ইসলামাবাদ, ২৯ জুলাই- বিশ্বকাপ চলাকালেই পাকিস্তান দল নিয়ে তুমুল প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছিল দেশটির ক্রিকেট মহলে। অতি উৎসাহী কেউ কেউ তো আদালতে মামলাও ঠুকে দিয়েছিলেন, পাকিস্তান দলটিকে নিষিদ্ধ করার জন্য। যদিও, শেষ পর্যন্ত কয়েকটি জয় নিয়ে নিজেদের মান-সম্মান কিছুটা হলেও রক্ষা করতে সক্ষম হয় সরফরাজ আহমেদের দল। এমনকি, সেমিফাইনালে ওঠারও সম্ভাবনা জাগিয়েছিল তারা। রানরেটের ব্যবধানে কাটা পড়তে হয়েছিল পাকিস্তানকে। বিশ্বকাপ থেকে ফিরে আসার পর শোনা গিয়েছিল পাকিস্তান দলে ব্যাপক রদবদল আনা হবে। ইতিমধ্যেই নির্বাচক প্যানেল থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন সাবেক ক্রিকেটার ইনজামাম-উল হক। এরই ধারাবাহিকতায় আলোচনা চলছিল, পিসিবি (পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড) হয়তো লাল ও সাদা বলের ক্রিকেটে আলাদা আলাদা অধিনায়ক এবং কোচ নিয়োগ দিতে যাচ্ছে। সেই গুঞ্জনের কিছুটা সত্যি হতে চলেছে। নেতৃত্ব ভাগ করে ফেলছে পাকিস্তান। সাদা পোশাকের টেস্ট অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হচ্ছে সরফরাজ আহমেদকে। নতুন টেস্ট অধিনায়ক কে হবেন তাহলে? শোনা যাচ্ছে, শান মাসুদকেই নিয়োগ করা হতে পারে নতুন টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে। পাকিস্তানের টিভি চ্যানেল জিও নিউজই জানাচ্ছে এই খবর। তারা জানিয়েছে, আগামী ২ আগস্ট লাহোরে ক্রিকেট কমিটির বৈঠকেই সিদ্ধান্ত পাকা হতে পারে সরফরাজকে সরিয়ে দেওয়ার বিষয়টি। ওই রিপোর্টে এটাও জানিয়ে দেয়া হয়েছে যে, সরফরাজের পরিবর্তে শান মাসুদকে নিয়োগ দেয়া হতে পারে পাকিস্তানের নতুন টেস্ট অধিনায়কের পদে। মূলতঃ আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের কথা ভেবেই টেস্ট ক্রিকেটকে বাড়তি গুরুত্ব দিতে চাচ্ছে পাকিস্তান। অন্যদিকে আগামী বছর অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে অনুষ্ঠিতব্য টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে মাথায় রেখে সেটাকেও আলাদা গুরুত্ব দিচ্ছে পিসিবি। সরফরাজের নেতৃত্বে পাকিস্তান দল ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে তুলনামূলক ভালো ফলাফল করলেও টেস্টে পুরোপুরি ব্যর্থ। মোট ১৩টি টেস্টে পাকিস্তান দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন সরফরাজ। এর মধ্যে মাত্র ৪টি ম্যাচ জিতেছে তারা। হেরেছে ৮টি টেস্টে। একটি মাত্র টেস্ট ড্র হয়েছে। আইসিসি টেস্ট ব়্যাংকিংয়ে পাকিস্তান এই মুহূর্তে রয়েছে ৭ নম্বরে। অথচ, মিসবাহ-উল হকের অধীনে একবার শীর্ষেও উঠেছিল তারা। শান মাসুদের হাতে টেস্ট অধিনায়কত্ব তুলে দিতে পিসিবির বেশিরভাগ কর্মকর্তাই আগ্রহী। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে পিসিবির থিঙ্ক ট্যাঙ্করাই। সরফরাজ অবশ্য নিজে নেতৃত্ব ছাড়তে রাজি নন। বিশ্বকাপ থেকে ফিরেই সরফরাজ জানিয়েছিলেন, তিনি ক্যাপ্টেন্সি ছাড়ছেন না। যদিও বিষয়টা সম্পূর্ণ পিসিবির এখতিয়ারের মধ্যে পড়ে। বিশ্বকাপ থেকে ফিরে আসার পর সরফরাজ জানিয়ে দেন, আমি কখনোই বলছি না যে, নেতৃত্ব ছাড়তে অস্বীকার করছি। আমি শুধু এটাই বলতে চাই যে, নেতৃত্বের সিদ্ধান্তটা সম্পূর্ণ পিসিবির উপর নির্ভর করে। ঠিক যেমনটা তাদের ইচ্ছাতেই আমার হাতে অধিনায়কত্ব তুলে দেয়া হয়েছিল। আমি নিশ্চিত পিসিবি যে সিদ্ধান্তই নিক না কেন, সেটা পাকিস্তান ক্রিকেটের ভালোর জন্যই নেবে। আপাতত আমি নিজে থেকে অধিনায়কত্ব ছাড়ার কথা ভাবছি না। আর/০৮:১৪/২৯ জুলাই
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2SK61BW
July 29, 2019 at 10:23AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন