ঢাকা, ২৪ মে- একুশে পদকপ্রাপ্ত নজরুলসঙ্গীতশিল্পী, গবেষক ও স্বরলিপিকার খালিদ হোসেনকে কুষ্টিয়ার কোর্টপাড়া পৌর গোরস্থানে মায়ের কবরে চিরশায়িত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত ১০টা ১৫ মিনিটে তার তৃতীয় নামাজের জানাযা শেষে তাকে চির নিদ্রায় শায়িত করা হয়। খালিদ হোসেনের ছেলে আসিফ হোসেন বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে বৃহস্পতিবার বাদ ফজর মোহাম্মদপুরের তাজমহল রোডের বাইতুল আমান মিনা মসজিদে তার প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর সকাল ১০টায় তার মরদেহ জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ইনস্টিটিউটে নিয়ে সকাল ১১টা পর্যন্ত রাখা হয়। সেখানে দ্বিতীয় জানাজা সম্পন্ন হওয়ার পরে তার মরদেহ নিয়ে কুষ্টিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা করেন পরিবার। বুধবার রাত ১০টা ১৫ মিনিটে ঢাকার জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন খালিদ হোসেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর। খালিদ হোসেন দীর্ঘদিন ধরে হার্ট, কিডনি ও ফুসফুসের সমস্যার পাশাপাশি বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছিলেন। গত ৪ মে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। ১৯৩৫ সালের ৪ ডিসেম্বর পশ্চিমবঙ্গে জন্ম খালিদ হোসেনের। দেশভাগের পরে পরিবারসহ বাংলাদেশে স্থায়ী হন তিনি। সঙ্গীত প্রশিক্ষক ও নিরীক্ষক হিসেবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়, দেশের সব মাধ্যমিক-উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড ও বাংলাদেশ টেক্সট বুক বোর্ডে তিনি দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া তিনি নজরুল ইনস্টিটিউটে নজরুলগীতির আদি সুরভিত্তিক নজরুল স্বরলিপি প্রমাণীকরণ পরিষদের সদস্য। খালিদ হোসেনের গাওয়া ছয়টি নজরুল সঙ্গীতের অ্যালবাম প্রকাশিত হয়েছে। আধুনিক গানের একটি ও ইসলামী গানের ১২টি অ্যালবামও প্রকাশ পেয়েছে গুণী এই শিল্পীর কণ্ঠে। সঙ্গীতে অসামান্য অবদানের জন্য ২০০০ সালে খালিদ হোসেন একুশে পদকে ভূষিত হন। এছাড়া তিনি পান নজরুল একাডেমি পদক, শিল্পকলা একাডেমি পদক, কলকাতা থেকে চুরুলিয়া পদকসহ অসংখ্য পুরস্কার ও সম্মাননা। এমএ/ ০৯:৪৪/ ২৪ মে
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://bit.ly/2M7mWP5
May 24, 2019 at 05:51AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন