ঢাকা, ১৮ ডিসেম্বর- ঠিক বিনা মেঘে বজ্রপাত নয়। তবে দুঃসংবাদ অবশ্যই। বলা নেই, কওয়া নেই। হঠাৎ পদত্যাগ করলেন জাতীয় দলের দক্ষিণ আফ্রিকান ফাস্ট বোলিং কোচ চার্ল ল্যাঙ্গাভেল্ট। ক্রিকেট পাড়ার গুঞ্জন নয়। হাওয়া থেকে পাওয়া উড়ো খবরও না। একদম ভেতরের খবর। জাতীয় দল ব্যবস্থাপনা, পরিচালনা, কোচ নিয়োগ থেকে শুরু করে কোচিং স্টাফ এবং ক্রিকেটারদের সমূদয় দায় দায়িত্ব যে স্ট্যান্ডিং কমিটির ওপর ন্যাস্ত, সেই ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান আকরাম খান নিজে দিয়েছেন এ তথ্য। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ এ প্রতিবেদকের সাথে মুঠোফোন আলাপে বিসিবি পরিচালক ও ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটি চেয়ারম্যান আকরাম খান জানান, জাতীয় দলের ফাস্ট বোলিং কোচ চার্ল ল্যাঙ্গাভেল্ট চাকরি ছাড়ার ইচ্ছে প্রকাশ করে এরই মধ্যে বিসিবিতে ইস্তফাপত্র দিয়েছে। অর্থাৎ দক্ষিণ আফ্রিকান আমাদের (বিসিবিকে) আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়ে দিয়েছেন তিনি আর বাংলাদেশ জাতীয় দলের ফাস্ট বোলিং কোচের দায়িত্ব পালন করতে চান না। তাই তিনি বোর্ডে অব্যাহতিপত্র দিয়েছেন। দায়িত্ব নিয়েছেন ছয় মাসও হয়নি। ক্যালেন্ডারের পাতা উল্টে দিনক্ষণের হিসেব কষলে ৫ মাস পুরো হয়নি। এর মধ্যে হ্যাঁ থেকে না হয়ে যাচ্ছেন ল্যাঙ্গাভেল্ট। প্রায় বিনা নোটিশে হঠাৎই জাতীয় দলের ফাস্ট বোলিং কোচ পদ থেকে সড়ে দাঁড়ানো। কিন্তু কেন? তবে কি বাংলাদেশের বোলিং কোচের পদ উপভোগ করছেন না ল্যাঙ্গাভেল্ট? নাকি বাংলাদেশের ফাস্ট বোলারদের মান ও উইকেট নিয়ে আছে অসন্তোষ? এমন প্রশ্নর উদ্রেক কিন্তু ঘটেছে। কিন্তু আকরাম খান জানালেন, না না, ওসব কিছুই না। চার্ল ল্যাঙ্গাভেল্ট আসলে দক্ষিণ আফ্রিকান জাতীয় দলের ফাস্ট বোলিং কোচের অফার পেয়েছেন। তাই তিনি তা সানন্দে গ্রহণ করতে চান। আর সে কারণেই বাংলাদেশের পেস বোলিং কোচের পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে নিজ দেশের জাতীয় দলের ফাস্ট বোলিং কোচ হতে আগ্রহী। আর সে কারণেই বোর্ডে চিঠি দিয়ে চাকরি ছাড়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন এ প্রোটিয়া। বোর্ড কি এরই মধ্যে তার ইস্তফা বা পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছে? বিসিবি কী তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে ছাড়পত্র দিয়ে দিয়েছে? এমন প্রশ্নর জবাবে আকরাম খান জানান, বোর্ডের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত তাকে হ্যাঁ বা না কিছুই জানানো হয়নি। আমরা নিজেরা বসে ঠিক করব আসলে কী করা যায়? একজন ভীনদেশি কোচ বিসিবিতে বা জাতীয় দলের সাথে আর কাজ করতে চান না। নিজ দেশের কোচিং স্টাফের অফার পেয়ে চলে যেতে চান। এখানে বসে ঠিক করার কী আছে? এ প্রশ্নের জবাবে বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান আকরাম খান এ প্রতিবেদককে সরাসরি কিছু না বললেও যা বোঝানোর চেষ্টা করেন, তা হলো পুরো চুক্তিটা খুঁটিয়ে দেখতে হবে। আসলে অন্তত এক বছর পুরো না হবার আগে (আগামী বছর অক্টোবরে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠেয় বিশ্ব টি টোঢেন্টে কাপের সময় পর্যন্ত চুক্তি করা) আসলে কোন কোচ নিজ পদ থেকে স্বেচ্ছায় যেতে পারবেন কিনা? এ বিষয়টা চুক্তির শর্তে কিভাবে আছে? আকরাম খানের কথা শুনে মনে হলো তিনি সেটাই বোঝানোর চেষ্টা করেছেন। তারপরও এটা ধরেই নেয়া যায়, যেহেতু ল্যাঙ্গাভেল্ট স্বেচ্ছায় নিজ থেকে বাংলাদেশের ফাস্ট বোলিং কোচের পদে আর থাকতে চাচ্ছেন না। অব্যাহতিপত্র দিয়ে ফেলেছেন। কাজেই চুক্তিতে তেমন শর্ত না থাকলেও সমসস্যা নেই। প্রয়োজনে এ প্রোটিয়া ফাস্ট বোলিং কোচ কিছু আর্থিক ক্ষতি দিয়ে হলেও চলে যাবেন। কাজেই ধরে নেয়া যায় ল্যাঙ্গাভেল্ট উপাখ্যান শেষ। এখন হয়ত খুব শিগগিরই তার ইস্তফাপত্র গ্রহণ করে তাকে ছাড়পত্র দিয়ে দেবে বিসিবি। উল্লেখ্য, গত ২৭ জুলাই আনুষ্ঠানিকভাবে ল্যাঙ্গাভেল্টকে জাতীয় দলের ফাস্ট বোলিং কোচ করা হয়েছিল। তার মানে ৫ মাস পূর্ণ হবার আগেই চলে যাচ্ছেন ল্যাঙ্গাভেল্ট। সূত্র: জাগোনিউজ আর/০৮:১৪/১৮ ডিসেম্বর
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2M5Kgu5
December 18, 2019 at 04:11AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন