কলকাতা, ০৯ ডিসেম্বর - সদ্য সমাপ্ত উপনির্বাচন শেষে হারানো জমি অনেকটাই ফিরে পেয়েছে তৃণমূল। বিজেপির বিরুদ্ধে তিনটি আসেনই ৩-০ করে হাসি চওড়া হয়েছে শাসক শিবিরের। কিন্তু এই জয়ের পরেও একটুও ঢিলেমি দিতে নারাজ ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর। ভোটের জন্য এমন ভাবে প্রস্তুতি নিতে হবে যাতে প্রয়োজনে ১০০ দিনের মধ্যে ভোট হলেও সাংগঠনিকভাবে সব যেন তৈরি থাকে তৃণমূলকে এমনই পরামর্শ দিয়েছেন পিকে। আর এতেই ইঙ্গিত, সম্ভবত আগামী তিন মাসের মধ্যে হতে চলেছে পুরভোট। রাজ্যে নির্বাচিত সরকারের মেয়াদ ফুরোবে ২০২১ সালের মে মাসে। নির্বাচন নির্ধারিত সময়েই হবে বলে পর্যবেক্ষকদের ধারণা। সে ক্ষেত্রে এখন থেকে যে ভাবে প্রশান্ত কিশোর দলকে প্রস্তুত থাকতে বলছেন। ভোটের এত আগে থেকেই সংগঠনের শক্তি বাড়ানোকে কিছুটা ব্যতিক্রমী বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। বিধানসভাই নয় পুরসভার ভোটও এগোতে পারে বলে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। গতবছর থেকে রাজ্যের একাধিক পুরসভার মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু নির্বাচন হয়নি। পুরসভা চালাচ্ছেন প্রশাসকরা। ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনে দরবার করেছে বিরোধীরা। শুক্রবার কমিশনে গিয়ে নালিশ জানিয়ে এসেছেন মুকুল রায়। অভিযোগ জানিয়ে কমিশনের দফতর থেকে বাইরে বেরিয়ে তিনি জানান, পুরসভাগুলিতে ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হচ্ছে না কেন, সেটাই জানতে এসেছেন তিনি। উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বৈঠকে ওই জেলার অবস্থা স্পষ্ট করে প্রশান্ত জানান, লোকসভার ৫টি আসনের মধ্যে ৩টি আসন পেলেও গোটা জেলায় প্রায় ঘাড়ের কাছে নিঃশ্বাস ফেলছে বিজেপি। গত লোকসভা ভোটে দুটো আসন বিজেপি জিতলেও তার প্রভাব রয়েছে অর্ধেক জেলায়। টিম পিকের হিসেবে অনুযায়ী, জেলার প্রায় সাড়ে ৮ হাজার বুথের ৪ হাজারের বেশি বুথেই এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। তা মাথায় রেখেই সংগঠন সাজতে হবে। লোকসভা ভোটের ফলাফলকে সামনে রেখে এখন থেকেই বিধানসভা ভিত্তিক মেরামতি শুরু করতে চাইছে ঘাসফুল শিবির। জেলা স্তরে জনপ্রতিনিধি ও সাংগঠনিক পদাধিকারীদের সঙ্গে পরপর বৈঠকগুলিতে সেই পরিকল্পনাই স্পষ্ট করেছেন দলের তরফে নিযুক্ত ভোটকুশলী প্রশান্ত। বিভিন্ন জেলা ধরে এই বৈঠক চলছে। প্রশান্তের পাশাপাশি সেখানে থাকছেন দলের রাজ্য নেতৃত্বও। সেখানেই বিধানসভার প্রস্তুতির পাশাপাশি পুরভোটের কথাও উঠছে। রাজ্যের পুরভোট সম্পন্ন করার মেয়াদও আগামী এপ্রিল-মে। রাজ্যের এক মন্ত্রী বলেন, ভোটের প্রস্তুতির জন্য সময়সীমা বেঁধে হলেও। প্রতিটি রাজনৈতিক দলেরই যে কোনও সময় নির্বাচনের জন্য তৈরি থাকা উচিত। এরপরেই শাসক দলকে কোমর বেঁধে মাঠে নামার জন্য প্রস্তুত হতে বলেন পিকে। এই বিষয়ে বৈঠকেও বসে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের। আর বৈঠক থেকেই ইঙ্গিত, তিন মাসের মধ্যে হতে চলেছে পুরভোট। এন এইচ, ০৯ ডিসেম্বর
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2Yvplph
December 09, 2019 at 10:40AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন