ঢাকা, ১০ ডিসেম্বর - জাতির জনক, স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে আসর। খোদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাত্র ৪৮ ঘন্টা আগে উদ্বোধন করে গেলেন। বলিউড স্টার সালমান খান-ক্যাটরিনা কাইফকে এনজর দেখতেই হোক কিংবা, মাঠের খুব কাছ থেকে তাদের পারফরমেন্স একপলক দেখার পাশাপাশি সনু নিগম আর কৈলাশ খেরের সুরের মুর্ছনা উপভোগ করার জন্যই হোক, ৮ ডিসেম্বর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে উপস্থিত হয়েছিলেন সমাজের সর্বস্তরের অন্তত হাজার দশেক মানুষ। সব মিলে সেই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে ছিল সাজ সাজ রব। একটা উৎসব মুখর পরিবেশ ছিল শেরে বাংলা স্টেডিয়াম ও তার আশপাশে। সেই মাঠে রাত পোহালেই বিপিএলের ময়দানি লড়াই শুরু। হোম অব ক্রিকেটের বাইরে থেকে কিছুই বোঝার উপায় নেই। একাডেমি মাঠে সারাদিন দলগুলোর শেষ মুহুর্তের প্রস্তুতি, আর লঙ্কান কিওরেটর গামিানি ডি সিলভা ও তার বাহিনীর মাঠ পরিচর্য্যার কাজে ব্যস্ত থাকা বাদ দিলে আজ মঙ্গলবার সারা দিন শেরে বাংলায় কাটানো কারো বোঝার উপায় ছিল না, ২৪ ঘন্টা পর এই মাঠেই শুরু হচ্ছে বিপিএলের জমজমাট সপ্তম আসর। প্রাণচাঞ্চল্য কম। শীর্ষ কর্মকর্তাদের বড় অংশর অনুপস্থিতি এবং দায়সারা গোছের আয়োজন- চোখে লেগেছে। সবচেয়ে বড় দৃষ্টিকটু ছিল সন্ধ্যায় অধিনায়কদের অফিসিয়াল ফটোসেশন। যেখানে বাংলাদেশের ক্রিকেটের জীবন্ত কিংবদন্তী মাশরাফি বিন মর্তুজাকে ছাড়াই হয়ে গেল ফটোসেশন। মাশরাফির জায়গায় অধিনায়কদের অফিসিয়াল ফটোশ্যুটে অংশ নিলেন তার দল ঢাকা প্লাটুনের আরেক সহযোগি মুমিনুল হক। মুমিনুল তবু ঢাকা প্লাটুনের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। আরেক দল রংপুর রেঞ্জার্সের কোন প্রতিনিধিত্বই ছিল না অফিসিয়াল ফটোসেশনে। তাদের অধিনায়ক মোহাম্মদ নবি ছিলেন অনুপস্থিত। জানা গেছে ট্র্যাফিক জ্যামের কারনে নবি সময় মত পৌঁছাতে পারেননি অধিনায়কদের অফিসিয়াল ফটোসেশনে। আর মাশরাফি বিকেল ৫টার দিকেই চলে গেছেন। থাকবেনই বা কেন? ফটোসেশন ছিল বিকেল ৫ টায়। তা অনুষ্ঠিত হয়েছে ৫টা ৫৩ মিনিটে। শুধু তাই নয়। শেরে বাংলায় মত আধুনিক ও ছিমছাম সাজানো গোছানো কনফারেন্স হল থাকতে অধিনায়কদের ফটোসেশন করা হয়েছে বিসিবি একাডেমি মাঠে। ঘড়ির কাঁটায় তখন প্রায় ৬টা ছুঁই ছুঁই করছিল, মানে সন্ধ্যা নেমে আলোও গিয়েছিল কমে। আর তার মধ্যেই পাঁচ অধিনায়ক মুশফিকুর রহীম (খুলনা টাইগার্স), মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স), মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত (সিলেট থান্ডার্স), আন্দ্রে রাসেল (রাজশাহী রয়্যালস), দাসুন সানাকার (কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স) সাথে অফিসিয়াল ফটোসেশনে ঢাকা প্লাটুনের নিয়মিত অধিনায়ক মাশরাফির বদলে অংশ নিলেন মুমিনুল হক। সবচেয়ে বড় কথা, অফিসিয়াল ফটোসেশন হলো ট্রফি ছাড়া। একটা দুই জাতি টেস্ট, ওয়ানডে কিংবা টি-টোয়েন্টি সিরিজেও অধিনায়কদের ফটোসেশন মানেই ট্রফি হাতে নিয়ে একসঙ্গে ছবি তোলা। সেটা সিরিজ বা টুর্নামেন্ট- আসরের বড় বিজ্ঞাপন হিসেবেও পরিগণিত হয়। কিন্তু আজ বিপিএলের অধিনায়কদের ফটোসেশনে তাও হলো না। যদিও বিসিবি থেকে যে বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়েছিল, তাতে কোথাও লিখা ছিল না ট্রফি উন্মোচনের কথা। তবে সেটা প্রায় রীতির পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। কোন আসর শুরুর আগে অধিনায়কদের আনুষ্ঠানিক ফটোসেশন মানেই ট্রফি হাতে একসঙ্গে ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে পোজ দেয়া। এবার বিপিএলে তারও ব্যত্যয় ঘটলো। কেন হলো না? তার জবাব নেই। কে জানে আগামী ৫ সপ্তাহে আরও কি কি নিয়ম, নীতি আর রীতির ব্যতিক্রম ঘটবে? সূত্র : জাগো নিউজ এন এইচ, ১০ ডিসেম্বর
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2E0jjUr
December 10, 2019 at 02:34PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন