কলকাতা, ০৮ জুলাই- ২৬ বছর ধরে নাকের হাড়ের নীচে বিঁধে ছিল বোমার স্প্লিন্টার। প্রস্রাব আর শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে ডাক্তার দেখাতে এসে ধরা পড়ল সে কথা। কলকাতা মেডিকেল কলেজে এন্ডোস্কোপি করে সেই স্প্লিন্টার বের করলেন ইএনটি চিকিৎসকেরা। ঠেকানো গেল সেরিব্রো স্পাইনাল ফ্লুইডের ক্ষরণ। সুস্থ রোগী ফিরলেন বাড়িতে। ছয় মাস ধরে প্রস্রাবের সমস্যায় কষ্ট পাচ্ছিলেন কলকাতার মেছুয়া বাজার এলাকার বাসিন্দা ষাটোর্ধ্ব মধুসূদন দাস। সেই সঙ্গে শ্বাসকষ্টের কথা জানতে পেরে চেস্ট মেডিসিনে রেফার করেছিলেন ডাক্তার। বুকে কোনো সমস্যা না পাওয়ায়, পরামর্শের জন্য ইএনটিতে স্থানান্তর করা হয় তাকে। ইএনটি চিকিৎসকরা পরীক্ষা করে বুঝেছিলেন, নাকে কিছু আটকে আছে। নেজাল ড্রপে কাজ না হওয়ায় নাকের এন্ডোস্কোপি আর সিটি স্ক্যান করা হয়। রিপোর্ট দেখে চমকে যান চিকিৎসকরা। মধুসূদনের চিকিৎসক বলেন, মস্তিষ্কের সামনের অংশকে (ফ্রন্টাল লোব) ঘিরে রাখা ফ্রন্টাল বোনের নীচে একটা চৌকা আকৃতির কিছু আটকে থাকতে দেখা যায় সিটি স্ক্যানে। সেটা বেশ বড়সড়ও। এত বড় একটা জিনিস নাকের অতো ভিতরে কীভাবে পৌঁছাল? মধুসূদন জানান, জুতার ব্যবসা করতাম। ১৯৯৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে মাল সাপ্লাই করতে গিয়েছিলাম। পাশের দোকানে ডাকাত পড়েছিল। পালানোর সময় ওরা বোমা মেরেছিল। ডান চোখ ঘেঁষে বোমার আঘাত লেগেছিল। তখন থেকে ডান চোখের দৃষ্টিশক্তিও প্রায় নেই। গত ২৬ বছরে চোখের চিকিৎসা হলেও, মাথার মধ্যে যে সেই বোমার স্প্লিন্টার বয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছেন, তার বিন্দুমাত্র আভাস ছিল না মধুসূদনের কাছে। তার কথায়, তখন ডাক্তাররা কিছু বলেননি আমাকে। শুধু বলেছিলেন, ডান চোখের দৃষ্টিশক্তি চলে যাবে। চোখের চিকিৎসাও করাই। শুয়ে পড়ে শ্বাস নিতে অল্প সমস্যা হলেও সেটা এত বছর এড়িয়ে গিয়েছিলাম। ভাগ্য ভালো যে, কলকাতা মেডিকেলে প্রস্রাবের সমস্যাটা দেখাতে এসে বলেছিলাম মাথা ভার আর শ্বাসকষ্টের কথা! আর/০৮:১৪/০৮ জুলাই



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2YCGbC9
July 08, 2019 at 05:49AM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top