কাঠমান্ডু, ০৫ ডিসেম্বর - ভারত ও পাকিস্তান না থাকায় এবার এসএ গেমস ফুটবলে বাংলাদেশকে ধরা হয়েছিল টপ ফেবারিট; কিন্তু দুটি করে ম্যাচ শেষে সেই বাংলাদেশই মহাবিপদে। এক কথায় খাদের কিনারায়। বাদ পড়ার শঙ্কায় যারা আছে, তাদের অগ্রভাগে বাংলাদেশ। ১ পয়েন্ট নিয়ে ৫ দেশের মধ্যে সবার নিচে জেমি ডে-জামাল ভূঁইয়ারা। এখান থেকে কি ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব? ঘুরে দাঁড়ানো মানে ফাইনাল নিশ্চিত করা। সে কাজের পুরোটা বাংলাদেশের হাতে নেই বলেই যতো বিপত্তি, যতো শঙ্কা। বাংলাদেশ বাকি দুই ম্যাচ জিততে পারলেও সমীকরণ মেলানোর বাকি কাজ করতে পারবে না। যদি ভাগ্যের সেই চাকা বাংলাদেশের দিকে ঘুরে, তাহলেই স্বর্ণ পূনরুদ্ধারের মিশনে টিকে থাকবে লাল-সবুজ জার্সিধারীরা। বাংলাদেশের সর্বনাশটা হয়েছে প্রথম দুই ম্যাচে। যা পুষিয়ে নিতে প্রথমত শেষ দুই ম্যাচে চাই জয়। ভুটানের কাছে হার আর মালদ্বীপের সঙ্গে ড্রয়ের পর ফুটবল নিয়ে আলোচনা কমে গেছে। সবাই ধরেই নিয়েছে, এ যাত্রা রণেভঙ্গই দিতে যাচ্ছেন ফুটবলাররা। এবার আর কিছু হবে না। কেন হবে না, সমীকরণটা কী? তা দেখে নেয়া যাক। বাংলাদেশের দুই ম্যাচে পয়েন্ট ১। ম্যাচ বাকি শ্রীলংকা ও নেপালের বিপক্ষে। শীর্ষে থাকা নেপালের পয়েন্ট ৪। তাদের ম্যাচ বাকি বাংলাদেশ ও মালদ্বীপরে বিরুদ্ধে। বাংলাদেশ দুই ম্যাচ জিতলে পয়েন্ট হবে ৭। নেপাল যদি মালদ্বীপকে হারায় তাহলে তাদেরও পয়েন্ট হবে ৭। ৩ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে থাকা ভুটানের ম্যাচ বাকি শ্রীলংকা ও মালদ্বীপের বিরুদ্ধে। তারা দুই ম্যাচ জিতলে ৯ পয়েন্ট নিয়ে উঠে যাবে ফাইনালে। তখন বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যে গোলগড় কিংবা হেড টু হেডে এগিয়ে থাকা দলটি প্রতিপক্ষ হবে ভুটানের। প্রশ্ন হলো জেমি ডের শিষ্যরা যখন প্রথম দুই ম্যাচে ভুটান-মালদ্বীপকেই হারাতে পারেনি, তারা শেষ দুই ম্যাচে কি করে শ্রীলংকা-নেপালকে হারাবে? এর মধ্যে নেপালিজদের ঘরের মাঠ। ভুটানকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে তারা নিজেদের ফেবারিটের তালিকার শীর্ষে উঠিয়েছে। অন্যদিকে শ্রীলংকাও দুর্বল দল নয়। দুই ম্যাচ খেলে এখনো হারেনি। মালদ্বীপের সঙ্গে গোলশূন্য ড্রয়ের পর দ্বিতীয় ম্যাচে পিছিয়ে পড়েও ১-১ গোলে ড্র করেছে স্বাগতিক নেপালের বিরুদ্ধে। তাদেরও সম্ভাবনা আছে। ভুটান ও বাংলাদেশকে হারাতে পারলে শ্রীলংকাও যে পেয়ে যাবে ফাইনালের টিকিট। বাংলাদেশের হাতের কাজটিই করতে রাখতে চান সবাই। জেমি ডের সহকারী মাসুদ পারভেজ কায়সার বলেছেন, আমরা দুই ম্যাচ জিতলেও অন্য ম্যাচগুলোর ফলাফলের ওপর নির্ভর করছে ভাগ্য। তবে আপাতত আমরা নিজেদের ম্যাচ নিয়েই ভাবছি। দুই ম্যাচ জিতে তারপর অন্য দিকে তাকাতে চাই। লংকানদের সঙ্গে আজ (বৃহস্পতিবার) নিজেদের তৃতীয় ম্যাচ খেলতে নামবে বাংলাদেশ। বেলা সোয়া ১টায় নেপালের কাঠমান্ডুর দসরথ স্টেডিয়ামে শুরু হবে বাংলাদেশের টিকে থাকার ম্যাচটি। সূত্র : জাগো নিউজ এন এইচ, ০৫ ডিসেম্বর



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2PjGRZs
December 05, 2019 at 06:42AM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top