এমএ/ ০৯:৪৪/ ২৪ মে
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://bit.ly/30EGRYS
May 24, 2019 at 05:59AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন