ঢাকা, ০১ নভেম্বর- আইরিন সুলতানা। বাংলাদেশের একজন মডেল ও চলচ্চিত্র অভিনেত্রী তিনি। ২০০৮ সালের প্যান্টেনা ইউ গট দ্য লুক প্রতিযোগিতায় তিনি সেরা হাসি পুরস্কার পাবার পর থেকে মিডিয়ায় কর্মজীবন শুরু করেন। দেবাশীষ বিশ্বাস পরিচালিত ভালোবাসা জিন্দাবাদ সিনেমার মাধ্যমে ২০১৩ সালে চলচ্চিত্রে পথ চলা শুরু হয় তার। এরপর আরও কয়েকটি সিনেমা মুক্তি পেয়েছে তার। আজ সারা দেশে মুক্তি পেয়েছে তার অভিনীত নতুন ছবি পদ্মার প্রেম। এ সিনেমাটি এর আগে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে মুক্তি পায়। সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন হারুন-উজ-জামান। এই সিনেমা নিয়ে এ প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। তুলে ধরা হলো আলাপের চুম্বক অংশ। প্রতিবেদক: কলকাতায় মুক্তি পরে এবার দেশে মুক্তি পেলো আপনার অভিনীত পদ্মার প্রেম সিনেমাটি। ছবি নিয়ে প্রত্যাশা কী? আইরিন : নতুন ছবি মুক্তি মানেই খুশির ব্যাপার। আজ শুক্রবার সারা দেশে ২০টির অধিক হলে মুক্তি পেয়েছেন আমার পদ্মার প্রেম সিনেমাটি। ঢাকার জোনাকী, মধুমিতা, শ্যমলী, মুক্তি, আনন্দ, নিউ মেট্রসহ সারা দেশের বিভিন্ন হলে চলবে সিনেমাটি। প্রতিবেদক : কলকাতায় কেমন সাড়া পেয়েছে ছবিটি? আইরিন : ওখানে ৪২টি মুক্তি পেয়েছিলো ছবিটি। এখনো ওখানে ৮টি সিনেমা হলে দেখাচ্ছে পদ্মার প্রেম। দর্শক গ্রহণ করেছে বলেই কিন্তু এখনো তারা ছবিটি চালাতে পারছে। এই মাসের শেষে ভোজপুরিতে মুক্তি পাবে। সেই প্রত্যাশার জায়গা থেকেই বলতে পারি আমাদের দেশের দর্শকরাও ছবিটি উপভোগ করবেন। প্রতিবেদক : সিনেমাটির প্রধান চমক কী? আইরিন : দারুণ একটা গল্প বলা হয়েছে এখানে। এটা একটা গল্প নির্ভর একটা ভালো বাংলা ছবি। এখানে আমার চরিত্রটির নাম পদ্মা। সে চঞ্চল প্রকৃতির মেয়ে। তার গ্রামের মানুষদের সব সময় মাতিয়ে রাখে। সবারে সঙ্গে খুনসুটি করে, সহযোগিতাও করে। গ্রামের মানুষ তাকে ভীষণ ভালোবাসে। এখানে ফ্যামিলি ড্রামাও আছে। যা দর্শকের শেষ পর্যন্ত বসি রাখবে। প্রতিবেদক : সিনেমার নাম ভূমিকাতে কী এবারই প্রথম অভিনয় করার সুযোগ হলো? আইরিন : হ্যাঁ। এই প্রথম সিনেমার নাম ভূমিকাতে অভিনয় করেছি। এটা অনেক ভালো লাগার ব্যাপার। কোনো সিনেমায় যখন একটা বড় চরিত্রে অভিনয় করার সুযোগ আসে তখন কাজের প্রতি আরও দায়িত্ববোধ বেড়ে যায়। মনে হয় আমাদের ভালো কিছু করতেই হবে। আমি শতভাগ চেষ্টা করেছি ভালো করতে। বাকিটা দর্শক বলবেন। প্রতিবেদক : এই বছর এ পর্যন্ত মাত্র ৩০টি সিনেমা মুক্তি পেয়েছে। এরমধ্যে আপনার অভিনীত একটি ছবি যুক্ত হলো। ছবির এই বাজার কীভাবে ঠিক হতে পারে? আইরিন : এটা অনেক বড় আলোচনার ব্যাপার। সিনেমা হলে পরিবেশ সুন্দর করা দরকার। যারা নিয়মিত ছবি প্রযোজনা করেন ও ছবির মার্কেট ভালো বোঝেন তাদের এগিয়ে আসা প্রয়োজন। নতুন প্রযোজকরা তো আসবেনই। প্রযোজক কম বলে সিনেমার সংখ্যা কমে যাচ্ছে। ভালো ছবি ও সিনেমা হলের ভালো পরিবেশ একই সঙ্গে প্রয়োজন। তাহলে সিনেমার লগ্নিকৃত টাকা ফেরত আসবে, অনেক ছবিও নির্মিত হবে। একজন প্রযোজক তার টাকা খরচ করে সেটা ফেরত পেলে তিনি আবারও সিনেমা বানাতে আসবেন। ই-টিকিটিং এর ব্যবস্থা করা যেতে পারে। প্রতিবেদক : কলকাতায় যেহেতু আগে মুক্তি পেয়েছে ছবিটি। ওখানে কী নতুন কোনো ছবিতে কাজ করার সুযোগ হচ্ছে? আইরিন : আমি পাসপোর্ট সংক্রান্ত জটিলতার কারণে কলকাতায় মুক্তির সময় যেতে পারিনি। সামনে ভোজপুরিতে যখন মুক্তি পাবে তখন যাওয়ার ইচ্ছে আছে। আর নতুন ছবির ব্যাপরে কথা হচ্ছে অনেকের সঙ্গে চূড়ান্ত না হলে তো বলা যাচ্ছে না। প্রতিবেদক : পদ্মার প্রেম ছবির শুটিং করতে গিয়ে বিশেষ কোনো ঘটনা কী ঘটেছে? আইরিন : মানিকগঞ্জে আমরা যখন শুটিং করতে গিয়েছিলাম। পদ্মা নদীতে ডুব দেওয়ার একটা দৃশ্য ছিলো। এই দৃশ্যের শুটিং করতে গিয়ে ভীষণ ভয় লাগছি। ডুব দিয়ে যদি না উঠতে পারি! যদিও সাঁতার জানি। আর একটা দৃশ্য ছিলো অনেক উঁচু থেকে নদীতে লাফ দেওয়ার। এটাও অনেক রিস্ক ছিলো। সাদেক বাচ্চু ভাইয়ার সঙ্গে একটা দৃশ্যে অভিনয় করতে গিয়ে কাঁদতে শুরু করেছিলাম। বাবা-মেয়ের এই দৃশ্যটা এতটাই ইমোশনাল ছিলো। কাঁদকে কোনো গ্লিসারিন প্রয়োজন হয়নি। প্রতিবেদক : সব শেষে দর্শকদের উদ্দেশ্যে কী বলতে চান? আইরিন : আমাদের গ্রামীণ প্রেক্ষাপট নিয়ে ৭০ দশকের গল্পে ছবিটা নির্মিত হয়েছে। গ্রাম বাংলার গল্পটি দর্শকদের নিরাশ করবে না। সবাইকে হলে গিয়ে ছবিটি দেখার আমন্ত্রণ রইলো। আর/০৮:১৪/০১ নভেম্বর
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/34pm0tY
November 01, 2019 at 05:28PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন