মুম্বাই, ০৫ নভেম্বর - বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনে বর্তমান সময়ের অন্যতম সেরা তারকা ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক বিরাট কোহলি। ব্যাট হাতে গড়েছেন অজস্র রেকর্ড, যার সুবাদে মিলেছে বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়তা। কেউ কেউ তাকে বলছেন ক্রিকেটের সর্বকালের অন্যতম সেরাদের একজন। তবে এতকিছু রাতারাতি পেয়ে যাননি কোহলি। এর পেছনে ছিলো কঠোর পরিশ্রম এবং হার না মানা অদম্য মানসিকতা। কখনো কখনো ব্যর্থ হয়েছেন, পারেননি কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য ছুঁতে। পিছু হটেননি, বারবার চেষ্টা করে অর্জন করেছেন নিজের প্রাপ্যটা। আর তাই এখনও নিজের অতীতের কথা স্মরণ করেন সময় পেলেই। দিল্লির ছেলে কোহলি একসময় টিকিট কেটে দেখতেন শচিন টেন্ডুলকার, সৌরভ গাঙ্গুলি, রাহুল দ্রাবিড়দের খেলা। সেই কোহলিকেই এখন তুলনা করা হয় ভারতের ক্রিকেটের ঈশ্বর শচিনের সঙ্গে। কোহলি বারবার এই তুলনায় বিব্রত হলেও, তার ব্যাটের জাদুই মূলত সবাইকে বাধ্য করে একই কথা ফিরে ফিরে বলতে। তবে এসব নিয়ে কোনো দম্ভ কাজ করে না কোহলির মধ্যে। বরং পরিচয় দেন পরিণত এক ব্যক্তিত্বের। আর তাই ৩১তম জন্মদিনেও মনে করেন ১৫ বছরের কোহলির কথা। যখন তার ডাকনাম ছিলো চিকু। আজ (৫ নভেম্বর) নিজের জন্মদিনে পেয়েছেন হাজারও মানুষের শুভেচ্ছা। তবে এবারের জন্মদিনে কোহলি সেরা উপহারটা হয়তো পেয়েছেন নিজের কাছ থেকেই। যেখানে তিনি ফিরে গেছেন ১৫ বছর বয়সী চিকুর কাছে, খোলা চিঠি লিখেছেন জীবনের চলার পথে অভিজ্ঞতার ব্যাপারে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে সেই চিঠির ছবি আপলোড করে কোহলি লিখেছেন, আমার জীবন থেকে পাওয়া শিক্ষা ও জীবনের যাত্রাটা ১৫ বছরের আমার কাছেই তুলে ধরলাম। আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি এ বিষয়ে ভালোভাবে লিখতে। পড়ে দেখতে পারেন। দেশেবিদেশের পাঠকদের জন্য অনুবাদ করে দেয়া হলো চিকুর কাছে কোহলির সেই খোলা চিঠি: হাই চিকু, প্রথমেই শুভ জন্মদিন। আমি জানি নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে তোমার অনেক প্রশ্ন জমা আছে আমার কাছে। আমি দুঃখিত, খুব বেশি প্রশ্নের উত্তর তুমি পাবে না। কারণ সামনে কী জমা আছে তা জানা না থাকলেই সারপ্রাইজটা আরও মিষ্টি করে, প্রত্যেকটা চ্যালেঞ্জ আরও উপভোগ্য করে এবং প্রতিটি হতাশাকে শেখার নতুন একটি উপায় বানায়। তুমি আজকে হয়তো এটা বুঝবে না। তবে মনে রাখো, গন্তব্যের চেয়ে যাত্রাটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ এবং এই যাত্রাটা অসাধারণ। আমি তোমাকে বলতে চাই যে, জীবন তোমার জন্য অনেক বড় কিছু জমিয়ে রেখেছে। তবে তোমাকে সর্বদা প্রস্তুত থাকতে, কাছে আসা সকল সুযোগ কাজে লাগানোর জন্য। যখনই সুযোগ পাবে দুই হাতভরে নাও এবং যেটা পেয়েছ সেটাকে কখনোই হেলায় হারিও না। তুমি পিছিয়ে যাবে, সকলের ক্ষেত্রে তাই হয়। তুমি নিজেকে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ করো ওপরে ওঠার। প্রথমেই হয়তো তুমি পারবে না, আবার চেষ্টা করো। তোমাকে অনেক মানুষ ভালোবাসবে। আবার ঘৃণাও করবে অনেকেই। এমনকি যারা তোমাকে চেনেই না তারাও হয়তো মন্দ কথা বলবে। তাদের ব্যাপারে একদম ভেবো না। নিজের প্রতি বিশ্বাসটা রেখো। আমি জানি, তুমি এখন ভাবছো সেই জুতা জোড়ার কথা, যেগুলো আজ বাবা কিনে দেয়নি। কিন্তু আজ সকালেই তোমাকে ভালোবাসার যে আলিঙ্গন দিয়েছে অথবা তোমার উচ্চতা নিয়ে যে মজাটা করেছে- তার সামনে এই জুতা জোড়া কিছুই নয়। এগুলো উপভোগ করো। আমি জানি, কখনও কখনও সে তোমার কাছে বদরাগী মনে হবে। কিন্তু এটা শুধুমাত্র তোমার ভেতর থেকে সেরাটা বের করে আনার জন্যই। তুমি ভাবো আমাদের বাবা-মা হয়তো আমাদের বুঝতে পারে না। কিন্তু মনে রেখো, শুধুমাত্র পরিবারই আমাদের নিঃশর্ত ভালোবাসে। তাদেরকেও সমান ভালোবেসো, শ্রদ্ধা করো এবং যত বেশি সম্ভব সময় কাটাও। বাবাকে বলো যে, তুমি তাকে ভালোবাসো। আজকেই বলো, আগামীকালকেও বলবে, প্রায়ই বলবে। শেষের আগে বলি, নিজের হৃদয়ের কথা শুনো। নিজের স্বপ্নকে তাড়া করো। সবার প্রতি সদয় থাকো এবং বিশ্বকে দেখাও মানুষের স্বপ্ন কীভাবে পার্থক্য গড়ে দাও। নিজের মতো হও। আর হ্যাঁ, যতো পারো পরাটার স্বাদ নিয়ে নাও। সামনের দিনগুলোয় এসব তোমার জন্য বিলাসিতা হয়ে যাবে। My journey and lifes lessons explained to a 15-year old me. Well, I tried my best writing this down. Do give it a read. 😊 #NoteToSelf pic.twitter.com/qwoEiknBvA Virat Kohli (@imVkohli) November 5, 2019 সূত্র : জাগো নিউজ এন এইচ, ০৫ নভেম্বর



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/34xPgi8
November 05, 2019 at 01:21PM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top