ঢাকা, ২৮ ডিসেম্বর - আন্দ্রে রাসেল, শোয়েব মালিক, রবি বোপারা ও মোহাম্মদ ইরফান- কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সের বিপক্ষে ম্যাচে রাজশাহী রয়্যালসের হয়ে খেলেছেন এ ৪ বিদেশি ক্রিকেটার। তাদের সবারই রয়েছে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে অনেক বেশি ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা। বিশ্বব্যাপী ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ খেলে বেড়ান রাসেল, মালিকরা। বোপারা ও ইরফানের নামের পাশেও রয়েছে যথাক্রমে ৩৪৩ ও ১২৩ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা। যার ফলে রাজশাহী রয়্যালসের হয়ে খেলা বাংলাদেশি তরুণ ক্রিকেটারদের সামনে অবারিত সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের কাছ থেকে নানান কিছু শেখার। যার পূর্ণ ফায়দা লুটছেন দলের তরুণ অলরাউন্ডার আফিফ হোসেন ধ্রুব। শেখার চেষ্টা করছেন রাসেল, মালিক, বোপারাদের কাছ থেকে। ব্যাটিং অর্ডারে প্রমোশন পেয়ে আফিফ এখন ওপেনিংয়ে খেলছেন। লিটন দাসকে সঙ্গে নিয়ে প্রায় প্রতি ম্যাচেই দারুণ সূচনা এনে দিচ্ছেন রাজশাহীকে। আজ (শনিবার) কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সের বিপক্ষেও উদ্বোধনী জুটিতে ৫৬ রান যোগ করেছেন এ দুজন। লিটন আউট হয়ে গেলেও আফিফের ব্যাট থেকে আসে ৩০ বলে ৪৩ রানের ইনিংস। যা কি না রাজশাহীকে এনে দেয় বড় সংগ্রহের ভিত। ম্যাচ জেতার পর দলের প্রতিনিধি হয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসেন আফিফ। বরাবরই চুপচাপ থাকা আফিফ মুখ খুলেছেন দলের অভিজ্ঞদের কাছ থেকে কী শিখছেন জানতে চাওয়া প্রশ্নে। জানিয়েছেন, দলে থাকা অভিজ্ঞ বিদেশিদের কাছ থেকে ব্যাটিংয়ের বেশ কিছু বিষয়েই সাহায্য নিচ্ছেন। আফিফ বলেন, আমাদের দলে অভিজ্ঞ খেলোয়াড় অনেকজনই আছে। (রবি) বোপারা আছে। (শোয়েব) মালিক ভাই, বোপারা স্পিন ভালো খেলেন। তাদের থেকে চেষ্টা করছি স্পিন কিভাবে ভালো খেলা যায় তা শিখতে। আর রাসেলের কিছু টেকনিক দেখছি, ও কী টেকনিক ব্যবহার করে পাওয়ার হিটিংয়ের জন্য। বিপিএল শুরুর আগে অনেকেই চোখ রেখেছিল আগামী বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দিকে। তবে আফিফ অত দূরে তাকাচ্ছেন না। তিনি চলতি টুর্নামেন্টেই মনোযোগ দিচ্ছেন, আমার ফোকাস আপাতত বিপিএল নিয়েই আছে। বিপিএলে বাকি যে কটা ম্যাচ আছে আমি যেন পারফর্ম করতে পারি। প্রত্যেকটা ম্যাচ বাই ম্যাচ খেলতে পারি। সব সময় চিন্তা করি সামনের ম্যাচে যেন ভালো করতে পারি। এবারের আসরে রাজশাহীর চাহিদার কারণেই মূলত ওপেনার বনে গেছেন আফিফ। আর এটি হওয়ায় ব্যাটিং করাটা সহজ হয়েছে বলে মনে করেন তিনি, আন্তর্জাতিক ম্যাচে আমি যেখানে ব্যাট করি আর বিপিএলে যেখানে খেলছি পুরো ভিন্ন পরিস্থিতি। ওখানে আমি অনেক নিচে খেলি, এখানে টপ অর্ডারে খেলছি। এখানে পাওয়ার প্লেটা কাজে লাগাতে পারছি, যার ফলে কাজ আরেকটু সহজ হয়ে গেছে আমার জন্য। তাই বলে আবার জাতীয় দলেও ওপেনিং করার ইচ্ছা নেই এ তরুণ অলরাউন্ডারের, আসলে আমি তো ওপেনার না বেসিক্যালি। আমি টপ অর্ডারে খেলতে পছন্দ করি। টিম কম্বিনেশনের জন্য আমাদের একটা ওপেনারের দরকার ছিল। এজন্য আমাকে ওপেন করতে বলা হয়েছে। ওপেন আর তিন নম্বরে খুব তফাত নেই, তাই আমি রাজি হয়েছি। সূত্র : জাগো নিউজ এন এইচ, ২৮ ডিসেম্বর
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2t6CSZ5
December 28, 2019 at 03:59PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন