কলকাতা, ০৬ জুন- বিজেপির দেওয়া জয় শ্রীরাম ধ্বনি নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেমন প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছেন, এর সমালোচনা করেছেন বিশিষ্ট অভিনেত্রী অপর্ণা সেন। তিনি বলেছেন, এতে করে মমতা নিজের কবর নিজেই খুঁড়ছেন। গোটা পশ্চিমবঙ্গ জয় শ্রীরাম ধ্বনিতে তোলপাড় হচ্ছে। এ বছরের লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে পশ্চিমবঙ্গজুড়ে জয় শ্রীরাম ধ্বনি দিতে শুরু করে বিজেপি। বিশেষ করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল নেতা, মন্ত্রী, সাংসদ ও বিধায়কদের দেখলেই বিজেপি জয় শ্রীরাম ধ্বনি দিতে শুরু করে। আর এতে প্রচণ্ডভাবে ক্ষিপ্ত হন মমতা। এই ধ্বনির পাল্টা ধ্বনি দেওয়ার জন্য দলীয় নেতা-কর্মীদের নির্দেশও দেন মমতা। সেটি হলো জয় হিন্দ ধ্বনি। ফলে, ধ্বনিকে কেন্দ্র করে রাজ্যজুড়ে রাজনীতি এখন সরগরম। কিন্তু জয় শ্রীরাম ধ্বনি নিয়ে মমতার অবস্থানকে মেনে নিতে পারেনি এখানকার বহু মানুষও। তাঁদের কথা, এই ধ্বনি নিয়ে মমতার এতটা উত্তেজিত হওয়ার কারণ ছিল না। ঠিক তেমনটাই মনে করেন অপর্ণা সেনও। তিনি একটি সর্বভারতীয় চ্যানেলে এক সাক্ষাৎকারে, গণতন্ত্রে জয় শ্রীরাম বা আল্লাহু আকবর বা জয় মা কালি ধ্বনি দেওয়ার অধিকার ভারতবাসীর রয়েছে। তবুও মমতা জয় শ্রীরাম ধ্বনির বিরুদ্ধে নিজের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে সমস্যা তৈরি করছেন। গতকাল কলকাতার সংবাদমাধ্যমে অপর্ণা সেনের এই নিয়ে প্রকাশিত প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করা হয়েছে। তাতে অপর্ণা সেন বলেছেন, মুখ্যমন্ত্রীর এ হেন আচরণ আমার একদম ভালো লাগেনি। মুখ্যমন্ত্রী যেভাবে গাড়ি থেকে নেমে ধ্বনি থামানোর চেষ্টা করেছেন, তা মেনে নেওয়া যায় না। এটা ওনাকে মানায়াও না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আবেগপ্রবণ মানুষ। উনি ভাবনাচিন্তা করে কোনো কাজ করেন না। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী পদে থাকতে হলে মমতাকে তাঁর আবেগের ওপরে লাগাম টানতে হবে। অপর্ণা সেন আরও বলেছেন, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী থাকতে হলে নিজের ব্যবহার ও মুখের ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখার অভ্যাস করতে হবে। ভাবনাচিন্তা করে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করা উচিত। প্রবীণ মন্ত্রী অমিত মিত্র বা সৌগত রায়ের মতো ব্যক্তিদের কাছ থেকে পরামর্শ নিতে পারেন তিনি। মাথায় যাই আসছে, তাই বলে দিলাম, এটা করা উচিত নয়। অপর্ণা সেন এমনটাও মনে করছেন, ভোটারদের তাঁর বিরুদ্ধে ঠেলে দিচ্ছেন মমতা নিজেই। তিনি নিজের কবর নিজেই খুঁড়ছেন। তবে অপর্ণা সেন ধর্মের সঙ্গে রাজনীতি মেলানোর বিরুদ্ধে রয়েছেন। বলেছেন, এটা তিনি পছন্দ করেন না। রাজনীতি এবং ধর্মকে একেবারে আলাদা রাখতে হবে। ২০২১ সালে অনুষ্ঠিত হবে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার পরবর্তী নির্বাচন। ওই বছর কি বিজেপি ক্ষমতায় আসতে পারবেএই প্রশ্নের জবাবে অপর্ণা সেন বলেছেন, ওই নির্বাচনে মমতাকে কঠিন লড়াইয়ের মুখে পড়তে হবে। শহরে এখন মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষের মধ্যে বিজেপির দিকে সমর্থন বাড়ছে। অপর্ণা সেন এ কথাও বলেছেন, আমি নিশ্চিত, দেশকে সঠিক দিশায় নিয়ে যেতে চেষ্টার ত্রুটি করবেন না মোদি। কিন্তু হিন্দুত্ব ও জাতীয়তাবাদকে মিলিয়ে ফেলাই ওদের আদর্শ। এটাই আমাকে পীড়া দেয়। আমি চাই গান্ধীজির বহুত্ববাদকে। আর/০৮:১৪/০৬ জুন
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://bit.ly/2WVAzW5
June 06, 2019 at 04:19AM
এই সম্পর্কিত আরও সংবাদ...
মাওবাদী হানায় মৃত তথা নিখোঁজ ৪ জনের পরিবারকে নিয়োগপত্র দিলেন মুখ্যমন্ত্রী
07 Oct 20200টিকলকাতা, ৭ অক্টোবর- কথা রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী। মঙ্গলবারের ঘোষণা মতোই ঝাড়গ্রামের প্রশাসনিক সভা থেকে মাও...আরও পড়ুন »
ডেমোক্রেসির বদলে বাংলায় মমতাক্রেসি চলছে
06 Oct 20200টিকলকাতা, ৬ অক্টোবর- বিজেপি নেতা মণীশ শুক্লাকে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়...আরও পড়ুন »
বিজেপি নেতা মণীশ খুনের ঘটনায় উত্তপ্ত পশ্চিমবঙ্গ
06 Oct 20200টিকলকাতা, ০৬ অক্টোবর- বিজেপি নেতা মণীশ শুক্ল খুনের ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করা হলেও উত্তপ্ত পরিস্থিতি ব...আরও পড়ুন »
বিজেপি নেতা মনীশ শুক্লার মৃত্যু ঘিরে রণক্ষেত্র বারাকপুর
05 Oct 20200টিকলকাতা, ৫ অক্টোবর- অর্জুন সিং ঘনিষ্ঠ বিজেপির দাপুটে নেতা মণীশ শুক্লাকে খুনের ঘটনায় সোমবার সকাল থেক...আরও পড়ুন »
পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি নেতাকে গুলি করে হত্যা
05 Oct 20200টিকলকাতা, ৫ অক্টোবর- পশ্চিমবঙ্গের ব্যারাকপুরের মণীশ শুক্লা নামে এক বিজেপি নেতাকে গুলি করে হত্যা করেছে ...আরও পড়ুন »
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Click to see the code!
To insert emoticon you must added at least one space before the code.