ঢাকা, ১৮ নভেম্বর - টি-টোয়েন্টি ফরমেট ছেড়েছেন ২০১৭ সালের এপ্রিলেই। অর্থাৎ আড়াই বছরের বেশি সময় ধরে জাতীয় দলের হয়ে আর ২০ ওভারের ম্যাচ খেলেননি মাশরাফি বিন মর্তুজা। টেস্ট খেলা হচ্ছে না সেই ২০০৯ সাল থেকেই। মাঝে দুয়েকবার ফিটনেস ধরে রাখার জন্য জাতীয় লিগে মাঠে নামলেও ঘরোয়া প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটেও নেই মাশরাফি। তারওপর গত বিশ্বকাপে তার মানের তুলনায় অনেকটাই অনুজ্জ্বল। এদিকে বয়সও থেমে নেই। ৩৩ পেরিয়ে গেছে। রূঢ় হলেও সত্য, এখন তাই আর মাশরাফি ফার্স্ট চয়েজ নন। এবারের বিপিএলে দলগুলোর প্রথম পছন্দ খেলার ভেতরে থাকা ইনফর্ম ক্রিকেটাররা। সেই বিশ্বকাপের পর থেকে মাঠের বাইরে কোনো ফরমেটেই অংশ না নেয়া মাশরাফিও যে সেই ছকেই পড়ে গেছেন। তাই তো দেশি আর বিদেশি মিলে বিপিএলের প্লেয়ার্স ড্রাফটে অনেক পড়ে ডাক উঠলো মাশরাফির। দশম ডাকের পর নড়াইল এক্সপ্রেসকে নিয়েছে ঢাকা প্লাটুন। অন্য কেউ দলে নেয়নি, কিন্তু ঢাকা শেষ পর্যন্ত নিয়েছে। কেন কি কারণে? নিশ্চয়ই কৌতুহলী প্রশ্ন মাশরাফি ভক্তদের মনে। এবারের বিপিএলে অনেক পরে ডাক পাওয়া মাশরাফিকে কেন নিলো ঢাকা, সে কৌতুহলী প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন ঢাকা প্লাটুনের কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। মাশরাফিকে দলে নেয়ার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে মোহাম্মদ সালাউদ্দিন জানান, মাশরাফি সে অর্থে ক্রিকেটে সিরিয়াসলি নেই এখন। জাতীয় লিগ খেলছে না। যেহেতু টি-টোয়েন্টি ও টেস্ট খেলেননা, তাই এই দলগুলোর সঙ্গে প্র্যাকটিসও করা হয় না। কেউ কেউ হয়তো এসব কারণ মাথায় আনতে পারেন। তবে আমি ওভাবে চিন্তা করি না। কারণ মাশরাফি এমন এক ব্যক্তিত্ব, যার অভিধানে না পারার শব্দটাই হয়তো নেই। তার সাহস, উদ্যম এবং চেষ্টা সর্বোচ্চ পর্যায়ের। সর্বশেষ বিশ্বকাপে মাশরাফি ছিলেন বেশ অনুজ্জ্বল। এর মধ্যে নিজেকে প্রমাণের সুযোগও পাননি। মাশরাফি কতটা ফর্মে আছেন, সেই সন্দেহ তো দলগুলোর আছেই। ঢাকার কোচও মনে করছেন, এ কারণেই শুরুতে কোনো দল আগ্রহ দেখায়নি জাতীয় দলের ওয়ানডে অধিনায়কের প্রতি। সালাউদ্দিনের ভাষায়, আমার মনে হয়, বিশ্বকাপে পারফরম্যান্সটা ভালো হয়নি। মাশরাফি মাশরাফির মতো পারফর্ম করতে পারেনি। কেউ মুখ ফুটে না বললেও আমার বদ্ধমূল ধারণা, বিশ্বকাপের সেই অনুজ্জ্বল পারফরম্যান্সটাই সবাই মাথায় রেখেছে। না হয়, সাত দলের সবার এক/ দুই কলের মধ্যে মাশরাফির ডাক না পাবার কোনোই কারণ নেই। তবে শেষ সময়ে এসে মাশরাফিকে ঢাকা প্লাটুন কেন দলে নিয়ে নিয়েছে, সেই ব্যাখ্যাও দিলেন সালাউদ্দিন, আমরা মূলত দুটি বিষয় চিন্তা করেই মাশরাফিকে নিয়েছি। এক, তার অভিজ্ঞতা। মাঠ ও মাঠের বাইরে যে কোনো পরিস্থিতি সামাল দেয়ার সক্ষমতা। দুই, নতুন বলের কার্যকারিতা। আমি মনে করি, এখনও মাশরাফি নতুন বলে বাংলাদেশের এক নম্বর পেসার। নতুন বলে উইকেট নেয়ার ক্ষমতা ও পাওয়ার প্লেতে প্রতিপক্ষ ব্যাটসম্যানদের তেড়েফুড়ে শট খেলা থেকে বিরত রাখার কাজে এখনও মাশরাফি সবার সেরা। তাই তার প্রতি উৎসাহী হয়েছি। আমার বিশ্বাস, মাশরাফির অভিজ্ঞতা, নেতৃত্বগুণ ও নতুন বলের কারুকাজ আমাদের দলকে ভালো সাহায্য করবে। সূত্র : জাগো নিউজ এন এইচ, ১৮ নভেম্বর
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2OlxTuf
November 18, 2019 at 06:39AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন