ঢাকা, ০৫ নভেম্বর - তারকাদের স্ক্যান্ডাল নিয়ে সব সময়ই তাদের ভক্তকূলের আগ্রহ খানিকটা বেশিই থাকে। ভালো অভিনয় করলে কিংবা ভালো কোনো কাজ করলে ভক্তরা যেমন ভালোবাসা দিয়ে ভরিয়ে দেন তেমনি তারকাদের কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত দিক সামনে আসলে মন খারাপও হয় তাদের। প্রিয় তারকার কোনো মন্দ বিষয় সামনে এসে গেলে রাগে ক্ষোভে ফেটে পড়েন ভক্তরা। তেমনই দেশের কোটি কোটি দর্শকের কাছে প্রিয় জুটি ছিলেন তাহসান-মিথিলা। মানুষ প্রচণ্ড ভালোবাসতেন এই জুটিকে। কোনো এক অজানা কারণে যখন তাদের সংসার ভেঙে গেলো তখন তাদের অনেক ভক্তরাও মন ভেঙেছে। আদর্শ এক জুটি হিসেবেই মিডিয়া জগতে প্রতিষ্ঠা পেয়েছিলেন তারা। সংসার ভেঙে যাওয়ার পর তাহসান কিংবা মিথিলা কেউই এই ভাঙনের কারণ জানাননি। এরপর অনেকগুলো দিন পেরিয়ে গেছে। মিথিলাকে নিয়ে শুরু হয়েছে নানা গুঞ্জন। তাহসানের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর গায়ক ও অভিনেতা জন কবিরের সঙ্গে মিথিলার প্রেমের খবর সামনে আগে। সে গুঞ্জনের রঙ ফিকে না হতেই কলকাতার নির্মাতা সৃজিত মুখার্জির সাথে মিথিলার ঘনিষ্ঠ কিছু ছবি সামনে আসে। জানা যায়, সৃজিতের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছেন তিনি। শিগগিরই সৃজিত-মিথিলার বিয়ে হবে বলেও রব ওঠে। এর আগেই গতকাল (৪ নভেম্বর) ভাইরাল হয়েছে মিথিলা ও নির্মাতা ইফতেখার আহমেদ ফাহমির আপত্তিকর কিছু ছবি। এখন সোশ্যাল মিডিয়া উত্তাল তাদের এই ছবি নিয়ে। অনেকে এই ছবিগুলো শেয়ার করছেন। বাজে কমেন্ট করছেন ছবির নিচে। এই সময় অনেক তারাকারাও দাঁড়িয়েছেন মিথিলা-ফাহমির পাশে। নানা সচেতনকা মূলক স্ট্যাটাস দিচ্ছেন কেউ কেউ। যেমন কণ্ঠ শিল্পী আঁখি আলমগীর তার ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন, অন্যের কিছু (তা যতই খারাপ হোক) যখন আপনি শেয়ার করছেন তখন আপনিও খুব ভালো কিছু করছেন না । অভিনেত্রী রুনা খান লিখেছেন, যে যে তার নিজের ওয়ালে অন্যের পার্সনাল এবং নেগেটিভ নিউজ শেয়ার করবে আমি তাদের ব্লগ করবো। নির্মাতা অমিতাভ রেজা বলেন, যে দেশে ভালবাসা খারাপ হস্তমৈথুনে পুরুষত্ব। সে দেশে সাংবাদিকতা খুব স্বাভাবিক বিচারে এরকম হবে। বি স্ট্রং। অভিনেতা পাভেল ইসলাম লিখেছেন, মিথিলা নামে আপনার একটা বোন আছে, যে একজন শিক্ষিকা, যার একটি ছোট কন্যা সন্তান আছে, সম্প্রতি তার ডিভোর্স হয়েছে। পরবর্তীকালে তার কারো সাথে একটি সম্পর্ক হয়েছে, হোক তা বৈধ বা অবৈধ; আপনি কি পারতেন আপনার বোনের সেইসব গোপন ছবি ভাইরাল করতে? এগুলো করে না আপনার সম্মান বাড়ে, না সমাজের, না দেশের! কী লাভ বলেন! আপনি আজ মরলে কাল দুইদিন! মাথা মোটা হইয়েন না। মাকসুদা আক্তার প্রিয়তি লিখেছেন, ভালোবেসে প্রেমিককে চুমু খেয়েছি, প্রেমিকের বুকে মাথা রেখে প্রাণ জুড়িয়েছি, তাতে কার বাপের কি , মায়ের কি বা চৌদ্দগুষ্ঠির কি? কেউ পাবলিক ফিগার বা জনপ্রিয় হলে তার ব্যক্তিগত মুহূর্তগুলো বা ভালোবাসার অধিকার কি উধাও হয়ে যেতে হবে? উনাকে আপনাদের কাস্টোমাইজড অনুযায়ী ফাঙ্কসোনাল অমানব রোবট হয়ে যেতে হবে? যেনো আপনারা সবাই ধোয়া তুলশী পাতা! আদরে, ভালোবাসায় আবৃষ্ঠ থাকতে সবাই চায়, সবাই ভালোবাসে। বোঝা গেলো? বুঝলে বুঝ পাতা, আর না বুঝলে? এমন অনেক তারকারাই লিখছেন মিথিলা-ফাহমিকে নিয়ে। সাংবাদিকরা নিউজ প্রকাশ করায় অনেকেই গণমাধ্যমকেও আক্রমণ করে কথা বলেছেন। তারকাদের সমালোচিত বিষয় কেমন করে সামনে আসে! গোপন বিষয় কেনো গোপন থাকে না এমনটা বলেও অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। এন এইচ, ০৫ নভেম্বর
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2JSjHHN
November 05, 2019 at 09:52AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন