ঢাকা, ১৬ সেপ্টেম্বর- দলের সংগ্রহ তখন ৫ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ৩২ রান। উইকেটে এলেন বাংলাদেশ দলের টি-টোয়েন্টি স্পেশালিস্ট সাব্বির রহমান। আফগানিস্তানের ছুড়ে দেয়া ১৬৫ রানের লক্ষ্যে রীতিমতো ধুঁকছিল বাংলাদেশ। শেষের ১৫ ওভারে করতে হতো ১৩৩ রান, হাতে ছিলো ৬টি উইকেট। অনেকটা একই জায়গায় নেমেছিলেন আফগান অলরাউন্ডার মোহাম্মদ নবি। তিনি যখন উইকেটে আসেন, আফগানরা তখন ৪০ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে অন্ধকারে পথ খুঁজে বেড়াচ্ছিল, ওভারও চলে গিয়েছিল ৫.৫টি। সে অন্ধকারে আফগানদের পথ দেখিয়েছেন নবিই। প্রথমে আসগর আফগানের সঙ্গে ৬৭ বলে ৭৯ রানের জুটি গড়ে প্রাথমিক ধাক্কা সামাল দেয়া। পরে হাত খুলে মেরে ৫৪ বলে ৮৪ রানের ইনিংস খেলে, দলকে নিরাপদ সংগ্রহ এনে দেয়া। যাতে ভর করেই ২৫ রানের জয় পেয়েছে আফগানিস্তান। ঠিক একই ধরনের প্রত্যাশা ছিলো সাব্বিরের কাছ থেকেও। টি-টোয়েন্টি স্পেশালিস্ট, হার্ডহিটার ব্যাটসম্যান- ইত্যাদি ইত্যাদি বিশেষণে ডাকা হয় যাকে, তার কাছ থেকে ৯০ বলে ১৩৩ রানের ম্যাচ জেতার আশা করাটাই স্বাভাবিক। সাব্বিরের সাহস বাড়ানোর জন্য সঙ্গে ছিলেন অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও। কিন্তু কাজের কাজ করতে পারেননি এ মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান। মাহমুদউল্লাহকে সঙ্গে নিয়ে পঞ্চম উইকেটে ৫৮ রানের জুটি গড়লেও, কখনোই মনে হয়নি জয়ের পথে এগুতে পারছে বাংলাদেশ। এর বড় দায় সাব্বিরের নিজেরই। অপরপ্রান্তে মাহমুদউল্লাহ ৩৯ বলে ৪৪ রান করে ফিরে যাওয়ার পর, সাব্বির আউট হন ২৭ বলে ২৪ রানের এক ইনিংস খেলে। যা কি-না কোনোভাবেই টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের সঙ্গে মানানসই নয়। ম্যাচশেষে তাই স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠলো সাব্বিরের এ পারফরম্যান্স নিয়ে। অধিনায়ক সাকিব আল হাসানকে জিজ্ঞেস করা হলো, টি-টোয়েন্টি স্পেশালিস্ট হিসেবে দলে এসে ২৭ বলে ২৪ রান করলেন একজন। এটা কি আসলে প্লেয়ারের অপারগতা নাকি নির্বাচকরাই ভুল করেন? এ প্রশ্নে নিজের হাসি লুকিয়ে রাখতে পারেননি সাকিব। উত্তর দেয়ার আগে প্রায় ৫-৭ সেকেন্ড প্রকাশ্যেই হেসে নেন তিনি। তার দেখাদেখি হাসির রোল ওঠে পুরো সংবাদ সম্মেলন কক্ষেই। যা থামে সাকিব কথা বলতে শুরু করলে। হাসি মুখে রেখেই টাইগার অধিনায়ক জবাব দেন, দেখুন, যখন দল বাছাই করা হয় তখন সবাই বিশ্বাস করেই সে খেলোয়াড়কে দলে নেয়। সবার আশা থাকে সে দলের জন্য অবদান রাখবে, ভালো খেলবে; কিন্তু অনেক সময় এটা হয় না, অনেক সময় হয়। না হলে সমালোচনা হওয়াটাই স্বাভাবিক। তবে আমাদের দায়িত্ব হলো সবাই সবাইকে যথাযথ সমর্থন ও সাহস দেয়া। উল্লেখ্য, টি-টোয়েন্টি স্পেশালিস্ট ধরা হলেও, পরিসংখ্যান ঠিক কথা বলে না সাব্বিরের পক্ষে। এখনও পর্যন্ত ৪২ ইনিংস ব্যাট করে ফিফটি করেছেন মাত্র ৪ বার, ১২০ স্ট্রাইকরেটে তার সংগ্রহ ৯৪৫ রান। এই ৪২ ইনিংসের মধ্যে মাত্র ৭টিতে পেরেছেন দেড়শর বেশি স্ট্রাইকরেটে খেলতে। এছাড়া ২টি ডাকসহ ১০ ম্যাচে তিনি আউট হয়েছেন দুই অঙ্কে যাওয়ার আগেই। সূত্র: জাগোনিউজ আর/০৮:১৪/১৬ সেপ্টেম্বর
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/3007Mlx
September 16, 2019 at 04:53AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন