টরন্টো, ০৭ অক্টোবর- কানাডার ফেডারেল, প্রভিন্সিয়াল সরকার ও সিটি কর্তৃপক্ষের ঘোষিত অক্টোবর ইসলামিক ইতিহাস মাস উদযাপন উপলক্ষে ইসলামিক ইনস্টিটিউট অব টরন্টোয় (আই আইটি) গত ৫ অক্টোবর বিকেলে বাংলাদেশে ইসলাম শীর্ষক একটি অনুপম প্রদর্শনীমূলক সমাবেশে প্রায় হাজার-খানেক প্রবাসী নারী, পুরুষ ও কিশোর-কিশোরী যোগ দিয়েছেন। অনুষ্ঠান বাংলাদেশের ইতিহাস, সংস্কৃতি ও মুসলিম জনগোষ্ঠির গৌরবউজ্জল ইতিহাস ও ঐতিহ্য তুলে ধরা হয়েছে। অনুুষ্ঠানে হলভর্তি দর্শকদের মধ্যে বাংলাদেশী ছাড়াও অন্যান্য দেশের মানুষের উপস্থিতি ছিল উল্লেখযোগ্য। বাংলাদেশে ইসলামের আগমন ও বিভিন্ন ধর্মের মানুষের সহাবস্থানের তথ্যবহুল উপস্থাপনা বেশ কৌতুহল নিয়ে উপভোগ করেন উপস্থিত সবাই। আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন প্রখ্যাত মুসলিম স্কলার ডক্টর আব্দুল্লাহ হাকিম কুইকের সংক্ষিপ্ত বক্তব্য ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কানাডাতে মুসলিম সমাজের অবদান এবং মুসলিমদের সংঘবদ্ধ ভাবে কাজ করার উপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন। বহু সংস্কৃতির সমাজ ব্যবস্থায় একে অন্যের সর্ম্পকে জ্ঞান অর্জণ এবং প্রদানের মাধ্যমে রেসিজম, জিনোফোবিয়াকে প্রত্যাখ্যান করে কিভাবে কানাডিয় সমাজে শান্তিপুর্ন সহাবস্থান নিশ্চিত করা সম্ভব তিনি তার উপর আলোকপাত করেন। বাংলাদেশী কানাডিয়ান রাইটার্স এবং ব্লগার মিসবাহ উদ্দিন মাহতাব বাংলা ইসলামী গান, কবিতা, গজল, নাত, জিকির এবং সুফিবাদের প্রভাব নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। বিশেষকরে কাজী নজরুলের ইসলামী গান, হাছন রাজার গান উদাহরন হিসাবে তুলে ধরা হয় । মহানবী (সঃ) মদিনা আগমনের সময় গান বা নাত দিয়ে মদিনাবাসী কিভাবে তাঁকে সম্ববর্ধনা দিয়েছিল এবং সে থেকে গান কিভাবে ইসলামে প্রভাব বিস্তার করলো তা বিশ্লেষন করেন। দ্বিতীয় বক্তা আসাদ আশরাফ তার দীর্ঘ বক্তব্যের সাথে স্লাইড ব্যাবহার করে বাংলাদেশ ও উপমহাদেশে ইসলাম আগমনের সুন্দর একটি চিত্র উপস্থাপন করেন। মাগরিবের নামাজের পর বাংলাদেশে ও উপমহাদেশে ইসলাম আগমনের উপর একটি ডকুমেন্টারি প্রদর্শিত হয় যা ছিল অসাধারন। একটি সুন্দর স্মরনিকাও উপহার দেওয়া হয় সবাইকে, স্মরনিকাতে অক্টোবর ইসলামী মাস উদযাপনে সিটি মেয়র জন টরির ঘোষণা সম্বলিত একটি বাণী প্রকাশিত হয়েছে। এদিকে অডিটোরিয়ামটিকে বাহারী পোস্টার দিয়ে সাজানো হয়েছিল যাতে মসজিদ, মন্দির, চার্চ ও বিভিন্ন ইতিহাস খ্যাত স্থান, মুসলিম ও বুদ্ধিষ্ট স্থাপনার ছবি স্থান পায় । বাংলাদেশের আর্ত সামাজিক প্রক্ষাপটের অনেক দুর্লভ ছবিও স্থান পেয়েছে। সফল এ অনুষ্ঠানটির পেছনে যারা কাজ করেছেন তারা হলেন মহিউদ্দীন আহমেদ, আসাদ চৌধুরী, শহীদ খন্দকার, মাহবুব লতিফ ভূঁইয়া,শাহীন সিদ্দিকী, আবুজাফর মাহতাব এবং ড: মো: এরশাদুল কবির প্রমুখ। উল্লেখ্য, অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে অর্ধেকই ছিলেন মহিলা এবং তরুন প্রজন্মের উপস্থিতিও ছিল উল্লেখযোগ্য; যারা প্রাণভরে উপভোগ করেছেন অনুষ্ঠানটি।



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2MgcEZU
October 07, 2019 at 07:46AM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top