কলকাতা, ২৮ ডিসেম্বর - নাগরিকত্ব আইন ও এনআরসির প্রতিবাদে আন্দোলনকারীদের মধ্যে বিভাজন করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, এমনই অভিযোগ বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের। এপ্রসঙ্গে গোর্খাল্যান্ড আন্দোলনে গুলি চালানোর বিষয়টি সামনে এনেছেন তিনি। দিলীপ ঘোষের দাবি, সেই আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয়েছিল ১১ জনের। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেদিন তাঁদের কারও বাড়িতেই যাননি। অথচ উত্তর প্রদেশের পর কর্নাটকে হিংসায় মৃতদের বাড়িতে যাচ্ছে তৃণমূলের প্রতিনিধিদল।এদিন কেন্দ্রীয় আইন নিয়ে বিক্ষোভ প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূমিকার কড়া সমালোচনা করেছেন দিলীপ ঘোষ। নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে কেন্দ্র-বিরোধিতায় উত্তাল হয় উত্তরপ্রদেশ। রাজধানী লখনউ, সম্ভল-সহ যোগীরাজ্যের একাধিক শহরে পথে নেমে আন্দোলনে সামিল হন রাজনৈতিক দল, বিভিন্ন সংগঠন থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ। আন্দোলনের নামে চলে ভাঙচুর, তাণ্ডব। আন্দোলন চলাকালীন গুলিতে ১৬ জনের মৃত্য়ু হয় বলে দাবি। এরপরই উত্তরপ্রদেশে প্রতিনিধি দল পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে উত্তরপ্রদেশে দলের ৪ নেতা-নেত্রীকে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন তৃণমূলসুপ্রিমো। উত্তরপ্রদেশে তৃণমূলের প্রতিনিধি দলকে লখনউ বিমানবন্দরের বাইরে বেরোতে দেওয়া হয়নি। বিমানবন্দরেই তাঁদের আটকে দেয় উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। ১৪৪ ধারা জারির অজুহাত দেখিয়ে আটকে দেওয়া হয় তৃণমূলের প্রতিনিধি দলকে। এদিকে, ম্যাঙ্গালুরুতে পুলিশে গুলিতে নিহতদের পরিবারকে আর্থিক সাহায্য দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও আগেই ম্যাঙ্গালোরে নিহতদের পরিবারকে রাজ্য সরকারের তরফে সাহায্য় দেওয়ার কথা ঘোষণা করে পরে অবস্থান বদলে নেন কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী ইয়েদুরিয়াপ্পা। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলনে ম্যাঙ্গালুরুতে পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয়েছিল দুই ব্যক্তির। রাজ্য সরকারের তরফে দুই পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী বিএস ইয়েদুরিয়াপ্পা। কিন্তু পরে ইয়েদুরিয়াপ্পা জানান নিহতদের ভূমিকা নিয়ে তদন্ত শেষ না হওয়া ক্ষতিপূরণের টাকা দেওয়া হবে না। এদিকে, একটা সময় পাহাড়েও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভের আগুন জ্বলেছিল। দিলীপ ঘোষের দাবি, পাহাড়ে বিক্ষোভে ১১ জন গোর্খা মারা গিয়েছিলেন। কিন্তু পাহাড়ে নিহতদের বাড়িতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেও যাননি বা কোনও প্রতিনিধি দলও পাঠাননি, এমনই অভিযোগ বিজেপি রাজ্য সভাপতির। আর এই বিষয়টি নিয়েই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বিক্ষোভকারীদের মধ্যে বিভাজন করার অভিযোগ নিয়ে সরব হয়েছেন দিলীপ ঘোষ। এরই পাশাপাশি তৃণমূলনেত্রী সমাজবিরোধীদের প্রশ্রয় দিচ্ছেন বলেও অভিযোগ করেছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। সূত্র : কলকাতা ২৪ এন এইচ, ২৮ ডিসেম্বর
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2Q6klFb
December 28, 2019 at 03:39PM
এই সম্পর্কিত আরও সংবাদ...
মাওবাদী হানায় মৃত তথা নিখোঁজ ৪ জনের পরিবারকে নিয়োগপত্র দিলেন মুখ্যমন্ত্রী
07 Oct 20200টিকলকাতা, ৭ অক্টোবর- কথা রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী। মঙ্গলবারের ঘোষণা মতোই ঝাড়গ্রামের প্রশাসনিক সভা থেকে মাও...আরও পড়ুন »
ডেমোক্রেসির বদলে বাংলায় মমতাক্রেসি চলছে
06 Oct 20200টিকলকাতা, ৬ অক্টোবর- বিজেপি নেতা মণীশ শুক্লাকে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়...আরও পড়ুন »
বিজেপি নেতা মণীশ খুনের ঘটনায় উত্তপ্ত পশ্চিমবঙ্গ
06 Oct 20200টিকলকাতা, ০৬ অক্টোবর- বিজেপি নেতা মণীশ শুক্ল খুনের ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করা হলেও উত্তপ্ত পরিস্থিতি ব...আরও পড়ুন »
বিজেপি নেতা মনীশ শুক্লার মৃত্যু ঘিরে রণক্ষেত্র বারাকপুর
05 Oct 20200টিকলকাতা, ৫ অক্টোবর- অর্জুন সিং ঘনিষ্ঠ বিজেপির দাপুটে নেতা মণীশ শুক্লাকে খুনের ঘটনায় সোমবার সকাল থেক...আরও পড়ুন »
পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি নেতাকে গুলি করে হত্যা
05 Oct 20200টিকলকাতা, ৫ অক্টোবর- পশ্চিমবঙ্গের ব্যারাকপুরের মণীশ শুক্লা নামে এক বিজেপি নেতাকে গুলি করে হত্যা করেছে ...আরও পড়ুন »
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Click to see the code!
To insert emoticon you must added at least one space before the code.