বার্সেলোনা, ১৭ মে- বুধবার লিগের শেষ ম্যাচে ডি গ্রাফস্কপকে ৪-১ গোলে হারিয়ে ডাচ লিগের ৩৪তম শিরোপা জিতে নিয়েছে আয়াক্স। আর শিরোপা জেতা এই ম্যাচের মধ্যদিয়েই শেষ হলো ফ্রেঙ্কি ডি ইয়াংয়ের আয়াক্স অধ্যায়। লিগ শিরোপা জিতে শেষ, আয়াক্সে ডাচ তরুণের শেষটা হলো রূপকথার মতো। এবার আরেক রূপকথার স্বপ্ন নিয়ে ডি ইয়াং যোগ দিতে যাচ্ছেন বার্সেলোনায়। বার্সার সঙ্গে ২২ বছর বয়সী ডাচ তরুণের চুক্তিটা হয়েছে গত জানুয়ারিতেই। অপেক্ষা ছিল শুধু মৌসুম শেষ হওয়ার। সেই অপেক্ষার পর্ব বুধবারই শেষ হয়ে গেছে। ফ্রেঙ্কি ডি ইয়াংয়ের এখন আর ন্যু-ক্যাম্পে যোগ দিতে কোনো বাধা নেই। আনুষ্ঠানিকভাবে ন্যু-ক্যাম্পে যোগ দেওয়ার উত্তেজনা তো আছেই, ফ্রেঙ্কি ডি ইয়াং তার চেয়েও বেশি উত্তেজিত লিওনেল মেসির ট্রেনিং দেখার জন্য। স্বচক্ষে মেসির ট্রেনিং দেখার জন্য তর সইছে না তার। গতকাল আয়াক্সের হয়ে লিগ শিরোপা জেতার পর ডাচ তরুণ নিজেই বলেছেন, আমি মেসির ট্রেনিং দেখার জন্য খুবই উত্তেজিত। অধীর হয়ে অপেক্ষা করছি। আয়াক্সের হয়ে দুর্দান্ত একটা মৌসুমই কাটিয়েছেন ফ্রেঙ্কি ডি ইয়াং। ঘরোয়া ডাবল (লিগ এবং কাপ) জেতানোই শুধু নয়, দীর্ঘ ২২ বছর পর আয়াক্সকে তুলে ছিলেন উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমি ফাইনালেও। পুঁচকে আয়াক্সের এই অবিশ্বাস্য যাত্রায় সামনে থেকেই লড়েছেন তরুণ ডি ইয়াং। আয়াক্সে যেখানে ক্যারিয়ারটা শেষ করলেন, স্বপ্নের বার্সেলোনায় শুরুটাও করতে চান সেখান থেকেই। তরুণ এই ডাচ মিডফিল্ডারকে নগদই ৭৫ মিলিয়ন ইউরো দিয়ে কিনেছে বার্সেলোনা। সঙ্গে বোনাস হিসেবে বার্সেলোনাকে ঢালতে হবে আরও ১১ মিলিয়ন ইউরো। অর্থাৎ ২২ বছর বয়সী ফ্রেঙ্কি ডি ইয়াংয়ের পেছনে বার্সার মোট বিনিয়োগ ৮৬ মিলিয়ন ইউরো। ২২ বছর বয়সী এক তরুণ মিডফিল্ডারের পেছনে এত টাকা ঢালায় অনেকেই ভ্রু কুচকেছেন। ডি ইয়াং ন্যু-ক্যাম্পে নিজের প্রতিভা এবং দক্ষতার স্বাক্ষর রেখেই ওই নিন্দুকদের মিথ্যে প্রমাণ করতে চান। তবে নিন্দুকদের মিথ্যে প্রমাণের বিষয়টি অনেক পরের ব্যাপার। ন্যু-ক্যাম্পে যোগ দেওয়ার এই অপেক্ষাপর্বে ডি ইয়াং উত্তেজিত একটা বিষয় নিয়েই, সরাসরি মেসির ট্রেনিং দেখা। ট্রেনিংয়ে মেসিকে বল পাস দেওয়া! আমি (লিওনেল) মেসির ট্রেনিং দেখার জন্য খুবই উত্তেজিত। আমার কেবলই মনে হচ্ছে, আমি মেসিকে বল পাস দিচ্ছি। হাসতে হাসতে বলেছেন ডি ইয়াং। বয়স মাত্র ২২। অনেকেই বলাবলি করছেন, ডি ইয়াং তারকাখচিত বার্সেলোনায় খেলতে গিয়ে চাপ অনুভব করবেন। কিন্তু ফ্রেঙ্কি ডি ইয়াং দৃঢ় বিশ্বাসী, কোনো চাপ তাকে স্পর্শ করতে পারবে না, আমি সেখানে নিজেকে বদলে ফেলতে যাচ্ছি না। আমি যা, তাই থাকতে চাই। যদি নিজের মনোযোগটা ঠিক থাকে, এটা (চাপ) কোনো ব্যাপার না। আমি সেখানে একটা বিষয়েই আগ্রহী থাকব, কিভাবে ভালো পারফর্ম করা যায়। সেরাদের কাছ থেকে সেরাটা শিখতেই বেশি আগ্রহী আমি। বয়স কম হলেও কথা-বার্তায় খুবই চটপটে ডাচ তরুণ। নিজের ভবিষ্যত লক্ষ্য সম্পর্কেও ভীষণ সচেতন। এন এ/ ১৭ মে
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://bit.ly/2WbXYlo
May 16, 2019 at 09:08PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন