ইন্দোর, ১৬ নভেম্বর- ঠিক যেন প্রথম ইনিংসেরই পুনরাবৃত্তি ঘটছে বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংসে। শনিবার ম্যাচের প্রথম দিন যেমন ব্যাটিং বিপর্যয়ের পর ভারতীয় ফিল্ডারদের বদান্যতায় একের পর এক জীবন পেয়েছেন মুশফিক, আজ (শনিবার) তৃতীয় দিনও জীবন পেয়ে গেছেন বাংলাদেশ দলের অন্যতম নির্ভরযোগ্য এ ব্যাটসম্যান। ভারতের ছুড়ে দেয়া ৩৪৩ রানের লিডের নিচে চাপা পড়ে ব্যাট করতে নেমে দলীয় পঞ্চাশের আগেই টপঅর্ডারের চার ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ। পঞ্চাশের আগেই উইকেটের ঘরটা হতে পারতো পাঁচ, কিন্তু স্লিপে দাঁড়িয়ে মুশফিকুর রহীমের ক্যাচ ছেড়ে দেন রোহিত শর্মা। প্রথম ইনিংসে অন্তত তিনবার জীবন পেয়েছিলেন মুশফিক। কিন্তু কাজে লাগাতে পারেননি। আউট হয়েছেন মাত্র ৪৩ রান করে। দ্বিতীয় ইনিংসে তিনি প্রথম জীবন পেলেন ব্যক্তিগত ৪ রানের মাথায়। দেখার বিষয় এ ইনিংস কতদূর যেতে পারেন তিনি। কেননা মুশফিকের ব্যাটেই যে এখন ঝুলে আছে ম্যাচে বাংলাদেশের ভাগ্য। তৃতীয় দিনের মধ্যাহ্ন বিরতি পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ৬০ রান। ইনিংস পরাজয় এড়াতে এখনও প্রয়োজন ২৮৩ রান। মুশফিক ৯ ও মাহমুদউল্লাহ ৬ রানে অপরাজিত রয়েছেন। এর আগে দিনের শুরুতে সরাসরি খেলা না দেখে শুধুমাত্র স্কোরকার্ড অনুসরণ করে থাকলে, যে কেউ দ্বিধায় পড়ে যেতে পারতেন। হয়তো ভাবতেন, এটি প্রথম ইনিংসই দেখছি না তো? ম্যাচের প্রথম দিন সাবধানী শুরুর পর ষষ্ঠ ওভারের শেষ বলে সাজঘরে ফিরে গিয়েছিলেন বাঁহাতি ওপেনার ইমরুল কায়েস, করেছিলেন ৬ রান। দ্বিতীয় ইনিংসেও ঠিক ৬ রানেই আউট হন তিনি। এবারেও ঠিক ষষ্ঠ ওভারেই, তবে প্রথম বলে। প্রথম ইনিংসে আজিঙ্কা রাহানের হাতে ক্যাচে পরিণত হলেও, দ্বিতীয় ইনিংসে সোজা বোল্ড হয়ে ফিরেছেন অভিজ্ঞ এ ওপেনার। ভারতের ছুড়ে দেয়া ৩৪৩ রানের লিডের নিচে চাপা পড়ে আজ (শনিবার) দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমেছে বাংলাদেশ। প্রথম পাঁচ ওভার দেখেশুনে ভালোভাবেই কাটিয়ে দিয়েছিলেন দুই ওপেনার সাদমান ইসলাম ও ইমরুল কায়েস। কিন্তু ষষ্ঠ ওভারে বোলিং করতে এসে প্রথম বলেই দারুণ এক ইনসুইংগারে ইমরুলের লেগ স্টাম্প উপড়ে দেন উমেশ। প্রথম ইনিংসের মতোই ৬ রানে ফিরে যান ইমরুল। একই ওভারের পঞ্চম বলে অল্পের জন্য টাইগার অধিনায়ক মুমিনুল হকের উইকেটটি পাননি উমেশ। তার ভেতরে ঢোকা ডেলিভারিতে কোনো শট না খেলে ছেড়ে দিয়েছিলেন মুমিনুল, বল ছুঁয়ে যায় পেছনের প্যাড। ভারতীয় ফিল্ডারদের করা জোরালো আবেদনে সাড়া দেননি আম্পায়ার। নিজেদের মধ্যে কথা বলে রিভিউ নেন বিরাট কোহলি। রিপ্লেতে দেখা যায় অল্পের জন্য অফস্টাম্প মিস করতো বলটি। ফলে বেঁচে যান মুমিনুল। রিভিউ নষ্ট হয় ভারতের। অধিনায়ক বেঁচে গেলেও পরের ওভারে নিজের উইকেট সামলে রাখতে পারেননি তরুণ ওপেনার সাদমান। ইমরুলের দেখাদেখি তিনিও ঘটান প্রথম ইনিংসের পুনরাবৃত্তি। বৃহস্পতিবার সকালে দিনের সপ্তম ওভারের শেষ বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ৬ রানে আউট হয়েছিলেন সাদমান। আজও দিনের সপ্তম ওভারের শেষ বলে আউট হয়েছেন তিনি। তবে এবার আর ক্যাচ নয়। ইশান্ত শর্মার শার্প ইনসুইং ডেলিভারিতে সরাসরি বোল্ড হয়েছেন সাদমান। এবারও করেছেন ঠিক ৬ রান। নিজের রানের খাতা খোলার আগে মুমিনুল রিভিউয়ের হাত থেকে বেঁচে গেলেও কয়েক ওভার পর আর বাঁচাতে পারেননি নিজের উইকেট। মোহাম্মদ শামির করার প্রথম ওভারের পঞ্চম বলে স্টাম্প গার্ড দিয়ে ডিফেন্স করেছিলেন টাইগার অধিনায়ক। কিন্তু বল ব্যাট ফাঁকি দিয়ে আঘাত হানে পেছনের প্যাডে। প্রথমে আউট দেননি আম্পায়ার। আবার রিভিউ নেন কোহলি। এবার রিপ্লেতে দেখা যায় বল সোজা আঘাত হানতো লেগস্টাম্পে। ফলে ৭ রান করে আউট হয়ে যান মুমিনুল। শুরুর তিন ব্যাটসম্যানের আঁটসাঁট ব্যাটিং দেখেই হয়তো পাল্টা আক্রমণের পথ ধরেছিলেন চার নম্বরে নামা মোহাম্মদ মিঠুন। চারটি চারের মারে দ্রুতই করে ফেলেছিলেন ১৮ রান। কিন্তু অতিরিক্ত উচ্চাভিলাষী হয়ে বড় শট খেলার প্রয়াসে তিনি ধরা পড়েন শর্ট মিড উইকেটে দাঁড়ানো মায়াঙ্ক আগারওয়ালের হাতে। মাত্র ৪৪ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে বসে বাংলাদেশ। এরপর থেকে অতি সাবধানী হয়ে খেলছেন দুই ভায়রাভাই মুশফিকুর রহীম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। দুজন মিলে কাটিয়ে দিয়েছেন সেশনের বাকি ৭.৫ ওভার, যোগ করেছেন ১৬ রান। সূত্র: জাগোনিউজ আর/০৮:১৪/১৬ নভেম্বর
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2NSZaW7
November 16, 2019 at 08:11AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন