কলম্বো, ৩০ জুলাই- ২০১৫ সালের বিশ্বকাপে অনুমতি ছাড়া মধ্যরাতে হোটেলে ফেরায় দল থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল আল-আমিন হোসেনকে। শুধু তাই নয়, অস্ট্রেলিয়া থেকে দেশের বিমানের টিকিট হাতে ধরিয়ে দেওয়া হয়েছিল এই পেসারকে। আর সেই বিশ্বকাপেই হোটেলে জুয়ার আসরে অংশ নিয়েছিলেন দলের ম্যানেজার খালেদ মাহমুদ সুজন। এ নিয়ে দেশের ক্রীড়াঙ্গনে সমালোচনার ঝড় বইছিল। এবারও সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি করেছেন সুজন। শ্রীলঙ্কায় চলমান ওয়ানডে সিরিজেও জুয়ার আসরে বসেছেন বাংলাদেশ দলের ভারপ্রাপ্ত কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন। শ্রীলঙ্কায় তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম দুই খেলায় হেরে সিরিজ হাতছাড়া করা বাংলাদেশ হোয়াইটওয়াশের আশঙ্কায় পড়েছে। দলের এমন বাজে পারফরম্যান্সের মধ্যে নেতিবাচক খবরে এলেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাহমুদ সুজন। কলম্বোর একটি ক্যাসিনোতে সুজনকে জুয়া খেলতে দেখা গেছে। এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। কলম্বোর শহরটি এমনিতেই ক্যাসিনোর জন্য বিখ্যাত। এখানে নামকরা সব ক্যাসিনো রয়েছে সেখানে। গোপনে ধারণ করা ওই ভিডিওতে দেখা গেছে, কলম্বোর জনপ্রিয় একটি জুয়ার আসর বেলিস ক্যাসিনোতে খালেদ মাহমুদ সুজন একজন নারী ওয়েটারের হাত থেকে ব্যাংকের এটিএম অথবা ক্রেডিট কার্ড গ্রহণ করছেন। এরপর তিনি এগিয়ে যান একটি জুয়ার টেবিলের দিকে। যাতে আরও বেশ কয়েকজন মানুষকে দেখা যায়। ক্যাসিনোতে যাওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেননি খালেদ মাহমুদ, তবে জুয়া খেলার জন্য যাননি বলে দাবি করেন। তিনি বলেন, আমার এক বন্ধুকে নিয়ে সেখানে গিয়েছিলাম। ক্ষুধা পেয়েছিল বলে সেখানে যাই খাওয়ার জন্য। ক্যাসিনোতে শুধু কার্ড খেলা হয় না, খাবারও পাওয়া যায়। সে কারণেই ওখানে যাই। কিন্তু ওখানকার ভিডিও কেউ মোবাইলে ধারণ করে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ায় এ নিয়ে শুরু হয় প্রবল আলোচনা। তবে এতে বিচলিত নন খালেদ মাহমুদ। তিনি বলেন, আমি জানি, আমি কেন সেখানে গিয়েছিলাম। কার্ড খেলার তো প্রশ্নই ওঠে না। বাংলাদেশ জাতীয় দলের সিরিজ চলছে, কোচ হিসেবে আমার সমস্ত মনোযোগ সেখানে। ক্যাসিনোতে এক বাঙালি ছিলেন। তিনি আমার কাছে কার্ড চাইলে তাকে কার্ডও দিই। ব্যস, এইটুকুই। এখন এ নিয়ে যদি ফেসবুকের মতো জায়গায় আলোচনা-সমালোচনা হয়, তাতে আমার কী করার আছে? ১১ সেকেন্ডের ভিডিওটির স্থানের সঙ্গে বেলিস ক্যাসিনোর শতভাগ মিল খুঁজে পাওয়া গেছে। এর আগেও ২০১৫ সালের বিশ্বকাপে তিনি ক্যাসিনো বিতর্কে জড়িয়েছিলেন। জাতীয় দলের ম্যানেজার হিসেবে ওই বিশ্বকাপে গিয়ে তিনি অস্ট্রেলিয়ার একটি ক্যাসিনোতে ক্যামেরাবন্দী হন। তবে পরে তিনি জুয়ার কথা অস্বীকার করে জানান, রাতের খাবার খুঁজতে তিনি ক্যাসিনোতে ঢুকে যান। আর/০৮:১৪/৩০ জুলাই
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2ylZ00L
July 30, 2019 at 06:28AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন