কলকাতা, ২২ নভেম্বর - কী অদ্ভুত সংযোগ! ১৯ বছর আগে বাংলাদেশের অভিষেক টেস্টের অবিস্মরণীয় মুহুর্তে, উৎসব মুখর পরিবেশে টাইগারদের টেস্ট যাত্রা শুরুর সময় ঘুরে ফিরে কোনো না কোনো প্রসঙ্গে চলে এসেছিল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের তৎকালীন সভাপতি জাগমোহন ডালমিয়ার নাম। আর এবার মানে ২২ নভেম্বর (শুক্রবার) থেকে কলকাতার ইডেন গার্ডেনসে যে বাংলাদেশ ও ভারতের দিবারাত্রির গোলাপি বলের টেস্ট শুরু হতে যাচ্ছে, সেই ঐতিহাসিক ম্যাচের আগেও ঘুরে ফিরে উচ্চারিত হচ্ছে ভারতীয় ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা বিসিসিআইয়ের নতুন অধিপতি সৌরভ গাঙ্গুলির কথা। প্রিন্স অফ কলকাতা এ আয়োজনকে স্মরণীয় করে রাখতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ম্যাচের আগে পশ্চিমবঙ্গের মূখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়কে নিয়ে দুদলের খেলোয়াড়দের সাথে পরিচিত হবেন এবং ইডেনের ঐতিহ্যবাহি ঘন্টা বাজিয়ে ঐতিহাসিক টেস্ট ম্যাচের শুভ উদ্বোধনও করবেন। এছাড়া ১৯ বছর আগে বাংলাদেশের যে টেস্ট স্কোয়াডটি ভারতের সঙ্গে ঢাকার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে প্রথম ম্যাচটি খেলেছিল, সেই দলকেও আমন্ত্রণ জানিয়েছেন সৌরভ। এছাড়া পুরো আয়োজনকে স্বার্থক, সফল ও স্মরণীয় করে রাখতে একটা উৎসবমুখর বাতাবরণ করা হয়েছে। সৌরভ গাঙ্গুলীর এ উদ্যোগকে সবাই স্বাগত জানিয়েছেন। কলকাতার মহারাজ বাংলাদেশ আর পশ্চিমবঙ্গের কোটি কোটি বাঙালির কাছে আগে থেকেই বিশেষ প্রসিদ্ধ ও জনপ্রিয় ছিলেন। ক্রিকেটার, ব্যাটসম্যান, অধিনায়ক সৌরভের প্রশংসা বাংলাদেশের প্রতিটি ক্রিকেট অনুরাগির মুখে মুখে উচ্চারিত হয় সব ময়ই। টিভি অনুষ্ঠান দাদাগিরির সৌরভও ততটাই লোকপ্রিয়। এমনকি বাংলাদেশের টিভি দর্শকরাও সৌরভের উপস্থাপনা ও সঞ্চালনে দাদাগিরি প্রাণভরে উপভোগ করেন। আর এবার বাংলাদেশ ও ভারতের দিবা রাত্রির গোলাপি বলের টেস্ট আয়োজনকে ঘিরে নানামুখী কর্মকাণ্ডের উদ্যোক্তা হয়ে বাংলাদেশের মানুষের আরও প্রিয় হয়ে গেছেন সৌরভ। অনেকেই সৌরভের সঙ্গে ভারতের ক্রিকেট বোর্ডের সাবেক প্রধান জাগমোহন ডাল মিয়ার মিল খুঁজে পেয়েছেন। প্রয়াত অবাঙ্গালী ক্রিকেট সংগঠক জাগমোহন ডালমিয়া (তবে তিনি কলকাতায়ই প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন, থাকতেনও সেখানেই) তখন ভারতীয় ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিসিসিআই এবং বিশ্ব ক্রিকেটের অভিভাবক সংস্থা আইসিসির কর্নধার ছিলেন। বাংলাদেশের টেস্ট মর্যাদা প্রাপ্তিতে তিনি রেখেছিলেন অগ্রণী ভূমিকা। সে সময়ের বিসিবি প্রধান সাবের হোসেন চৌধুরী ও বোর্ড সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল হকের দূরদর্শী ক্রিকেট কূটনীতি এবং অন্যান্য টেস্ট খেলিয়ে দেশগুলোর সাথে সুসম্পর্ক স্থাপন টেস্ট স্ট্যাটাস লাভে কার্যকর ভূমিকা রাখলেও জাগমোহন ডালমিয়ার প্রত্যক্ষ সাহায্য সহযোগিতা ও অকুন্ঠ সমর্থন না থাকলে তখন টেস্ট মর্যাদা লাভ হতো কি না সন্দেহ। এদিকে একটি টেস্ট ম্যাচকে ঘিরে এত বিশাল যজ্ঞ ও দিবারাত্রির গোলাপি বলের টেস্টকে স্মরণীয় করে রাখার উদ্যোগ এবং নানা আকর্ষনীয় কর্মকাণ্ড হাতে নেয়ার জন্য সৌরভ গাঙ্গুলীকে আন্তরিক ধন্যবাদ দিয়েছেন বাংলাদেশের প্রথম টেস্টের অধিনায়ক নাইমুর রহমান দুর্জয়। আজ (শুক্রবার) সকালে কলকাতা থেকে মুঠোফোন আলাপে নাইমুর রহমান দুর্জয় জানিয়েছেন, অসাধারণ উদ্যোগ, চমৎকার আয়োজন। দারুণ হসপিটালিটি। পরিপাটি সাজানো গোছানো সব কর্মকাণ্ড। আমরা পুরো দল এসেছি, খুব ভাল লাগছে। একটা উৎসব মুখর পরিবেশে এসে পড়েছি। চারিদিকে বর্ণাঢ্য বাতাবরণ। আমাদের দেখভাল ও খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে খুব। আতিথিয়তাও পাচ্ছি ভাল। খুব ভাল মুডে আছি। তিনি আরও বলেন, এখন মাঠে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি। সেখানে সব লিজেন্ডদের সাথে দেখা হবে। কথা হবে। অনেকের সাথে বহুদিন পর দেখা হবে। তা ভেবেই অন্যরকম অনুভুতি হচ্ছে। এমন এক বর্নাঢ্য আয়োজনের জন্য। আর সৌরভ গাঙ্গুলীকে বিশেষ ধন্যবাদ ও আন্তরিক কৃতজ্ঞতা। সত্যিই সব মিলে খুব ভাল লাগছে। সূত্র : জাগো নিউজ এন এইচ, ২২ নভেম্বর



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2OBMKkq
November 22, 2019 at 07:15AM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top