কলকাতা, ১১ ডিসেম্বর- স্কুলে শিক্ষার্থীদের মোবাইল-স্মার্টফোন ব্যবহার নিয়ে সারা বিশ্বেই শিক্ষামহলে বিতর্ক চলছে। ক্লাস চলার সময় শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ফোনে কথা বলা নিয়েও শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভ আছে। এবার এ বিষয়ে কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ শিক্ষা দফতর। দেশটির গণমাধ্যম আনন্দবাজারের খবরে বলা হয়েছে, স্কুল চত্বরে মোবাইল ব্যবহারে সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা জারি করল শিক্ষা দফতর। এবার থেকে ছাত্রছাত্রীরা স্কুলে মোবাইল আনতে পারবে না। একই সঙ্গে শিক্ষকদের মোবাইল ব্যবহারেও বেশকিছু শর্ত দেয়া হয়েছে। ২০২০ সালের নতুন শিক্ষাবর্ষ থেকেই এ নিয়ম চালু হতে চলেছে। এর আগে দেশটিতে পরীক্ষা চলার সময় শিক্ষকদের মোবাইল ফোন ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞা ছিল। মোবাইল ফোন যে মনোযোগে ব্যাঘাত ঘটায়, নানা গবেষণায় বহুবার তা উঠে এসেছে। শিশুদের হাতে স্মার্টফোন দিলে ঠিক করে বই পড়তেও সমস্যায় পড়ে তারা। বাস্তবিক এ সমস্যার কথা ভেবেই স্কুলে মোবাইল ব্যবহারের ক্ষেত্রে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে দফতর। সামনের বছর থেকে মোবাইল ফোনের নিষেধাজ্ঞা ছাড়াও আরও বেশ কিছু বিধি-নিষেধ আরোপ করতে চলেছে শিক্ষা দফতর । দেশটির শিক্ষা দফতর জানায়, আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকেই শিক্ষার্থীরা স্কুল চত্বরে মোবাইল আর ব্যবহার করতে পারবে না। একই সঙ্গে ক্লাসে এবং ল্যাবরেটরিতে মোবাইল ব্যবহার থেকে বিরত থাকার জন্যে শিক্ষকদের কাছে অনুরোধ জানানো হয়েছে। ঘন ঘন মোবাইল ব্যবহার একে বারেই নিষেধ করা হয়েছে। যদি কোনও প্রয়োজনে ক্লাসে মোবাইল ব্যবহার করতেই হয়, তা হলে স্কুলের প্রধানশিক্ষকের কাছ থেকে লিখিত অনুমতি নিতে হবে শিক্ষকদের। একই সঙ্গে শিক্ষক ও কর্মচারীদের স্কুলে নির্দিষ্ট সময় আসার বিষয়েও নির্দেশিকা জারি করেছে শিক্ষা দফতর। তাতে বলা হয়েছে, ১০টা ৪০ থেকে ১০টা ৫০মিনিটের মধ্যে স্কুলের প্রার্থনায় অংশ নিতে হবে প্রত্যককেই। ১০টা ৫০ মিনিটের পরে কেউ স্কুলে ঢুকলে, তা লেট হিসাবেই গ্রাহ্য হবে। বেলা ১১টা ৫ মিনিটের পরে স্কুলে ঢুকলে তাকে অনুপস্থিত ধরা হবে। নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে, সাড়ে ৪টার আগে স্কুল ছাড়া যাবে না। শিক্ষা দফতরের নিয়ম মেনে ক্লাস নেয়ার বিষয়েও সতর্ক করে দেয়া হয়েছে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের। এ প্রসঙ্গে দেশটির মাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রধান কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, আগে মোবাইল ফোন ছাড়া কি সমাজ চলত না? স্কুল চলাকালীন ফোন ব্যবহার না করাই তো কাম্য। তাই এই নির্দেশিকা। শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের অনুমোদন পাওয়ার পরই গত ৯ ডিসেম্বর এ বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গ মাধ্যমিক শিক্ষা পর্যদের (শিক্ষা) উপসচিব পার্থ কর্মকারের পক্ষ থেকে নোটিশ জারি করা হয়। সরকারি স্কুল, সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুল-সহ পশ্চিমবঙ্গ মাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদের অধীনে সব স্কুলেই এই নিময় কার্যকর হচ্ছে। পর্ষদ প্রধান আরও জানান, মাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদের নথিভুক্ত সব স্কুল কর্তৃপক্ষকে এই নিয়ম মেনে চলতে হবে। আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে শিক্ষকদের হাজিরা খাতায় সই করে স্কুলে ঢোকা এবং বেরনোর সময় উল্লেখ করতে হবে। ক্লাসেও পড়ানোর সময় কোনোভাবেই মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন না শিক্ষকরা। ২৬ জানুয়ারি, ১৫ অগস্ট-সহ বিশেষ বিশেষ দিনগুলোতে স্কুলে উপস্থিত থাকতে অনুরোধ জানিয়েছেন পর্ষদ প্রধান। আর/০৮:১৪/১১ ডিসেম্বর
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/38BoXui
December 11, 2019 at 05:44AM
এই সম্পর্কিত আরও সংবাদ...
মাওবাদী হানায় মৃত তথা নিখোঁজ ৪ জনের পরিবারকে নিয়োগপত্র দিলেন মুখ্যমন্ত্রী
07 Oct 20200টিকলকাতা, ৭ অক্টোবর- কথা রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী। মঙ্গলবারের ঘোষণা মতোই ঝাড়গ্রামের প্রশাসনিক সভা থেকে মাও...আরও পড়ুন »
ডেমোক্রেসির বদলে বাংলায় মমতাক্রেসি চলছে
06 Oct 20200টিকলকাতা, ৬ অক্টোবর- বিজেপি নেতা মণীশ শুক্লাকে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়...আরও পড়ুন »
বিজেপি নেতা মণীশ খুনের ঘটনায় উত্তপ্ত পশ্চিমবঙ্গ
06 Oct 20200টিকলকাতা, ০৬ অক্টোবর- বিজেপি নেতা মণীশ শুক্ল খুনের ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করা হলেও উত্তপ্ত পরিস্থিতি ব...আরও পড়ুন »
বিজেপি নেতা মনীশ শুক্লার মৃত্যু ঘিরে রণক্ষেত্র বারাকপুর
05 Oct 20200টিকলকাতা, ৫ অক্টোবর- অর্জুন সিং ঘনিষ্ঠ বিজেপির দাপুটে নেতা মণীশ শুক্লাকে খুনের ঘটনায় সোমবার সকাল থেক...আরও পড়ুন »
পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি নেতাকে গুলি করে হত্যা
05 Oct 20200টিকলকাতা, ৫ অক্টোবর- পশ্চিমবঙ্গের ব্যারাকপুরের মণীশ শুক্লা নামে এক বিজেপি নেতাকে গুলি করে হত্যা করেছে ...আরও পড়ুন »
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Click to see the code!
To insert emoticon you must added at least one space before the code.