কলকাতা, ০৮ আগস্ট - সংসদে কাশ্মীর নিয়ে তাঁর মন্তব্যে বিতর্কের ঝড় উঠেছে। তাঁর বক্তব্য শুনে খানিকটা বিরক্ত হয়েছেন খোদ সোনিয়া গান্ধী। এব্যাপারে প্রদেশ সভাপতি সোমেন মিত্রকেও পাশে পেলেন না অধীর চৌধুরী। মঙ্গলবার লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী জানতে চেয়েছিলেন, পাক অধিকৃত কাশ্মীর নিয়ে কেন্দ্রের কী অবস্থান? জানতে চেয়েছিলেন, কাশ্মীর সমস্যা নিয়ে রাষ্ট্রসঙ্ঘের যে পর্যবেক্ষণ রয়েছে, সেখানে দিল্লির কী ভূমিকা হবে? অধীর চৌধুরী সংসদে বলেন, সরকার স্পষ্ট করুক কাশ্মীর ইস্যু অভ্যন্তরীণ না দ্বিপাক্ষিক বিষয়। সিমলা চুক্তি, লাহোর ডিক্লেরেশনের প্রসঙ্গ তুলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে জবাব চান তিনি। তাঁর এই বক্তব্য অস্বস্তিতে ফেলে কংগ্রেসের প্রাক্তন চেয়ারপার্সন সোনিয়া গান্ধীকে। তিনি খানিকটা বিরক্ত প্রকাশ করেন। এরপরই চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করে দেন বিজেপি সাংসদরা। এব্যাপারে প্রদেশ সভাপতি সোমেন মিত্র বলেন, জম্মু-কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ এটা অস্বীকার করার কোনও জায়গা নেই। ভারতের সংবিধান মেনে সেখান থেকে সংসদ, বিধায়ক নির্বাচিত হন। অধীর হয়তো ভুল করে কথাটা বলে ফেলেছে। তিনি যে এই বক্তব্যকে সমর্থন করছেন না সেটা স্পষ্ট বুঝিয়ে দিয়েছেন প্রদেশ সভাপতি। মঙ্গলবার অধীরের মন্তব্যে বিতর্ক তৈরি হলে, পরে তিনি বলেন, তাঁর মন্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা করা হচ্ছে। ১৯৪৮ সালের পর যেখানে রাষ্ট্রসঙ্ঘ বিষয়টির উপর নজর রেখেছে, সেখানে কেন্দ্র কীভাবে মোকাবিলা করবে, জানতে চাওয়া হয়েছিলো। বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতরা কাশ্মীর নিয়ে কী বিবৃতি দেবেন? ১৯৯৪ সালে সংসদে পাক অধিকৃত কাশ্মীরকে ভারতভুক্তির প্রস্তাব সর্বসম্মতিভাবে গৃহীত, এখন পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের অবস্থান কী হবে? এ সবই সরকারের কাছ থেকে জানতে চাওয়া হয়েছে বলে জানান অধীর চৌধুরী। এন এইচ, ০৮ আগস্ট.
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2YMBcxW
August 08, 2019 at 08:32AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন