ঢাকা, ১১ আগস্ট- ঈদ এলেই নাড়ির টানে বাড়ি ফেরে মানুষ। সবারই ঘরে ফেরার আড়ালে থাকে নানা গল্প। সেই তালিকায় তারকারাও আছেন। তাদেরও আছে বাড়ি ফেরার অভিজ্ঞতা। সেই স্মৃতি বলেছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী মেহজাবিন চৌধুরী... ঈদ এলে সবাই ঢাকা থেকে নিজ নিজ গ্রামের বাড়িতে ফিরে যায়। এই ফেরার মধ্যে অন্যরকম এক আনন্দ। যে আনন্দের অভিজ্ঞতা আমার নেই। কোনো সময় ছিলও না। আমি লেখাপড়া করেছি দেশের বাইরে। আর ঈদ ঢাকাতেই করেছি। যতবার চট্টগ্রামে করেছি, সেটা অনেক আগে থেকেই সেখানে ছিলাম। মানে ঈদযাত্রার কোনো গল্প আমার নেই। তবে প্রতি ঈদে বন্ধুদের সঙ্গে বিকালে বেড়াতে যাই। আমার ঈদ আনন্দ ঢাকার ফাঁকা রাস্তা। বন্ধু-বান্ধব নিয়ে লং ড্রাইভে বের হই। অবসর বা ছুটিতে লং ড্রাইভে যাওয়ার ইচ্ছে সব সময় জাগে মনে। কিন্তু ঢাকার যে জ্যাম, তাতে এই ইচ্ছেটা মনের মধ্যে সুপ্ত বাসনা হিসেবেই রেখে দিতে হয়। ঈদের মধ্যে তা বাস্তবায়ন করার সুযোগ পাওয়া যায়। ছোটবেলায় কোরবানির ঈদের এক মজার অভিজ্ঞতা আছে আমার। একবার গরুর হাট দেখার খুব ইচ্ছা হলো। চাচাতো ভাইদের কাছে আমি গরুর হাটে যাওয়ার আবদার করলাম। কিন্তু তারা তো কিছুতেই নেবে না। তাই তারা বের হওয়ার সময় আমিও পালিয়ে গরুর হাটে গিয়েছিলাম। কিন্তু হাটে গিয়ে পড়লাম বিপদে। ভিড়ের মধ্যে তাদের হারিয়ে ফেললাম। শুরু করলাম কান্না। কিন্তু সবাই গরু কিনতে ব্যস্ত। কেউ কারও দিকে তাকাচ্ছে না। অনেকক্ষণ কান্নার পর দেখলাম ভাইয়েরা আমার পাশ দিয়ে যাচ্ছে। আমি আবার লুকালাম। লুকিয়ে ওদের কাছাকাছি হাঁটতে হাঁটতে বাসায় ফিরলাম। কিন্তু বাসায় এসে দেখি ভয়াবহ অবস্থা। সবাই আমাকে খোঁজাখুঁজি করছে। ভয়ে আমি বলে দিলাম, আমি তো ভাইদের সঙ্গে ছিলাম, কেন ওরা কিছু বলেনি! এটা শুনে ওরা তো আকাশ থেকে পড়ার মতো অবস্থা। আমি ঈদের সময় আনন্দ করতে পছন্দ করি। ছোটবেলায় যেটা হতো, ঈদকে কেন্দ্র করে পড়াশোনা থেকে এক সপ্তাহের জন্য ছুটি পেতাম। আর এখন এক সপ্তাহের জন্য শুটিং থেকে ছুটি পাই। এতটুকুই পার্থক্য। কিন্তু আনন্দ আমার কাছে একই। ঈদ নিয়ে আরও একটি মজার অভিজ্ঞতা এখনো মনে পড়ে। ঈদে প্রথমবার সালোয়ার-কামিজ পরে খাওয়া-দাওয়া শেষে ঘুমিয়ে গিয়েছিলাম। ঘুম থেকে উঠে দেখি জামাটি কুঁচকিয়ে গেছে। বুদ্ধি করে ইস্ত্রি দিয়ে কাপড়টি ঠিক করতে গেলাম, দেখলাম সালোয়ার-কামিজটি গোল হয়ে গেছে। তা দেখে আমি অনেক কেঁদেছিলাম। কারণ জীবনের প্রথম সালোয়ার-কামিজটি নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। এখনো আমি সেই কাপড়টি রেখে দিয়েছি। আব্বুর কাছ থেকে প্রথম সেলামি পেয়েছিলাম। দুই টাকার নোট, কখনো পাঁচ টাকার নোট আমার কাছে আসত। সেলামির টাকা পেয়ে মনে হতো আমি অনেক বড়লোক। আবার আমার অ্যাডভেঞ্জার ভালো লাগে। কিছুদিন আগে গিয়েছিলাম দুবাই, স্কাই ডাইভিং করেছিলাম। প্রথমে কিছুটা ভয় করলেও অ্যাডভেঞ্জারে মেতে উঠেছি অবশেষে। বিমান থেকে ঝাঁপিয়ে পড়ে খোলা আকাশে প্রাণ খুলে উড়েছি। দুবাই শহরের সবচেয়ে আকর্ষণীয় ভিউ প্লাম আইসল্যান্ডের আকাশে এই ডাইভটি দিয়েছিলাম। এটা বলার কারণ, রোজার ঈদের পর দুবাইয়ে গিয়ে এমন মজার অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি। এখনো ভাবছি, এটা আমি করতে পেরেছি। সত্যিই অসাধারণ অনুভূতি হয়েছে। স্কাই ডাইভিংয়ের জন্য দুবাই-ই সেরা। আর/০৮:১৪/১১ আগস্ট
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2KpRNDH
August 11, 2019 at 06:01AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন