কাতালুনিয়ার স্বাধীনতা আন্দোলনের কারণে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল বার্সেলোনার পরিবেশ। যে কারণে, ২৬ অক্টোবর সূচি ঠিক করে রাখা রিয়াল-বার্সার দ্বৈরথ এল ক্লাসিকো পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হতে পারেনি। ন্যু ক্যাম্পে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল সেই ম্যাচ। শেষ পর্যন্ত দুই ক্লাবের সম্মতিতে ১৮ ডিসেম্বর বার্সেলোনার মাঠ ন্যু ক্যাম্পেই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে মৌসুমের প্রথম এল ক্ল্যাসিকো। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে তারিখ পরিবর্তন করে ন্যু ক্যাম্পে এল ক্ল্যাসিকো। যে কারণে, এখন এই ম্যাচ পুরো ফুটবল দুনিয়ার আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে। কিন্তু ম্যাচটির যখন মাত্র তিন সপ্তাহ বাকি, তখনও মেসি-সুয়ারেজদের ক্লাবের পক্ষ থেকে রিয়াল মাদ্রিদের জন্য নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দেয়া যায়নি। রিয়াল মাদ্রিদ এবং বার্সেলোনা- দুই ক্লাবের কেউই এখনও পর্যন্ত কোনো সংস্থার পক্ষ থেকে নিরাপত্তার ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব পায়নি। মাদ্রিদ ভিত্তিক ক্রীড়া দৈনিক মার্কা রিপোর্ট প্রকাশ করেছে যে, ১৮ ডিসেম্বর ম্যাচ ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে স্পেনের অন্যতম বড় শহর বার্সেলোনার পরিবেশ। যে কারণে, ম্যাচটা আবারও ভন্ডুল হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। রিয়াল এবং বার্সার পক্ষ থেকে ন্যাশনাল পুলিশ এবং মোসোসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। কয়েক দফায় বৈঠকও করা হয়েছে। কিন্তু সম্ভাব্য হুমকি সম্পর্কে কোনো সমাধানে আসা সম্ভব হয়নি। নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর সঙ্গে দুই ক্লাবের প্রতিনিধিরাই বৈঠক চালিয়ে যাচ্ছে, যাতে করে যেভাবেই হোক পরিকল্পিত সময় অনুযায়ীই ম্যাচটা মাঠে গড়ানো যায়। এমনকি রাজনৈতিক অস্থিরতা কিংবা আইনগত বাধা, এমনকি সামাজিক অস্থিরতা সত্ত্বেও ম্যাচটা যাতে সময়মত মাঠে গড়ায় সে চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে-রিয়াল বার্সা। কাতালুনিয়ায় তথাকথিত ডেমেক্রেটিক সুনামির কারণেই মূলতঃ সব কিছু উলট-পালট হতে চলেছে। স্পেনের নিরাপত্তা সংস্থাগুলো এই রাজনৈতিক অস্থির পরিবেশ নিয়েই সবচেয়ে বেশি ব্যস্ত। স্থানীয় কাতালান সরকারও এসব নিয়ে আনুষ্ঠানিক কিছু বলছে না। যে কারণে রাজনৈতিক উত্তেজনা বেড়েই চলেছে। ন্যু ক্যাম্পে খেলতে যাওয়া নিয়ে রিয়াল মাদ্রিদ যে প্ল্যান করে রেখেছে, তাতেই তারা আপাতত স্থির রয়েছে। ন্যু ক্যাম্প থেকে মাত্র ৮০০ মিটার দুরে হোটেলে তারা অবস্থান করবে। এমনকি স্থানীয় সময় রাত ১০টায় শুরু হয়ে ম্যাচ শেষ হওয়ার পর বার্সেলোনায় রাত কাটাবে না বলেই সিদ্ধান্ত নিয়ে রেখেছে। একই দিনে তারা বার্সায় যাবে, খেলবে এবং ফিরে আসবে। এল ক্ল্যাসিকোর সবচেয়ে বড় ভয় হচ্ছে, দুই দল যখন মাঠে আসবে, সেই আসার সময় এবং পথটা। কর্তৃপক্ষ শঙ্কিত, ওই সময় এবং পথটাতেই না আবার বিক্ষোভকারীরা হামলে পড়ে। এমনকি তারা যদি রাস্তা এবং মোটরওয়ে বন্ধ করে দেয়, তখন কি পরিস্থিতি দাঁড়াবে! তবে দুই দল একবার মাঠে প্রবেশ করে ফেলতে পারলে, যেভাবেই হোক ম্যাচটা শেষ করতে বদ্ধ পরিকর রিয়াল মাদ্রিদ এবং বার্সেলোনা উভয়ই। সূত্র : যুগান্তর এন এইচ, ২৯ নভেম্বর
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2OPc4U4
November 29, 2019 at 03:32PM
এই সম্পর্কিত আরও সংবাদ...
তিন দলের ওয়ানডে টুর্নামেন্টের সূচি প্রকাশ
07 Oct 20200টিঢাকা, ০৭ অক্টোবর- শ্রীলংকা সফর না হওয়ায় ঘরোয়া ক্রিকেট শুরু করছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। দেশের মূল ক্...আরও পড়ুন »
বার্তামেউয়ের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোট!
07 Oct 20200টিবার্সেলোনার বোর্ড নির্বাচন আগামী মার্চে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। ওই সময়ই ঠিক হওয়ার কথা জোসেপ মারিও বার্তা...আরও পড়ুন »
বেতন কাটা নিয়ে বার্সার আলোচনা শুরু
07 Oct 20200টিকরোনার কারণে গত মার্চ থেকে কমাস ফুটবল বন্ধ ছিল। এ সময় বড় ক্লাবসহ বিশ্বের অধিকাংশ ক্লাবই ফুটবলারদের ব...আরও পড়ুন »
অস্ট্রেলিয়া-ভারত গোলাপি বলের টেস্ট চূড়ান্ত
07 Oct 20200টিক্যানবেরা, ০৭ অক্টোবর- এ বছরের শেষ দিকে অস্ট্রেলিয়া ও ভারতের চার টেস্টের সিরিজ দিবারাত্রির ম্যাচ দিয়...আরও পড়ুন »
নারীর প্রতি মনোভাব বদলের ডাক মাশরাফীর
07 Oct 20200টিঢাকা, ৭ অক্টোবর- উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে নারীর প্রতি সহিংসতার হার। সিলেটে এমসি কলেজসহ নোয়াখালীর বেগমগঞ্...আরও পড়ুন »
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Click to see the code!
To insert emoticon you must added at least one space before the code.