মুক্তিযোদ্ধা প্রতিনিধি দলের ভারতের স্মৃতি বিজড়িত আগরতলা পরিদর্শন

জাহাঙ্গীর আলম ইমরুলঃ ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত ভারতের আগরতলায় কয়েকটি স্থান পরিদর্শন করেছেন বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিনিধি দল। প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন কুমিল্লা-৬ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জম্মশতবর্ষ ও স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উৎসব উপলক্ষে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকালে ত্রিপুরা রাজ্যে স্থাপিত মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর, শরণার্থী শিবির ও স্মৃতি বিজড়িত স্থানসমূহ পরিদর্শনে যান বাংলাদেশের এই মুক্তিযোদ্ধা দল। আগরতলাস্থ কামান চৌমুহুনি শহীদ বেদিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের মধ্য দিয়ে গত ৪ সেপ্টেম্বর তাদের সফর শুরু হয়।

ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য সরকারের আমন্ত্রণে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ একাডেমী ট্রাস্ট, ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য সরকারের তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তর, বাংলাদেশ সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও ত্রিপুরার আগরতলা বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশন যৌথভাবে মুক্তিযোদ্ধাদের সফরের আয়োজন করে।

সফরের দ্বিতীয় দিনে বৃহস্পতিবার প্রতিনিধি দল ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়, সিপাহীজলা জেলার দক্ষিণ ছরিরাম গঙ্গা-যমুনা মুক্তিযোদ্ধা ক্যাম্প, বিশালগড় প্রধান মুক্তিযুদ্ধ ইয়ুথ ক্যাম্প পরিদর্শন করেন। সেখানে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন এবং সেখানে সকলে মুক্তিযুদ্ধের সময়কার স্মৃতিচারণ করেন।

ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিদর্শনে গেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর (ভিসি) ভি কে ধারুরকার তাদের স্বাগত জানান এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের উত্তরীয় ও ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়। পরিবেশিত হয় দুই দেশের জাতীয় সঙ্গীত। পরে বিশ্ববিদ্যালয় হল রুমে আলোচনা সভা হয়।

এতে বক্তব্য রাখেন প্রতিনিধি দলের প্রধান কুমিল্লা সদর আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার, ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ভি কে ধারুরকার, বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন প্রফেসর চন্দ্রিকা বাসু, ট্রেজারার প্রফেসর সুকান্ত বনিক, প্রফেসর ড. আলোক ভট্টাচার্য, প্রফেসর ড. জার কৌশল, নয়া দিল্লিতে বাংলাদেশ হাই কমিশনের ডেপুটি হাইকমিশনার এ টি এম রকিবুল হক প্রমুখ।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জম্মশতবর্ষ ও স্বাধীনতার ৫০ বছর পুর্তি উৎসব উপলক্ষে মুক্তিযুদ্ধকালে ত্রিপুরা রাজ্যে স্থাপিত মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর শরণার্থী শিবির ও স্মৃতি বিজড়িত স্থানসমূহ পরিদর্শন ও ভারত বাংলাদেশে যৌথভাবে তিন বছর ব্যাপি অনুষ্ঠানমালা নিয়েছে। এর অংশ হিসেবে প্রথম চার দিনের অনুষ্ঠান শুরু হয় ৪ সেপ্টেম্বর।

প্রতিনিধি দল গঙ্গা-যমুনা মুক্তিযোদ্ধা ক্যাম্প, বিশালগড় প্রধান মুক্তিযুদ্ধ ইয়ুথ ক্যাম্প এলাকায় স্মৃতি ভাস্কর্য নির্মাণ করার জন্য দুই দেশের উচ্চ পর্যায়ে দ্রুত আলোচনা করার কথা জানান।

ওই স্থানে সংক্ষিপ্ত বক্তৃতায় সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের আমন্ত্রণ জানানোর জন্য ভারত সরকার ও ত্রিপুরা রাজ্য সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। এমপি বাহার বলেন, মুক্তিযুদ্ধে ত্রিপুরার মানুষ যেভাবে বাংলাদেশের জনগণকে সহযোগিতা করেছে তা ভুলবার নয়। বাংলাদেশের মানুষ কৃতজ্ঞতার সঙ্গে তা স্মরণ করে।

তিনি মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের পক্ষে অকুণ্ঠ সমর্থন ও সর্বাত্মক সহযোগিতার জন্য ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধীর প্রতি গভীর শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন।

দুই দিনের সফর শেষে বৃহস্পতিবার বিকেলে সফর সঙ্গীদের নিয়ে দেশে ফেরেন সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার। এই প্রতিনিধিদলে কয়েকজন সাংবাদিকের মধ্যে মাছরাঙা টেলিভিশন এর কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধি জাহাঙ্গীর আলম ইমরুল ছিলেন।|



from Comillar Khabor – কুমিল্লার খবর https://ift.tt/2ZI8LGD

September 07, 2019 at 12:12PM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top